শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫০ অপরাহ্ন
কালের খবর ডেস্ক :
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা হামলা-মামলার শিকার হচ্ছেন এবং এ সব ঘটনা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। আর কতৃপক্ষ দায়সারা ভাবে এড়িয়ে চলছেন এর কারন কি ? এমন প্রশ্ন এখন সাধারন মানুষের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। এ সব কারনে কারণে বর্তমান সরকারের সময়ে বিশ্ব গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশ পিছিয়ে ৪২ ধাপ। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র শাসনব্যবস্থায় গণমাধ্যম তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র তথা প্রজাতন্ত্রের সুশাসন নিশ্চিত করতে সংবাদ মাধ্যম অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করে থাকেন। রাষ্ট্রের কল্যাণমূলক ও জনগুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলী সর্বোপরি সুশাসন যেমন সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে, ঠিক তেমনি সংবাদমাধ্যম কোনো রাষ্ট্র বা সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করে রাষ্ট্রকে উন্নয়নের দিকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করে। এজন্য সংবাদমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয়। সংবাদপত্র বা মিডিয়া একটি গণতান্ত্রিক দেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এক কথায় সংবাদপত্র বা মিডিয়া রাষ্ট্রের বার্তাবাহক। নিরাপদ সাংবাদিকতা হচ্ছে একটি দেশের গণতন্ত্রের মানদন্ড। গণমাধ্যমে যদি স্বাধীনতা না থাকে, সাংবাদিকতায় যদি রাষ্ট্রের নিরাপত্তা না থাকে, তাহলে গণতন্ত্র মূল্যহীন হয়ে পড়ে । সাংবাদিকদের মধ্যে যে ভীত তৈরী হয় তা গোটা জাতীর জন্য অথ্যন্ত ক্ষতিকর। সংবাদমাধ্যম কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ রাষ্ট্রের দায়ীত্ব ও কর্তব্য। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। সাংবাদিক হলো রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ । জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, অপরাধীর চোখ ফাঁকি দিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করেন । তারপর মেধা খাটিয়ে দৃষ্টিনন্দন ও মনোরঞ্জন বিষয়টি মাথায় রেখে তথ্যনির্ভর পাঠকপ্রিয় সংবাদ সাংবাদিক তৈরি করেন। এমন ঝুঁকি নিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে যারা ঝাঁপিয়ে পড়েন সাংবাদিকতা পেশা তার দৃষ্টান্ত অনেক রয়েছে। আর সাংবাদিকতার মাধ্যম হলো গণমাধ্যম। ফলে গণমাধ্যম কে শক্তিশালী করা কিংবা গণমাধ্যমকে পেশাগত দায়িত্ব পালনে সুযোগ ও সহযোগিতা করা রাষ্ট্রের অন্যতম কর্তব্য। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশের মিডিয়া বা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা অনেক ক্ষেত্রেই প্রশ্ন বৃদ্ধ হয়ে পড়েছে। স্বাধীনতা সবার জন্যই উপভোগের। কিন্তু নিজে স্বাধীনতা ভোগ করতে গিয়ে অন্যেও স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হলো কি-না দেখা যে কোনো সচেতন মানুষের দায়িত্ব। সমাজের বিবেকমান, মানবিক গুণসম্পন্ন ও দায়িত্বশীল মানুষ হিসেবে সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা ও সতর্ক গণমাধ্যমে যারা কাজ করেন তারা কি প্রত্যেকেই সাংবাদিক? বাস্তবে সাংবাদিকতা পেশার সকল পেশাজীবীই হয়ে উঠতে পারেন না প্রকৃত সাংবাদিক। তাই ভুক্তভোগী ক্ষতিগ্রস্তরা কোন কোন সাংবাদিককে ক্ষাণিকটা অবজ্ঞার দৃষ্টিতে দেখে থাকেন।সংবাদপত্র গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে চতুর্থ স্তম্ভ। রাষ্ট্রের কোন স্তম্ভই পরস্পরের প্রতিপক্ষ নয়, বরং পরিপূরক। সাংবাদিকতা অবশ্যই একটি ঝুঁকিপূর্ণ পেশা। তবে এটি অনেক ক্ষেত্রে নিজের জন্য নয়, ব্যক্তিবিশেষ কিংবা কোন শ্রেণী বা প্রতিষ্ঠানের জন্য ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে। সে কারণেই এখন বহুল উচ্চারিত দুটি টার্ম হচ্ছে- হলুদ সাংবাদিকতা ও অপসাংবাদিকতা। এ দুটো আসলে একই। সাংবাদিক যদি ‘ভাড়াটে’ লোকের মতো তার পেশাকে ব্যবহার করেন তাহলে তা সমাজ তথা দেশের জন্য বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। বলা সমীচীন সংবাদপত্রকে প্রতিটি সূর্যোদয়েই পাঠক তথা দেশের নাগরিকদের সমীপে উপস্থিত হতে হয়; প্রতিদিনই তাকে সত্যবাদিতা ও ন্যায়নিষ্ঠার পরীক্ষা দিতে হয়। মিডিয়া বা সংবাদপত্র সতত তাই জবাবদিহিতার মুখোমুখি। তার সম্পাদকীয় নীতি স্বচ্ছ, ইতিবাচক, গণমুখী ও দায়িত্বশীল হবে- এটাই প্রত্যাশিত সকল জনসাধারনের । গণমানুষের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন এবং তথ্যসেবার মাধ্যমে সংবাদপত্র সত্যিকারার্থেই জনতার কণ্ঠ হয়ে উঠবে- সেটাই মানুষের চাওয়া। সংবাদ চেপে যাওয়া বা প্রকাশ না করা, কিংবা সংবাদে রং চড়ানো বা বর্ণ হরণের কোনটাই কাম্য নয়। এটা দেশ ও জাতীর জন্য ক্ষতিকর। তবে এখন প্রশ্ন আমরা কি স্বাধীন সাংবাদিকতা করতে পারছি? সাংবাদিকরা এখন প্রতিনিয়ত পদে পদে লাঞ্চিত,হয়রানী ও মামলা হামলা এবং নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। আমাদের দেশের এ সংবাদমাধ্যম কর্মীরা কতটা নিরাপদে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পাড়ছে তা পদে পদে প্রশ্নবিদ্ধ। প্রতিনিয়তই শুনে আসছি সাংবাদিক বা সংবাদকর্মী নির্যাতন ও হেনস্তার শিকার। সংবাদকর্মীদের অত্যন্ত লাইফ রিক্স নিয়েই সংবাদ সংগ্রহের কাজ করতে হচ্ছে। অত্যান্ত দুঃখজনক হলেও সত্য সংবাদমাধ্যম কর্মীরা আজ দায়িত্ব পালনে জীবন সংশয়ের মধ্যে রয়েছে। এছাড়া বর্তমান সংবাদপত্রগুলোর দৈন্যদশা আরো স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে। তবে এতকিছুর মধ্যেও কিছু পত্রিকা রয়েছে, যারা সব প্রতিকূলতাকে মোকাবিলা করে দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। সে সব পত্রিকার ভূমিকার কারণেই আগামী দিন স্বাধীনতার মূল স্বাদ এদেশের জনগণ একদিন উপভোগ করতে কিছুটা হলেও পারছে। আমি দেখেছি যেদিন থেকে মিডিয়া বা সংবাদপত্রকে অসামান্য ক্ষমতার অধিকারী ও প্রভাবশালী মনে হতে , সেদিন থেকেই সাংবাদিকার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে এবং সাংবাদিকরা হয়রানীর শিকার হচ্ছে। রাষ্ট্রের অন্য তিনটি শক্তি- নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ ও সংসদকে নিয়ন্ত্রণের কিছু নীতি ও বিধি রয়েছে। তা হলে চতুর্থ শক্তি সংবাদপত্রের জন্যে কেন নীতিমালা বা আচরণবিধি থাকবে না এ প্রশ্ন জোরালো হয়ে ওঠে। তিনটি শক্তির নিয়ন্ত্রণ বরাবরই থাকে রাষ্ট্রের কর্ণধারদের হাতে। কিন্তু রাষ্ট্রের কর্ণধাররা অনুরূপভাবে চতুর্থ শক্তি সংবাদপত্রকে নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে সময়ের সময়ে আচরণবিধি, নীতিমালা প্রণয়নের তাগিত বোধ করেন। এছাড়া সীমিত-শৃঙ্খলিত স্বাধীনতার মধ্যেও সাংবাদিকদের ক্ষমতাচর্চাও অপসাংবাদিকতা রোধের আচরণবিধি আরোপের একটি উদ্দেশ্য। সময়ের ব্যবধানে তা আরো কঠোর হয়েছে। এরপরও মনমতো নিয়ন্ত্রণ কয়েম না হওয়ায় নীতিমালা, আচরণবিধি কঠোর থেকে কঠোর করা হয়। এসব বিধিবিধান বর্তমান বিশ্বের দেশে দেশে একটি বিশেষ অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছ। সাংবাদিকতা এমন অবস্থায় দাঁড়িয়েছে যা বলে বুঝানো সম্ভঅব নয়। যার একটি উধারন বর্তমানে অবাধে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে অনুমতি ছাড়াই ঢুকতে পারলেও গত এক মাস যাবৎ সেখানে প্রবেশ করতে পারছিলেন না বলে অভিযোগ সাংবাদিকদের। গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় বিএফডিসির বাগানে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদ্য নির্বাচিত কমিটির বিজয় উপলক্ষে এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সেখানে শিল্পী সমিতির আমন্ত্রণে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক ভাই-বোনেরা সংবাদ সংগ্রহ করতে উপস্থিত হয়েছিল। তখন অহেতুক সাংবাদিকদের উপর হামলা করে। এতে বিভিন্ন গণমাধ্যমের ১০ জন সাংবাদিক আহত হয়। গত শুক্রবারে গভীর রাতে ঢাকার সাভারে অফিস শেষে বাসায় ফেরার পথে দৈনিক যুগান্তরের ক্রাইম রিপোর্টার ইকবাল হাসান ফরিদের ওপর মরিচের গুড়ো সাদৃশ্য এক প্রকার ঝাঁঝালো পাউডার (কেমিকেল) ছিটিয়ে আহত করেছে দূর্বৃত্তরা। পঞ্চগড়ের চিকিৎসার নামে চলছে প্রতারণা শিরোনামে সংবাদ প্রচার করায় বোদা উপজেলায়, মিরপারা গ্রামের বেনামী মিনি হাসপাতালের কথিত কবিরাজ শওকত আলী ও তার ছেলে সাংবাদিক মোঃ শাহীন আলম আশিক কে হুমকী। চট্টগ্রামে যুবলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ক্যামেরাপারসন সেলিম উল্লাহ। জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ১৪৪ ধারা ভেঙে বিবদমান জমি দখলের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে ৪ সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। জামালপুরের বকশীগঞ্জে পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পরাজিত ও বিজয়ী প্রার্থীর সর্মথদের মধ্যে সংঘর্ষে দৈনিক ভোরের দর্পণ পত্রিকার বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি মতিন রহমান হামলার শিকার হয়েছেন।সংবাদ প্রকাশের জেরে যশোরের শার্শায় সাংবাদিক ইকরামুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালিয়েছে মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী আরিকুল ইসলাম। এ ধরনের অনেক ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে। কিন্ত কোন বিচার লক্ষণীয় হচ্ছে না। আমরা জানি জনগণকে আকর্ষণ করে অথবা তাদের ওপর প্রভাব ফেলে এমন বিষয়ে জনগণকে অবহিত রাখাকে একজন সাংবাদিকের দায়িত্ব হিসেবে নির্দিষ্ট করা হয়েছে। জনগণের তথা সংবাদপত্রের পাঠকগণের ব্যক্তিগত অধিকার ও সংবেদনশীলতার প্রতি পূর্ণ সম্মানবোধসহ সংবাদ ও সংবাদভাষ্য রচনা ও প্রকাশ সাংবাদিকতার নৈতিকতাভুক্ত। গুজব ও অসমর্থিত প্রতিবেদন প্রকাশের পূর্বে সেগুলোকে চিহ্নিত করা এবং যদি এসব প্রকাশ করা অনুচিত বিবেচিত হয় তবে সেগুলো প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার বিধান আছে । অবশ্যই এসব বিষয় মাথায় রেখে একজন সাংবাদিককে সাংবাদিকতা করতে হয়। কোনো সাংবাদিকের অনিচ্ছাকৃত বা অসাবধানতাবশত ভুল তথ্য পরিবেশন করলেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে সামিল হয়। একজন সাংবাদিকের ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত যে কোনো ভুল, অসত্য-অর্ধসত্য তথ্য দেশের বিরাট ক্ষতির কারণ হতে পারে। এজন্যে বলা হয়ে থাকে, ডাক্তারের ভুল বা অসাবধানতায় একজন রোগীর সর্বনাশ হয়। কিন্তু সাংবাদিকের বা সংবাদমাধ্যমের ভুলে সর্বনাশ হয় গোটা জাতির। ফেলে সাংবাদিক কে অবশ্যই সংবাদের সত্যতা যাচাই করতে হবে।কিন্ত বর্তমানে সংবাদের সত্যতা যাচাই করতে গেলে সেই সাংবাদিক অধিকাংশ ক্ষেত্রে লাঞ্চিত,হামলা বা মামলার শিকার হচ্ছে। এখন সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা, নির্যাতন-হত্যা সাংবাদিকতা পেশাকে ক্রমাগত ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে। দেশের সার্বিক উন্নয়নে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভের উপযুক্ত প্রতিষ্ঠা করা রাষ্ট্রের সরকার ও জনগনের একান্ত দায়িত্ব। আমাদের দেশে পেশা হিসেবে সাংবাদিকতার মর্যাদা, নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তার ভীত অনেক দুর্বল। সাংবাদিক পেশার সঙ্গে যারা যুক্ত, তাদের ভূত-ভবিষ্যৎ যেন অনিশ্চয়তার আঁধারে হাবুডুবু খাচ্ছে। কারণ এ পেশাটির সামাজিক দায়িত্ব অন্যসব পেশার চেয়ে অনেক বেশি এবং ঝুঁকিপূর্ণ হলেও পেশাদারিত্বের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তাহীন। দেশে প্রিন্ট, টেলিভিশন, অনলাইনসহ অনেক সংবাদমাধ্যম থাকলেও চাকরির বাজারে সাংবাদিকদের বেকারত্বের ঝুঁকিটি থেকেই যাচ্ছে। আমি মনে করি সাংবাদিকদের জন্য পেনশন সুবিধা নিশ্চিত করার একান্ত প্রয়োজন, প্রতিটি সাংবাদিককে ঝুঁকিভাতা দিতে হবে, সহজে ও সাশ্রয়ী চিকিৎসাপ্রাপ্তিতে সাংবাদিকদের জন্য হেলথ কার্ড দেওয়ার একান্ত প্রয়োজন, প্রতিটি সাংবাদিকদের জন্য আবাসন নিশ্চিত করার প্রয়োজন, সাংবাদিকদের সন্তানদের জন্য শিক্ষাভাতার ব্যবস্থা করা অথ্যন্ত জরুরী, পেশাদারিত্বের প্রসারে জন্য প্রতিটি সাংবাদিকের দেশে বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। প্রতিটি সাংবাদিকের জন্য পারিবারিক উন্নয়নে সহজ কিস্তি ও দীর্ঘমেয়াদে লোন সুবিধা দেওয়ার একান্ত প্রয়োজন। প্রতিটি সাংবাদিকের অবশ্যই সরকারী ভাতার ব্যবস্থা অতি জরুরী হয়ে পড়েছে।সাংবাদিকতা পেশাটি পুরোমাত্রায় বেসরকারি মালিকানানির্ভর। কিন্তু সাংবাদিকতা পেশার প্রধানতম দায়িত্ব দেশের কল্যাণে নিবেদিত হয়। সে হিসাবে এই পেশাজীবীদের সার্বিক নিরাপত্তায় সরকারেরও কিছু দায়-দায়িত্ব বেশী থাকার প্রয়োজন। সাংবাদিকদের সুরক্ষা এবং স্বাধীন সাংবাদিকতা শুধু সাংবাদিকদের জন্য উদ্বেগের বিষয় নয়। এটা সবার জন্য উদ্বেগের বিষয়। সাংবাদিকতা মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলে। এটি মানবাধিকারের অগ্রগতির চাবিকাঠি এবং শক্তিশালীদের জবাবদিহি করা একটি মৌলিক কাজ।
সংবাদকর্মীরা কারো প্রতিপক্ষ নয় বরং অন্যায়ের এক জলন্ত শিখা বলা চলে। সংবাদকর্মীরা একদম যতসামান্য সম্মানীর মাধ্যমে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়তই সংবাদ সংগ্রহ করে দেশ সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছে। সংবাদকর্মী নির্যাতন রুখতে রাষ্ট্র ও জনগণের দায়বদ্ধতা রয়েছে। সংবাদকর্মীদের কাজে বাঁধা নয়, সবার সার্বিক সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
লেখক ও গবেষক :
আওরঙ্গজেব কামাল
সভাপতি
ঢাকা প্রেস ক্লাব