বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ঢাকা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাথে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার কল্যাণ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের মত বিনিময়। কালের খবর নবীনগরে ইজারার শর্ত ভঙ্গ করে অবাধে বালু তোলায় ভেঙে যাচ্ছে ৭২ কোটি টাকার বেড়িবাঁধ, আতঙ্কে তীরবর্তী গ্রামের মানুষ। কালের খবর সার্ক জার্নালিস্ট ফোরাম বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সভাপতি মামুন, সম্পাদক শিয়াবুর। কালের খবর সিলেটে অন্যরকম ওরস। কালের খবর সোনামসজিদ স্থলবন্দরে বছরে ৭০ কোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ। কালের খবর সিএমপি ও চট্টগ্রাম জেলার ৩০ থানার ওসিদের একযোগে বদলির আদেশ। কালের খবর ট্রাফিক পরিদর্শক তুহিন দম্পতির ৪ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ। কালের খবর শাহজাদপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে ৩টি অস্ত্রসহ ১৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার। কালের খবর জাতীয় নাগরিক কমিটির আত্মপ্রকাশ। কালের খবর বাংলাদেশের ক্যাপাসিটি চার্জের টাকায় সিংগাপুরের শ্রেষ্ঠ ধনী সামিটের আজিজ খান। কালের খবর
তৃণমূলে স্বাস্থ্যসেবা : ডাক্তার-ওষুধের সংকট দালালের দৌরাত্ম্য। কালের খবর

তৃণমূলে স্বাস্থ্যসেবা : ডাক্তার-ওষুধের সংকট দালালের দৌরাত্ম্য। কালের খবর

শরীয়তপুর, কালের খবর :

শরীয়তপুর সদর আধুনিক হাসপাতালটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। রোগ নির্ণয়ের বিভিন্ন অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি এখানে থাকলেও এর কোনোটিরই সুফল পাচ্ছে না সেবা নিতে আসা সাধারণ রোগীরা। রয়েছে ডাক্তার, জনবল অভাব ও ওষুধের কৃত্রিম সংকট। এ অবস্থায় দালালদের খপ্পরে পড়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য তাদের যেতে হচ্ছে ব্যয়বহুল বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।

এ হাসপাতালের চিকিৎসকরা ক্লিনিক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকায় এমনটা হচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। সরেজমিন দেখা গেছে, অধিকাংশ ডাক্তারের রুম তালাবদ্ধ। যারা রুমে আছেন তারাও দুপুর ১টার পর প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে চলে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

শরীয়তপুর সদর আধুনিক হাসপাতাল নামে আধুনিক হলেও আধুনিককতার ছোঁয়া লাগেনি এখানে। কাগজপত্রে ১০০ শয্যার হাসপাতাল হলেও কার্যত ৫০ শয্যার হাসপাতালের জনবলও নেই। রোগ নির্ণয়ের জন্য এখানে সব ধরনের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি রয়েছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে দীর্ঘদিন ধরে অকেজো রয়েছে হাসপাতালে থাকা তিনটি এক্স-রে মেশিন, দুটি আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন, দুটি ইসিজি মেশিন, মাল্টি প্যারামিটার প্যাসেন্ট মনিটর, পাল্্স অক্সিমিটারসহ বেশিরভাগ যন্ত্রপাতি। অভিযোগ রয়েছে, প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর ব্যবসা জমজমাট করতেই এখানে কর্মরত ডাক্তাররা নানা রহস্যজনক ভূমিকা পালন করে আসছেন।

এতে যে কোনো ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য স্থানীয় বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে রোগীদের। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ডাক্তার থাকার কথা ৫০ জন, আছে ১৬ জন। এসব ডাক্তারও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন না। অধিকাংশ ডাক্তার ক্লিনিক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এ হাসপাতালে জনারেটর অপারেটর, আয়া ও বিভিন্ন মঞ্জুরিকৃত ২১টি পদই শূন্য রয়েছে।

বেশির ভাগ ওষুধ বাইরে থেকে ক্রয় করতে হচ্ছে রোগীদের। নামমাত্র একটি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আরএমও শেখ মোস্তফা খোকন বলেন, আমাদের ডাক্তার স্বল্পতা রয়েছে। দীর্ঘদিন চোখের ডাক্তার নেই। আমরা নিয়মিত ঢাকায় চিঠি দিয়ে যাচ্ছি কিন্তু ডাক্তার পাচ্ছি না। শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন ডা. খলিলুর রহমান বলেন, হাসপাতালে দক্ষ জনবলের অভাবে দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় অকেজো হয়ে পড়েছে মূল্যবান সব যন্ত্রপাতি। এ কারণে রোগীদের ভোগান্তি হচ্ছে। হাসপাতাল চত্বরে দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধ ও দ্রুত সময়ের মধ্যে দক্ষ জনবল নিয়োগ করে স্থানীয়দের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার দাবি শরীয়তপুরবাসীর।
সংশ্লিষ্ট সংবাদ
ডাক্তার-ওষুধের সংকট দালালের দৌরাত্ম্য
মগড়ার বুকজুড়ে দখলের দৌরাত্ম্য
চিকিৎসক সংকটে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
তারকা সংকটে ঢাকাই ছবি
সিন্ডিকেট দৌরাত্ম্য

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com