শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৯ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
অন্তর্বর্তী সরকারের উদারতা কপালপোড়া জাতিকে অনন্তকাল ভোগাবে : হাসনাত। কালের খবর মাটিরাঙ্গা বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির নেতৃত্বে জামাল-মুকুট। কালের খবর তিল ধারণের ঠাঁই নেই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। কালের খবর আমতলীতে ভূমি দস্যুর অত্যাচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন। কালের খবর নবীগঞ্জ প্রেস ক্লাব নির্বাচন সম্পন্ন : সালাম সভাপতি, ছনি সম্পাদক নির্বাচিত। কালের খবর সীতাকুণ্ডে জামায়াত নেতার ওপর হামলা, প্রতিবাদে মিছিল সমাবেশ। কালের খবর আমাকে ও আমার মেয়েদের কুপ্রস্তাব দেয় রাজ্জাক। কালের খবর কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গড়তে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে। কালের খবর ঈশ্বরগঞ্জে কালভার নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ। কালের খবর চ্যালেঞ্জের মুখে দেশের অর্থনীতি। কালের খবর
ওসি তোফায়েল আহমেদ ১৯৬ কারখানা হতে মাসে চাঁদা পান দেড় কোটি। কালের খবর

ওসি তোফায়েল আহমেদ ১৯৬ কারখানা হতে মাসে চাঁদা পান দেড় কোটি। কালের খবর

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের খবর : 

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানা এলাকার ১৯৬ কারখানা থেকে মাসে দেড় কোটি টাকা ‘চাঁদাবাজি’ করা সেই ওসি তোফায়েল আহমেদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, ওসির বিরুদ্ধে ওঠা চাঁদাবাজিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করতে পুলিশ সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) ইনামুল হক সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ডিসিপ্লিন অ্যান্ড প্রফেশনাল স্ট্যান্ডার্ড (শৃঙ্খলা শাখা) বিভাগের পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে কমিটিকে কত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে, তা জানাতে পারেননি তিনি।

‘ওসির “চাঁদাবাজি” ১৯৬ কারখানায়’ শিরোনামে গত বুধবার সংবাদ প্রকাশিত হয়। পুলিশের তদন্ত ও সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে জানা গেছে, সীতাকুণ্ড থেকে প্রতি মাসে প্রায় দেড় কোটি টাকা চাঁদা তোলা হয়। সেখানকার ১৯৬টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, চোরাই জ্বালানি তেল ও জাহাজের পুরোনো আসবাব বিক্রির দোকান, ড্রামের কারখানা, পুরোনো লোহা বিক্রেতা, পরিবহন চালক—কেউই বাদ যান না চাঁদাবাজি থেকে। অবশ্য চাঁদার হার ভিন্ন। কাউকে দিতে হয় দুই হাজার টাকা, কারও কারও কাছ থেকে নেওয়া হয় এক লাখ টাকা। চাঁদাবাজির শিকার শিল্পপ্রতিষ্ঠানের তালিকা ধরে ১১টি কারখানার মালিক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিবেদক। এর মধ্যে ৯টি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মকর্তারা চাঁদা দিতে বাধ্য হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
ওসি তোফায়েলকে সীতাকুণ্ড থানা থেকে সরিয়ে একই জেলার বাঁশখালী থানায় বদলি করা হয়েছে বলে পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। যদিও অভিযোগ রয়েছে, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন ওসি তোফায়েল আহমেদ।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com