মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন
মিহিরুজ্জামান সাতক্ষীরাঃ, কালের খবর :
সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুরে দাবীকৃত ৫লক্ষ টাকার মধ্যে বাকি ৩লক্ষ টাকা না পেয়ে কুপিয়ে জখম, চুরি, শ্লীলতাহানি ও ভয়ভীতি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর জখম ইয়াছিন আলী সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা থানায় জি,আর মামলা নং-২২১, তাং ৮ মে। মামলার ধারা ১৪৩, ৪৪৭, ৪৪৮, ৩২৩, ৩২৫, ৩২৬, ৩০৭, ৩৮৫, ৩৮৬, ৩৫৪, ৪২৭, ৩৭৯, ৩৮০, ৫০৬, ১১৪ পেনাল কোড। মামলায় বর্ণিত ১নং আসামী আব্দুর রহিম বাবু ও ইসরাফিলকে ৯ মে রাতে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যম কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এজহার সূত্রে জানা গেছে,গত ৫ মে বিকাল ৪টায় আব্দুর রহিম বাবু, ইসরাফিল, কামাল, আন্নান, আজমির, ফিরোজ ও আনু সহ কিশোর গ্যাং নিয়ে সুলতানপুর সরদারপাড়াস্থ শেখ সানাউল্লাহ’র ছেলে শেখ ইয়াছিন আলীর বাড়িতে গিয়ে হুংকার দিতে থাকে। এসময় তাদের কাছে দা, চাইনিজ কুড়াল, চাকু, লোহার রড, বাঁশের লাঠি সহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ছিল। ইয়াছিন আলীর নিকট দাবীকৃত ৫ লক্ষ টাকার মধ্যে বাকি ৩ লক্ষ টাকা এখনই দিতে হবে, না হলে জীবন নাশের হুমকি দিতে থাকে আব্দুর রহিম বাবু। চাঁদা টাকা দিতে অপারগতা জানালে ইয়াছিন আলীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার পিছনে কোপ দিয়ে হাড়কাটা গুরুতর জখম করে এবং ইসরাফিল চাইনিজ কুড়াল দিয়ে ইয়াছিনের ডান হাতে কোপ মেরে শুরুতর হাড়কাটা জখম করে। এ সময় ইয়াছিন আলীর স্ত্রী ঠেকাতে আসলে তাকেও মারধর, শ্লীলতাহানি করে এবং গলায় থাকা সোনার চেইন ছিড়ে নেয়। ইয়াছিন আলী ও তার স্ত্রীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন আসলে আসামীরা ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর ও আলমারিতে থাকা ৭০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ইয়াছিন আলীকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে আসামী আব্দুর রহিম বাবু ও ইসরাফিল কারাগারে আছে।
উল্লেখ্য, এজহারে উল্লেখিত আসামী আব্দুর রহিম বাবুর বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক মামলা রয়েছে। মামলা নং-জিআর ২৩, তাং ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, জিআর নং ৫৪১, তাং ৫ আগস্ট ২০২১। ইসরাফিলের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক মামলা রয়েছে। মামলা নং-জি,আর নং-১৮৭, তাং ২২ এপ্রিল ২০২৪, জি,আর নং-৫৪১, তাং ৫ আগস্ট ২০২১। এছাড়াও এই কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মানুষকে হয়রানী করার অভিযোগ রয়েছে। এই কিশোর গ্যাংয়ের হুকুমদাতা আব্দুর রহিম বাবু। এ ছাড়াও সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে বিভিন্ন সময়ে এই কিশোর গ্যাং একত্রিত হয়ে বিভিন্ন মানুষকে হয়রানী ও ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করে অর্থ আদায় করে থাকে বলে অভিযোগ আছে।