শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৪ অপরাহ্ন
কালের খবর প্রতিবেদক :
হাসপাতালে নেই চিকিৎসক,প্যাথলজি বিভাগের যন্ত্রপাতি আছে, নেই কোন প্যাথলজিস্ট। পাশের একটি রোগ নির্ণয় কেন্দ্রেরও একই অবস্থা। রোগী আসলেই মোবাইল ফোনে ডেকে আনা হয় চিকিৎসক কিংবা প্যাথলজিস্টকে।
এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে চলছিলো মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজারে কেয়ার হাসপাতাল ও আল মদিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে দুটি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। আর এই দুটি প্রতিষ্ঠান চিকিৎসা নিতে আসা প্রত্যান্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষদেরকে হতে হয় হয়রানির শিকার। এমন অভিযোগ জমা পরে কুমিল্লা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে।
অভিযোগ পেয়ে আকস্মিক অভিযানে যায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে হাসপাতাল ও রোগ নির্ণয় কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেন জেলা সিভিল সার্জন ডা:মজিবুর রহমান।
কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা: মজিবুর রহমান জানান, মুরাদনগর উপজেলা বাংগরা বাজরে থানায় কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসার নামে নানান অভিযোগ জানতে পারি।
সরেজমিনে পরিদর্শনে এসে দেখি কেয়ার হাসপাতালে অরক্ষিত ল্যাব পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি শুরু করার জন্য যে ধরণের ছাড়পত্রের প্রয়োজন ছিলো তাও নেই। এ কারণে কেয়ার হাসপাতালকে বন্ধ ঘোষনা করে দেই। পরে এই বাজারে অবস্থিত আল মদিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে দেখি সেখানেও অরক্ষিত ল্যাব, প্য্যথলজিষ্ট প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নেই। এসব কারনে উল্লেখিত হাসপাতাল ও রোগ নির্ণয় কেন্দ্র বন্ধ করে দেই।