বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৮ অপরাহ্ন
তল্লাশী চালিয়ে বিদেশি একটি পিস্তলসহ অস্ত্র-গুলি-হাতবোমা উদ্ধার করা হয়।
কক্সবাজার প্রতিনিধি, কালের খবর :
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও গুলিসহ চার জনকে আটক করা হয়েছে।
যাদের মধ্যে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মি-আরসার ‘বাংলাদেশের প্রধান কমান্ডার’ও আছেন বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এ সাজ্জাদ হোসেন জানান, বুধবার মধ্যরাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত উখিয়া উপজেলার ঘোনারপাড়া ২০ নম্বর এক্সটেনশন ক্যাম্পের এ-৫ ব্লকে অভিযান চালানো হয়।
আটকরা হলেন- ঘোনারপাড়া ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এম-৩৩ ব্লকের আহাম্মেদ হোসেন ওরফে হোসেন আহম্মেদের ছেলে মো. করিম উল্লাহ ওরফে মাস্টার কলিম উল্লাহ (৩২), কুতুপালং ৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-১৫ ব্লকের মৃত মো. কায়সারের ছেলে মো. আকিজ (২৭), বালুখালী ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-৩ ব্লকের আবুল হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ জোবায়ের (২৯) এবং টেকনাফ উপজেলার ২২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-৪ ব্লকের মৃত হাসমত উল্লাহ এর ছেলে সাবের হোসেন ওরফে মৌলভী সাবের (৩৫)।
র্যাব জানিয়েছে, আটকদের মধ্যে মো. করিম উল্লাহ ওরফে মাস্টার কলিম উল্লাহ আরসা’র বাংলাদেশের প্রধান কমান্ডার ও অর্থ শাখার প্রধান ক্যাশিয়ার এবং মো. আকিজ আরসা প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনির অন্যতম দেহরক্ষী। আটক অপর দুইজন আরসা’র সক্রিয় সদস্য।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাজ্জাদ বলেন, বুধবার মধ্যরাতে ক্যাম্পের এ-৫ ব্লকে একটি গোপন আস্তানায় আরসার শীর্ষ এক কমান্ডারসহ কয়েকজন সশস্ত্র ব্যক্তি অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে খবরে র্যাবের একটি দল অভিযান চালায়।
“ঘটনাস্থলে পৌঁছালে উপস্থিতি টের পেয়ে র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে আরসা সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে র্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুড়ে। এক পর্যায়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় চার জনকে আটক করতে সক্ষম হয় র্যাব।
পরে তল্লাশী চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে একটি বিদেশি পিস্তল, পাঁচটি গুলি, দেশীয় তৈরি একটি বন্দুক, ১২ বোরের একটি গুলি এবং সাতটি ককটেল।
পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের এ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক জানান, এ ব্যাপারে মামলা করে চার জনকে উখিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। আরসার এই চার জনের বিরুদ্ধে আগে থেকেই হত্যা, অপহরণ, অস্ত্র ও আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর ওপর হামলাসহ আটটির বেশি মামলা আছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানান হয়, এখন পর্যন্ত র্যাব-১৫ আরসার ১০৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও সামরিক কমান্ডার, গান গ্রুপ কমান্ডার, অর্থ সম্পাদক, আরসা প্রধান আতাউল্লাহর একান্ত সহকারী ও নানা বিভাগের প্রধান আছেন।
তাদের কাছ থেকে ১০টি বিদেশি অস্ত্র, ৫২টি দেশীয় অস্ত্র, ১৪৪টি গুলি/কার্তুজ, গুলির খালি খোসা ৬৭টি, ৫০.২১ কেজি বিস্ফোরক, ২৮টি ককটেল, ৪টি আইইডি, ১.৫ কেজি মার্কারি (পারদ) এবং চারটি হাতবোমা উদ্ধার করা হয়েছে।