বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৫ পূর্বাহ্ন
হাওরাঞ্চল প্রতিনিধি, কালের খবর : নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের সহজ-সরল লোকদের কাছ থেকে পল্লী বিদ্যুতের নতুন সংযোগ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে রফিকুল ইসলাম নামে এক দালালের বিরুদ্ধে লাখ-লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার কৈলাটি, বড়পারুয়া, রামনাথপুর, কৃস্টপুর, বৈছাজুরী, মাইঝপাড়া ও বড়খাপন গ্রামের বাসিন্দা রুবেল মিয়া, নয়ন মিয়া, মাহাবুর রহমান, ওয়ারেছ মিয়া ও কামরুল মিয়াসহ ১৬ জন ভুক্তভোগীর স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের বরাবরে প্রেরণ করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার কৈলাটি গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে রফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের একজন চিহ্নিত দালাল হিসেবে পরিচিত। তিনি স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজসে গত প্রায় ৪-৫ বছর যাবত ওই পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের বিভিন্ন কাজে এলাকার সাধারণ লোকজনদের কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে ওই অফিসে দালালী তদবিরের কাজ করে আসছিলেন। এ অবস্থায় গত প্রায় ১ বছর পূর্বে দালাল রফিকুল ইসলাম উপজেলার কৈলাটি, বড়পারুয়া, রামনাথপুর, কৃস্টপুর, বৈছাজুরী, মাইজপাড়া ও বড়খাপন এই সাতটি গ্রামে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে তিনি ওইসব গ্রামের প্রায় ৫০-৬০ জন ব্যক্তির কাছ থেকে জন প্রতি ৮-১০ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু তাকে টাকা দেওয়ার প্রায় ১ বছর পেরিয়ে গেলেও আজো ওইসব গ্রামের লোকজন বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের দালাল রফিকুল ইসলাম এভাবে বিদ্যুতের কথা বলে বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে তিনি ৪-৫ বছরেই কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা উল্লেখ করে বলেন, এলাকার একটি মসজিদের জমাকৃত টাকা-পয়সা বিষয়ে অভিযোগকারীদের সাথে আমার মত-বিরোধ থাকায় তারা আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুতের দুর্গাপুর জোনের ডিজিএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নামে যারা টাকা তুলছেন তারা সমাজের শত্রু এবং আমি মনে করি সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য একটি কুচক্রি মহল কৌশলে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নামে টাকা নিচ্ছে, তারা প্রতারক। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান বলেন, অভিযোগটি খতিয়ে দেখে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড় ুন