শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩০ অপরাহ্ন
চট্টগ্রাম ব্যুরো, কালের খবর ঃ
ভূঁইফোঁড় অনলাইন পোর্টাল ও ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা নামকাওয়াস্তে অনলাইন টেলিভিশনগুলোর লাগাম টানতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। এজন্য নীতিমালার কাজ দ্রুত শুরু করা হচ্ছে। এছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সাংবাদিক সমাজের উদ্বেগ দূর করা হবে বলেও জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। মন্ত্রিত্ব পাওয়ার পর গতকালই প্রথম জন্মস্থান চট্টগ্রামে আসেন তথ্যমন্ত্রী।
ভূঁইফোঁড় ‘অনলাইন মিডিয়ার’ লাগাম টানার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশে শুধু নয়, সমগ্র পৃথিবীতে অনলাইন মিডিয়ার ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে। এই বিস্তৃতি বন্ধ করা সঠিক নয়। কিন্তু এটি যাতে সঠিকভাবে, নিয়ম-নীতির মধ্যে চলে, সেই কাজটি করা হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য।’
‘অনেকে ঘরে বসেই অনলাইন চালু করে ফেলেছে। অনলাইনের জন্য একটি নীতিমালা হচ্ছে, রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা হচ্ছে। অনলাইনের জন্য যখন রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা হবে নীতিমালার ভিত্তিতে, তখন ভূঁইফোড় অনলাইন বন্ধ হয়ে যাবে, কমে যাবে।’
অনলাইন টেলিভিশনের লাগাম টানা হবে
দেশে বর্তমানে বেশ কয়েকটি অনলাইন টেলিভিশন কার্যক্রম চালাচ্ছে। তবে সেসব কোনো নীতিমালার মধ্যে নেই। তাছাড়া টিভি চ্যানেলের নামে এদের অনেক কার্যক্রম মূলধারার টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে ও সাধারণ মানুষকে বিব্রত অবস্থায় ফেলছে।
অনলাইন টেলিভিশনেরও লাগাম টেনে ধরার ব্যবস্থা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যে কেউ একটা অনলাইন টেলিভিশন খুলে ফেলবে অনুমোদন ছাড়া, সেটি হতে পারে না। ক্যামেরা যখন সামনে ধরে, তখন কেউ বুঝতে পারবে না যে এটি আসল টেলিভিশন নাকি অনলাইন টেলিভিশন।’
‘প্রচুর অনলাইন টেলিভিশন হয়ে গেছে। অনলাইন টেলিভিশনগুলোকেও নিয়মের মধ্যে আনার প্রক্রিয়া চালু হয়ে গেছে। সময় লাগবে। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের পরামর্শ লাগবে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। আলোচনা করেই আমরা ঠিক করব।’
চট্টগ্রাম টেলিভিশন কেন্দ্রের অনুষ্ঠান ১২ ঘণ্টা হবে
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রাম টেলিভিশনের সম্প্রচারকাল ১২ ঘন্টায় উন্নীত করা হবে। চট্টগ্রাম টেলিভিশন কেন্দ্র এখন ৬ ঘন্টা সম্প্রচার করছে। আমি বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছি, এটিকে ১২ ঘন্টায় উন্নীত করার জন্য। কয়েক মাস সময় লাগবে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কিংবা অন্যান্য যে কোনো আইনের প্রেক্ষিতে সাংবাদিক সমাজের যে উদ্বেগ আছে তা নিরসন করার লক্ষ্যে আমি কাজ করব।’
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম এবং শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বেদারুল আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।