বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় কাঙ্খিত বৃষ্টিপাত দেখা দিয়েছে জনমনে স্বস্তি। কালের খবর টেকনাফে পণ্য পাচার নিয়ে প্রতিবেদনে সাংবাদিক অপহরণের চেষ্টা, থানায় জিডি। কালের খবর এনএমআই-এর স্পেশাল ব্যাচ-২০২৩ এর শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। কালের খবর আগুন পুড়ছে সুন্দরবন, নেভানোর আপ্রাণ চেষ্টা। কালের খবর জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪ উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক – শিপ্রা রানী দে। কালের খবর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্যকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান তারুণ্যের অহংকার আবিদ হাসান রুবেল। কালের খবর কক্সবাজারে সাইফুল বাহিনীর প্রধান গ্রেপ্তার। কালের খবর তাড়াশে ইরি বোরো ধান কাটা শুরু। কালের খবর কাজ করতে গিয়ে বাড়িতে ফিরলো শ্রমিকের লাশ!। কালের খবর কুষ্টিয়ায় পানি সংকটে খাদ্য উৎপাদনে বিপর্যয়ের শঙ্কা। কালের খবর
পঞ্চাশ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চলছে মাত্র দুইজন চিকিৎসক দিয়ে। কালের খবর

পঞ্চাশ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চলছে মাত্র দুইজন চিকিৎসক দিয়ে। কালের খবর

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি, কালের খবর  :

পঞ্চাশ শয্যা বিশিষ্ট চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চলছে মাত্র দুইজন চিকিৎসক দিয়ে। এতে প্রাপ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলার তিন লাখ মানুষ। গড়ে প্রতিদিন হাসপাতালে ২৫০/৩০০ রোগী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে আসেন। কিন্তু চিকিৎসক সংকটের কারণে প্রতিদিন শতাধিক রোগী হাসপাতাল থেকে ফিরে যাচ্ছেন চিকিৎসা না পেয়ে। আর দীর্ঘদিন জোড়াতালি দিয়ে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা চললেও এ ব্যাপারে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের। এতে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৩২ জন মেডিকেল অফিসারের পদ থাকলেও ২২টি পদ দীর্ঘদিন যাবৎ শূন্য রয়েছে। কাগজে কলমে ১০ জন চিকিৎসক কর্মরত থাকলেও এরমধ্যে চার জন গত প্রায় পাঁচ বছর যাবৎ কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। তাদের কারো কারো নামে বিভাগীয় মামলাও করা হয়েছে।

বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সবিজুর রহমান প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকায় মেডিকেল অফিসার ডা. স.ম.বায়েজীদ উল ইসলাম ও ডা. পপি রানী কুণ্ডুকে দিনরাত রোগীর চাপ সামলাতে হচ্ছে। এই দুই চিকিৎসকই উপজেলার তিন লাখ মানুষের একমাত্র ভরসা।

এ ছাড়া আরএমও পদটি দীর্ঘদিন শূন্য থাকায় অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ডা. স.ম. বায়েজীদ উল ইসলামকে অতিরিক্ত চাপ সামলাতে হচ্ছে। এদিকে, গত ৫ই সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পার-৩ অধিশাখা থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হলেও এখন পর্যন্ত তারা যোগদান করেননি। তারা হলেন- গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. দীপান্বিতা ধর, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ একেএম ফাহমিনা নোমান ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মো. সাইফুল ইসলাম।

সরজমিন হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে- অ্যানেসথেসিয়া, মেডিসিন, সার্জারি, শিশু, আর্থোসার্জারি, কার্ডিওলজি, চক্ষু, নাক, কান, গলা, চর্ম ও যৌন বিশেষজ্ঞের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে কোনো চিকিৎসক নেই। নতুন ভবনে অপারেশন থিয়েটার থাকলেও চিকিৎসকের অভাবে কোনো অপারেশন হয় না। সার্জারি মেশিনগুলো দীর্ঘদিন পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে গেছে। ডেন্টাল বিভাগের মেশিনও নষ্ট। মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টরা (স্যাকমো) রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। ফিল্ম না থাকায় দীর্ঘদিন এক্সরে মেশিনও বন্ধ রয়েছে। জরুরি বিভাগে রোগী নিয়ে আসলে পাবনা-রাজশাহী অথবা ঢাকায় রেফার করা হয়। দূর-দূরান্তে গিয়ে চিকিৎসা নিতে অর্থের অপচয়সহ হয়রানির শিকার হতে হয় রোগী ও তাদের স্বজনদের। সবকিছু মিলিয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম।

চিকিৎসা নিতে আসা ছাইকোলা গ্রামের জাহানারা বেগম, বরদানগর গ্রামের সাথী খাতুন, ডিবিগ্রামের সেকেন্দার আলীসহ বেশ কয়েকজন রোগী অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালে এলেই আয়রন ট্যাবলেট আর এন্টাসিড ট্যাবলেট দিয়ে বিদায় করে দেয়। রোগ সারাতে এসে উল্টো রোগ বাড়িয়ে নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়। একটু জটিল রোগী হাসপাতালে নিয়ে আসলে বাইরে রেফার্ড করা হয়। আমরা সাধারণ মানুষ এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চাই।

এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচও) ডা. সবিজুর রহমান বলেন, ‘আসলেই খুব সমস্যার মধ্যে দিয়ে দিন পার করতে হচ্ছে। বার বার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলেও কোনো লাভ হয়নি।’ তবে, চাপের মধ্যে থেকেও সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানান তিনি।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com