রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
শান্তি পরিবহনের চাপায় নারী নিহত। কালের খবর ভোরবেলা স’হবা’স করার ৭টি অবিশ্বাস্য উপকারিতা জেনে নিন। কালের খবর বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মুনাফ কে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক মর্যাদায় চিরবিদায় দিলো প্রশাসন সহ এলাকাবাসী। কালের খবর একজন আদর্শ শিক্ষকের গুণাবলি গুলি কী কী হওয়া উচিত। কালের খবর সবুজবাগের ৭৩নং ওয়ার্ডে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত। কালের খবর আগামীর বাংলাদেশ হবে জুলুম নির্যাতন ও অন্যায় দুর্নীতিমুক্ত নতুন বাংলাদেশ মাওলানা : আবদুল হালিম। কালের খবর সাংবাদিকতার হুমকি দেশের জন্য অকল্যাণকর। কালের খবর : মাটিরাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজে ১ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত। কালের খবর রায়পুরায় ৩১ দফা গণতন্ত্রের সনদ : কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা শ্যামল। কালের খবর খাগড়াছড়ি পাজেপ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরাকে সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ। কালের খবর
দুর্গাপুর হাসপাতালে ১২ বছর ধরে এক্স-রে মেশিন অকেজো। কালের খবর

দুর্গাপুর হাসপাতালে ১২ বছর ধরে এক্স-রে মেশিন অকেজো। কালের খবর

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি, কালের খবর :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় ১২বছর ধরে কোন এক্সঐৃ-রে মেশিন না থাকায় সাধারণ রোগীদের ভোগান্তি চরম আকারে পৌঁছেছে।

সোমবার সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিনটি প্রায় ১২ বছর ধরে নষ্ট। হাসপাতালের সামনের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে রোগীদের এক্স-রে করাতে হচ্ছে।

নানা জটিলতায় প্রায় ৭ বছর ধরে ২টি এ্যাম্বুলেন্সও বিকল অবস্থায় পড়ে আছে। প্রতিদিন গড়ে বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগে ২৫০-৩০০ রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। এর মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রায় প্রতিদিনই ১৫ থেকে ২০ জনকে এক্স-রে করাতে হয়। হাসপাতালে এর ব্যবস্থা না থাকায় সব বাইরে থেকে করাতে হয়। এছাড়া হাসপাতালের এক্র-রে মেশিনটি নষ্ট থাকায় বাহিরের দোকানীরা ইচ্ছে মতো মূল্য পরিশোধে বাধ্য করছে রোগীদের।

২০০৮ সালে আসা উন্নতমানের মেশিনটি মাঝে মধ্যে চালু করা হলেও প্রায় ৫বছর ধরে সম্পূর্ণ অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। দুর্গাপুরে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতালটি ৩০ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। তবে হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও বাড়েনি জনবল ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। শয্যাসংখ্যা বাড়ানো হলেও বর্তমানে হাসপাতালে ৩১ শয্যার জনবলও নেই।

দীর্ঘদিন ধরে অ্যানেসথেটিস্ট না থাকায় এখানে প্রসূতি অস্ত্রোপচার বন্ধ আছে। হাসপাতালে একজন সার্জারি বিশেষজ্ঞের পদ থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে তা শূন্য। এছাড়া ১৭জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে রয়েছে ২জন। এক্স-রে কক্ষটি রয়েছে তালাবদ্ধ।

উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদেও আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট মানেশ সাহা বলেন, দীর্ঘদিন এক্স-রে মেশিন নষ্ট থাকায় বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে দরিদ্র রোগীদের। বাইরের বিভিন্ন ক্লিনিক থেকে তাদের অতিরিক্ত টাকায় এক্স-রে করাতে হচ্ছে। এছাড়া বেশি ভাড়ায় মাইক্রো ভাড়া করে অনেক রোগীকে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যেতে হচ্ছে। বালিকান্দি গ্রামের দিনমজুর সোবহান মিয়া বলেন, প্রায় ছয় মাস আগে গাছের ডাল কাটতে গিয়ে মাটিতে পড়ে বাঁ হাতে প্রচন্ড আঘাত পান। চিকিৎসক হাতের এক্স-রে করাতে বললে ৬৫০ টাকায় বাহির থেকে এক্স-রে করাতে হইলো।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শেখ আলী রেজা সিদ্দিকী যুগান্তরকে বলেন, আমি বর্তমান কর্মস্থলে নতুন এসেছি, দুর্ঘটনাজনিত কারণে বিশ্রামে আছি। আগামী সপ্তাহে অফিসে এসে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com