সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৪ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের খবর :
জিটিভির সাংবাদিক পরিচয়ে সুশেন সূত্রধর ওরফে মুন্না মিস্ত্রী নামের মাদক ব্যবসায়ী যাত্রাবাড়ি থানায় গ্রেফতার। গত (৭নভেম্বর) সময় রাত ৯ ঘটিকার সময় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার কাঁচপুর পশ্চিম বেহাকৈর ব্যন্ডিস মিল এলাকার। ভূয়া জিটিভির সাংবাদিক পরিচয়ে সুশেন সূত্রধর ওরফে মুন্না মিস্ত্রী(৩৮), পিতা ¯^পন সূত্রধর মিস্ত্রীকে গ্রেফতার করেন। ঢাকা ডিবির রোবারি প্রিভেনশন টিম, এসআই (নি:) সুশংকর মল্লিকের নেতৃত্বে সিরিয়াস ক্রাইম ইনেভেস্টিগেশন ডিএমপি রমনা গোয়েন্দা বিভাগ।
গোয়েন্দা পুলিশের তথ্যে সূত্রে জানাগেছে, সুশেন সূত্রধর ওরফে মুন্না মিস্ত্রী মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে মূল হোতা। তার নেতেৃত্বে থাকা আরো একটি চক্র মো: হাবিবুর রহমান হাবু(৫০), পিতা মৃত মেহের আলী, স্থায়ী চনপাড়া(বটতলা) পো: পূর্বগ্রাম , ইউনিয়ন-কায়েতপাড়া, থানা রূপগঞ্জ, জেলা নারায়ণগঞ্জ।
মোহাম্মদ আলী(২৭), পিতা মৃত সুন্দর আলী, স্থায়ী শিকির গাও (মুন্সিবাড়ি) শংকর হিন্দু বাড়ির পাশে, পো: মানিকাচর, ইফনিয়ণ গোবিন্দপুর, থানা মেঘনা, জেলা কুমিল্লা, বর্তমান ৭৬/২/ই, ২৫১ উত্তর যাত্রাবাড়ি, বিবির বাগিচা, সুতিখালপাড়, জোড়া খাম্বা বালুর মাঠ, সমাজ কল্যাণ সংঘ, রোড নং ৬, বাচ্চু মিয়া ৬ তলা ভবনের ৪র্থ তলার বাম পাশের ভাড়া টিয়া।
মোসা: রুনা আক্তার (৩০), পিতা মৃত সুন্দর আলী মোল্লা, স্থায়ী-বর্তমান ওই। মাদক স¤্রাটের মূল হোতা সুশেনের নেতেৃত্বে চক্রটি যাত্রাবাড়ি থানায় ডিবির হাতে গ্রেফতার কালে, নিজ নিজ হেফাজতে ইয়াবা ট্যাবলেট রাখা উদ্ধার মোট ৪৭৫ পিস, ইয়াবা ট্যাবলেট যাহার ওজন ৪৭.৫ গ্রাম, যাহার মূল্যে ৯৫ হাজার টাকা মাদক উদ্ধার করেন গোয়েন্দা পুলিশ।
এ বিষয়ে মোট চার জন আসামীকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে হস্তান্তর করেন যাত্রাবাড়ি থানাকে। যাত্রাবাড়ি থানা ফৌজদারী বিধান কোষের ১৫৪ নং ধারায় কর্তব্য অপরাধে ১৯(১) এর ৯(খ)/২৫/১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা মতে, মামলা এফ আই আর নং ৩৪/১২২৮ দায়ের করেন থানা পুলিশ।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, সুশেন সূত্রধর ওরফে মুন্না মিস্ত্রী, তাদের বংশধর পরিবার বর্গ সকলে কাঠ মিস্ত্রী হিসেবে মানুষের বাড়ি ঘর উত্তালন করতো। তিনি তার বাবা ¯^পন সূত্রধর মিস্ত্রী বাবা ছেলে মিলে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিস্ত্রী কাজের শ্রমের অর্থ উপার্যন দিয়ে পরিবারের দিনাপাত চালাতো। এক পর্যায় তাদের রুপরেখা পাল্টে গিয়ে মাদক ব্যবসায়ীর সাথে লিপ্ত হয়ে পড়েনে তিনি। দৈনন্দিন কাচা টাকার অর্থ উপার্যনে পরিবারের হারহামেশের অবস্থা পাল্টে গেলো দিনে দিনে। কিছুদিনের মধ্য মানুষকে পরিচয় দেয়া শুরু করলো, বাংলা ভিশন টিভি, গাজি টিভি, মাই টিভি, এনটিভি, এটিএন বাংলা নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার। এলাকাবাসী তার সাংবাদিক পরিচয়ে হাঁসি উল্লাসে মেতে উঠেন। কেননা তিনি তার বাবা-ভাই এক সঙ্গে কাঠ মিস্ত্রী হিসেবে কাজ করতেন এবং বংশচ্যুত তার পরিবারের কেহই লেখা পড়া নেই বললেই চলে? এক কথা মূর্খ লোক ও মিস্ত্রী হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত রয়েছেন বর্তমান তার কাঁচপুর এলাকায়। তারা স্থায়ী দাউদকান্দি-কুমিল্লা এলাকার বাসিন্দা বটে। আরও জানাগেছে, মাদক ব্যবসার নামে সাংবাদিক সাইনবোর্ড লাগিয়ে প্রশাসনের নজরধারী থেকে মুক্ত কৌশল অবলম্বন তৈরী করে ব্যপক আকাড়ে বেপরোয়া হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তিনি কাঁচপুর সেনপাড়া এলাকার মাদক ব্যবসায়ী লিটনের স্ত্রী লাইলি, কাঁচপুর পূর্ব বেহাকৈর এলাকার রাক্কু মিয়া, কাঁচপুর উত্তারপাড়া এলাকার আলমগীর, চিটাগাংরোড মাদক রাজু, সিদ্ধিরগঞ্জ মাদক স¤্রাজ্ঞী রুখছানা, সানারপাড় আলমগীর, কদমতলী সজল, শনির আখরা মুবারক, কাজলা সোলায়মান, জুরাইন পোস্তগোলা ছানাউল্লাসহ এধরনের অভিযুক্ত আরও অজ্ঞাত মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে আতাত করে হরদমে মাদক ডিলার দাতা হিসেবে ব্যবসা পরিচালনা করে লক্ষ লক্ষ টাকার অর্থ বনে গেছেন তিনি।
এ বিষয়ে গাজি টিভির চেয়ারম্যানকে মুঠোয়ফোনে নিশ্চিত হওয়ার জন্য একাধীকবার মোবাইল ফোনে কলিং সূত্রেও দায়িত্ব বোধ নয় বলে জানাগেছে।
এলাকায় নাম প্রকাশে অনেচ্ছুকদের মতে, সুশেন বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও টিভির আইডি কার্ড বানিয়ে, বিভিন্ন প্রকার ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে ব্যপক প্রতারনা সৃষ্টি করেছেন তিনি। এধরনের প্রতারনা করে পুলিশ প্রশাসনকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের ব্যপক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এলাকাবাসীর দাবি মতে, অভিযুক্ত মাদক ব্যবসায়ী সুশেন সূত্রধর ওরফে মুন্না মিস্ত্রীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান। অন্যথায় দিনে দিনে এলাকার শিক্ষিত তরুণ সমাজ ধ্বংসের মূখে মাদকে লিপ্ত হবে জানান।