বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৮ অপরাহ্ন
কুমিল্লা উত্তর প্রতিনিধি, কালের খবর :
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার আন্দিকোট গ্রামে মমিন মিয়ার দোকানে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই হামলায় বৃদ্ধা নারীসহ চার জন আহত হয়েছে। এ বিষয়ে মোমেন মিয়ার ভাই ও মৃত আব্দুল জলিল মিয়ার ছেলে শিপন মিয়া বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামী করে বাঙ্গরা বাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। আসামীরা হলেন, আন্দিকোট গ্রামের মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে মেহের মিয়া (৫৫), আবু তাহের (৫৭), ওয়াহেদ মিয়া (৪৮), আবুতাহেরের ছেলে রাশেদ মিয়া (২৭), রবিউল মিয়া (২৫), মৃত জাহের মিয়ার ছেলে রুহুল আমিন (৩৩), আলআমিন মিয়ার ছেলে মোঃ অনিকসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন।
অভিযোগ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, মমিন ও তার ভাই শিপনের দির্ঘদিন ধরে উপরোক্ত বিবাদীদের সাথে বাড়ীর সিমানা নিয়ে বিবাদ চলে আসছে, যারফলে এ বিষয়ে তাদের আদালতে মামলা চলমান আছে। আদালতে মামলা থাকা সত্বেও বিবাদীগণ সামান্য বিষয় নিয়ে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়ে গালমন্দসহ প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। গত সোমবার বিকালে শিপন মিয়া সারের দোকান খুলে বসলে উপরোক্ত বিবাদীগন অতর্কীত হামলা করে দোকান ভাংচুর ও তাকে পিটিয়ে আহত করে । খবর পেয়ে তার বড় ভাই মোমেন মিয়া এগিয়ে আসলে তাকেও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। মোমেন ও শিপনের চিৎকার শোনে তাদের বৃদ্ধ মা আয়েশা বেগম (৬৫) ছুটে আসলে তাকেও তারা মারধর করে মাটিতে ফেলে দেয়। এ সময় অন্যান্য দোকানদার আতঙ্কে দোকান বন্ধ করে ছোটাছুটি শুরু করে। মেহের মিয়া গংদের ভয়ে প্রতিবাদ দুরের কথা কেউ মুখ খুলতেও রাজি হয়না। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিলে মঙ্গলবার দুপরে আবারো মোমেন ও তার মায়ের উপর হামলা করে উপরোক্ত আসামিরা।
ভোক্তভূগি সারের দোকানদার শিপন মিয়া বলেন, আমি ১১ই মার্চ সোমবার বিকালে আমার সারের দোকান খোলে বসার পর, মেহের মিয়ার নেতৃত্বে ১০/১২ জন লোক এসে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে নগদ ২৬৫০০০ (দুই লাখ পয়ষট্রি হাজার) টাকা নিয়ে যায় এবং দোকানের জিনিসপত্র ভাংচুর করে। শিপন আরো বলেন, এ সময় তাদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আমাকে গুরুতর আহত করে।
অভিযোগের বিবাদি তাহের মিয়া বলেন, ১১ই মার্চ আমাদের হাজিরা ছিলো আদালতে মোমেন ও শিপন লোক দিয়ে আমাকে হুমকি দিয়েছে, আমি বাড়িতে এসে আমার ছেলেদেরকে বিষয়টি জানালে, তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মোমেন ও শিপনের সাথে মারামারি করেছে।
বাাঙ্গরা বাজার থানার ওসি সফিউল আলম বলেন, এ বিষযে একটি অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।