বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
 পেশাদার সাংবাদিকদের সবরকম সুরক্ষা দিতে কাজ করছে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার : এম আব্দুল্লাহ। কালের খবর সরকারি রাস্তা উদ্ধারের দাবিতে শাহজাদপুরে মানববন্ধন। কালের খবর ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্ককে সুদৃঢ় করতে হবে : ইউএনও মনজুর আলম। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তা বিতরণ ও চিকিৎসা সেবা প্রদান। কালের খবর ‘দেশ স্বাধীনের পর তৈরি সংবিধানে কোনো জাতির পিতা ছিল না’ : আদালতকে অ্যাটর্নি জেনারেল। কালের খবর দ্রব্যমূল্যের এই বাজারে খরচ কমানোর ২৭ উপায়!। কালের খবর ওলামাদের মধ্যে রুহানী ঐক্য প্রয়োজন : জামায়াত আমির। কালের খবর আ.লীগ নেতা সুমন খান গ্রেফতার। কালের খবর ৭ হাজারের বেশি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন। কালের খবর নেতাকর্মীদের আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণের আহবান : ওয়াদুদ ভুইয়ার। কালের খবর
নির্যাতন সইতে না পেরে শ্বশুরবাড়ি থেকে পালালো ২ সন্তানের জননী। কালের খবর

নির্যাতন সইতে না পেরে শ্বশুরবাড়ি থেকে পালালো ২ সন্তানের জননী। কালের খবর

কালের খবর প্রতিবেদক : : কোলে একটি শিশুকে নিয়ে হাসপাতালের বারান্দায় বসে আছে মধ্য বয়সী এক নারী। আর তাঁকে ঘিরে জটলা পাকিয়ে আছে উৎসুক জনতা। ভীড় ঠেলে সামনে এগিয়ে যেতেই চোখ পড়লো হাতের দগদগে ঘা গুলোর দিকে। কথায় বলে জানা গেল, শ্বশুরবাড়ির নির্যাতন সইতে না পেরে শনিবার সকালে দুই সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে এসেছে এ নারী।

ডাক নাম খুকি। সে আড়াইহাজারের দুপ্তারা হাটখোলা পাড়া এলাকার আউয়ালের মেয়ে। পাঁচ বছর আগে রুপগঞ্জ এলাকার মৃত এরশাদের ছেলে সিরাজুল ইসলাম খোকার সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তার।

বিয়ের সময় প্রায় তিনলাখ টাকার জিনিসপত্র দেয়া হয়। তা সত্ত্বেও বিভিন্ন সময় শ্বশুড়বাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে তার ওপর শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আসছে। গত কয়েকদিন যাবৎ ১ লাখ টাকার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলো খুকিকে। কিন্তু বাবার আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় এ দাবি পূরন তার পক্ষে সম্ভব হয়নি।

তাই শ্বশুড় বাড়ির লোকজন বৃহস্পতিবার রাতে মারধরের পর দুই মেয়েসহ একটি ঘরে তাদের আটকে রাখেন। শনিবার কায়দা করে সন্তানদের নিয়ে কোন মতে আটক অবস্থা থেকে পালিয়ে আসে। পরে খুকিকে আহত অবস্থায় তাকে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী ঐ নারী বলেন, এর আগেও শ্বাশুড়ি পারুল, দেবর শামীম, ননদ জনি ও মেয়ের জামাতা দোহা মিলে তাকে বেশ কয়েকবার হত্যার চেষ্টা চালায়। আমি বেশ কয়েকবার আইনের দারস্থও হতে চেয়েছি। কিন্তু পুলিশ আমার কোন অভিযোগ আমলে নেয় নি।

আমি তাদের নির্যাতন আর সহ্য করতে পারছি না। আমি এখন দুই সন্তান নিয়ে কোথায় যাব। আমার মরণ ছাড়া অন্য কোন পথ দেখছি না। কিন্তু আমি বাঁচতে চাই। আর দশটি মেয়ের মতোই আমি স্বামী সন্তান নিয়ে সংসার করতে চাই। আমাকে বাঁচতে দিন।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com