শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৬ অপরাহ্ন
কালের খবর প্রতিবেদক : দেশের সব বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ল্যাবরেটরিতে বিভিন্ন প্যাথলজি পরীক্ষার ফি, সেবার মূল্যতালিকা এবং চিকিৎসকের চিকিৎসা ফির (মূল্যতালিকা) তালিকা প্রকাশ্য (উন্মুক্ত) স্থানে টাঙানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ১৫ দিনের মধ্যে এ তালিকা টাঙাতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে এই আদেশ পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে মেডিক্যাল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স-১৯৮২ অনুযায়ী নীতিমালা তৈরি করতে এবং তা বাস্তবায়নের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকে (বিএমডিসি) এ আদেশ বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এ আদেশ দিয়েছেন। আগামী ৭ অক্টোবর পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
হিউম্যান রাইটস ল ইয়ার্স অ্যান্ড সিকিউরিং এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি অব বাংলাদেশের পক্ষে সংগঠনটির কোষাধ্যক্ষ মো. শাহ আলমের করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেওয়া হয়। তাঁর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ড. বশির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ হাসান চৌধুরী পরাগ।
আদালত অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করেছেন। রুলে সব বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স অনুমোদন, এসব প্রতিষ্ঠানে সেবা প্রদানের বিষয়টি তদারকি এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য মেডিক্যাল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স-১৯৮২ অনুসারে নীতিমালা তৈরির কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং সব জেলা সদরে সরকারি হাসপাতালে ৩০ বেডের ইনটেনসিভ করোনারি কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) ও করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) স্থাপনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিএমডিসি, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) ও র্যাব মহাপরিচালককে (ডিজি) রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদেশের পর ড. বশির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, চিকিৎসকদের পেশা একটি মহান পেশা। তাঁদের হাতে মানুষের জীবন থাকে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে—বিভিন্ন হাসপাতালে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ছাড়াও চিকিৎসাসংক্রান্ত উপকরণ ব্যবহারে অনিয়ম হচ্ছে। এগুলো দেখার যথাযথ নীতিমালা নেই। ফলে সামান্য কিছু ঘটলেই চিকিৎসক বা হাসপাতাল কর্মচারীরা ধর্মঘট ডাকে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে। এতে মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। এ কারণেই রিট আবেদন করা হয়।