শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল কাসাভা। কালের খবর চবি এক্স স্টুডেন্টস ক্লাব ঢাকা এর সভাপতি ব্যারিস্টার ফারুকী এবং সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক স্বপন নির্বাচিত। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল সম্পন্ন। কালের খবর সীতাকুণ্ড হবে বাংলাদেশের অন্যতম মডেল উপজেলা : আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী। কালের খবর মাটিরাঙ্গার গুমতিতে মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মুরাদনগরে সামাজিক সংগঠনের শীতের কম্বল বিতরণ। কালের খবর বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে ‘স্বাধীনতা সোপানে’ শ্রদ্ধা নিবেদন। কালের খবর জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন। কালের খবর জুলাইয়ের শহীদ পরিবারদেরকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নবীউল্লা নবীর আর্থিক সহায়তা ও খাদ্য বিতরণ। কালের খবর
তথ্য সন্ত্রাস ও হলুদ সাংবাদিকতা বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাকে ম্লান করে দিচ্ছে : বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী। কালের খবর

তথ্য সন্ত্রাস ও হলুদ সাংবাদিকতা বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাকে ম্লান করে দিচ্ছে : বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী। কালের খবর

 

কালের খবর ডেস্ক :

তথ্য সন্ত্রাস ও হলুদ সাংবাদিকতা বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাকে ম্লান করে দিচ্ছে। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা নিশ্চিত করতে হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধের কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে।

শনিবার (১২ অক্টোবর) খুলনা প্রেসক্লাবে খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিএফইউজের সদ্য প্রয়াত সভাপতি ও পেশাজীবী নেতা রুহুল আমিন গাজীর স্মরণসভায়, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব এবং বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

সাংবাদিক নেতা কাদের গনি বলেন, হলুদ সাংবাদিকতার কারণে সাংবাদিকরা তাদের মর্যাদা হারাচ্ছেন। যারা ভালো সাংবাদিকতা করে মানুষ তাদের ওপর আস্থা রাখে, বিপদ আসলে পাশে দাঁড়ায়। সুতরাং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে৷

খুলনা মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো.আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও আবুল হাসান হিমালয় ও আবদুর রাজ্জাক রানা’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ স্মরণ সভায় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা, সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জামায়াতে ইসলামীর খুলনা মহানগর আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন হেলাল, বিএফইউজের সহকারি মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন, রফিউল ইসলাম টুটুল, এইচ এম আলাউদ্দিন, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আকরামুজ্জামান ও ড্যাব সভাপতি ডা. মোস্তফা কামাল, এডভোকেট আবদুল্লাহ হোসেন বাচ্চু সহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

কাদের গনি বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার বড্ড দুর্দিন চলছে। কিন্তু আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, সাংবাদিকতায় বস্তুনিষ্ঠতা এক অপরিহার্য বিষয়, বলতে গেলে সাংবাদিকতার প্রান। বস্তুনিষ্ঠতা হচ্ছে আমরা কোন দল বা গোষ্ঠীর পক্ষপাতিত্ব না করা। সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলা।

মোদ্দা কথা বিষয়টা বাড়িয়ে বা কমিয়ে না বলা। সাংবাদিকতা এমন এক পেশা যেখানে নিজের মন্তব্য লেখার কোন সুযোগ নেই। আপনি যা মানুষকে জানবেন তা উপযুক্ত তথ্য ও প্রমান হাতে নিয়ে। একজন সৎ, আদর্শবান সাংবাদিকের লক্ষন হল তিনি পক্ষপাতহীন লিখবেন । কিন্তু আমরা সেটা করছি বা করতে পারছি?

এটাও সত্য যে, আমাদের দেশের বাস্তবতায় একজন সাংবাদিক কখনোই বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করার সুযোগ পান না। যদিও বাংলাদেশের সংবিধানে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার কথা বলা আছে তবুও আপনি স্বাধীন নন । যা সত্য তা আপনি লিখতেও পারেন না বলতেও পারেন না । এক জন সাংবাদিক কে বহু ঘাত পরিঘাত পেরিয়ে সাংবাদিকতায় মুনশিয়ানা দেখাতে হয় ।

তিনি বলেন, মানহানি একটি গর্হিত কাজ। শুধু সাংবাদিক কেন কারো অধিকার নেই কারো মান হানি করা। কোন সম্মানিত মানুষকে যদি অনুমান বশত অপরাধী বলি সেটা অন্যায় । কোন সাংবাদিকের উচিৎ নয় কারো মান হানি কর।কিন্তু সেটি আমরা হরহামেশা করেই যাচ্ছি।হলুদ সাংবাদিকতা শব্দটা সব চাইতে উচ্চারন করে সরকারি দল। হলুদ সাংবাদিকতা হল সংবাদে রঙ দেয়া অর্থাৎ কল্পনার আশ্রয় নেয়া, বাড়িয়ে বলা, প্রমান হাতে না নিয়ে কথা বলা। আমাদের সংবাদ মাধ্যম গুলো এ ভয়ানক কাজটি প্রায় করে যাচ্ছে।

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ভালো সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার পাশাপাশি অপ-সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে থাকতে হবে। সাংবাদিকরা যেন একটি স্বস্তি নিয়ে কাজ করতে পারে সে লক্ষ্যে সাংবাদিক ইউনিয়ন কাজ করছে।

তিনি বলেন, স্বাধীন সাংবাদিকতা গণতন্ত্রের মূল স্তম্ভ হলেও, এটি এখন বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।  রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, আইনি ও প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জগুলো সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে বড়ো অন্তরায় সৃষ্টি করছে। সাংবাদিকদের জন্য একটি নিরাপদ ও স্বাধীন পরিবেশ তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি, যাতে তারা নিরপেক্ষভাবে সংবাদ সংগ্রহ ও প্রচার করতে পারেন। স্বাধীন সাংবাদিকতার সুরক্ষার জন্য আইনি কাঠামো আরও শক্তিশালী করা এবং সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক।

তিনি আরো বলেন, দেশ এখন ফ্যাসিবাদ মুক্ত। এরপরও আমাদের স্বাধীন গণমাধ্যমের জন্য দাবি জানাতে হচ্ছে। সরকারের স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম নীতি থাকলে ও তা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট অনেকের অনীহা রয়েছে। যে কারণে দেশের গণমাধ্যম এখনো নানা প্রতিবন্ধকতার শিকার।  সরকার বিষয়গুলো জানলেও এসব ক্ষেত্রে এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, স্বাধীন সাংবাদিকতা ছাড়া গণতন্ত্র সুরক্ষা পাবে না।  গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
সাংবাদিকদের এনেতা বলেন, কর্মস্থলেও অধিকার বঞ্চিত হওয়ায় কিংবা নিরাপত্তা না থাকার কারনে সাংবাদিকরা স্বাধীন সাংবাদিকতা করতে পারেন না। তাই সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন করা জরুরি। তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকতা একটি ঝুকিপূর্ণ পেশা এখানে কাউকে জোর করে নিয়ে আসা যায় না বরং এই ঝুঁকি মেনে নিয়েই আমাদের সাংবাদিকতা করতে হয়।

সাংবাদিকদের পেশার মর্যাদার কথা তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, এই পেশায় যারা জড়িত তাদের দেশের স্বাধীনতা ও মূল্যবোধের কথা তুলে ধরতে হয়। মনে রাখতে হবে চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে গণমাধ্যম যদি দুর্বল হয় তাহলে রাষ্ট্রব্যবস্থা দুর্বল হয়ে যাবে। সুতরাং দেশেকে সুদৃঢ় রাখতে হলে রাষ্ট্রের বাকি তিনটি স্তম্ভের পাশাপাশি চতুর্থ হিসেবে সংবাদপত্রকেও দায়িত্ব পালন করতে হয়।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com