বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন
ফতুল্লা প্রতিনিধি কালের খবর :
নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটি এলাকার হোসিয়ারি শ্রমিক সিয়ামকে শুধু হাতের একটি ব্রেসলেট নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরেই হত্যা করা হয়েছে। আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিতে সিয়ামের বন্ধু নিলয় এ কথা জানিয়েছে। আর এ কিলিং মিশনে ছিল পাঁচজনের একটি দল। নিলয় শহরের ২ নম্বর বাবুরাইল এলাকার কালামের ছেলে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফতাবুজ্জামানের আদালত ১৬৪ ধারায় নিলয়ের স্বীকারোক্তি রেকর্ড করেছেন।
সোমবার সকালে সিয়ামের লাশ উদ্ধারের পর দুপুরে নিলয়কে গ্রেফতার করা হয়। সেদিন সিয়ামের বাবা সোহেল মিয়া বাদী হয়ে নিলয়কে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের এসআই শহীদুল ইসলাম এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সিয়াম হত্যার দায় স্বীকার করে তার পাঁচ বন্ধুর নাম প্রকাশ করেছে গ্রেফতার নিলয়।
আদালতে নিলয় জানান, সিয়াম ও নিলয় একটি হোসিয়ারি কারখানাতে কাজ করত। এতে তাদের বন্ধুত্ব হয়। সে সুবাধে সিয়ামের কাছ থেকে ব্রেসলেট নেয় নিলয়। পরে সেটি ফেরত না দেয়ায় তাকে মারধর করে সিয়াম ও তার বন্ধুরা। এ ক্ষোভে নিলয় পরিকল্পনা করে সিয়ামকে হত্যা করার। সে পরিকল্পনায় নিলয়ের সাথে যোগাযোগ হয় আরও পাঁচ বন্ধুর। তারা সবাই মিলে কাজ থেকে বাসায় যাওয়ার সময় সিয়ামকে তুলে নিয়ে মারধর করে। পরে শ্বাসরোধে মৃত্যু নিশ্চিত করে ডিআইটি কলোনির পিছনের দিকে ফেলে যায়।
সিয়াম ফতুল্লার দেওভোগ লিচুবাগান এলাকার মসজিদ গলিতে অবস্থিত হামিদার বাড়ির ভাড়াটিয়া সোহেল মিয়ার ছেলে। সে শহরের উকিলপাড়া এলাকায় অবস্থিত আজিজুর রহমানের হোসিয়ারির শ্রমিক।