নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের খবর :
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানা এলাকার ১৯৬ কারখানা থেকে মাসে দেড় কোটি টাকা ‘চাঁদাবাজি’ করা সেই ওসি তোফায়েল আহমেদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, ওসির বিরুদ্ধে ওঠা চাঁদাবাজিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করতে পুলিশ সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) ইনামুল হক সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ডিসিপ্লিন অ্যান্ড প্রফেশনাল স্ট্যান্ডার্ড (শৃঙ্খলা শাখা) বিভাগের পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে কমিটিকে কত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে, তা জানাতে পারেননি তিনি।
‘ওসির “চাঁদাবাজি” ১৯৬ কারখানায়’ শিরোনামে গত বুধবার সংবাদ প্রকাশিত হয়। পুলিশের তদন্ত ও সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে জানা গেছে, সীতাকুণ্ড থেকে প্রতি মাসে প্রায় দেড় কোটি টাকা চাঁদা তোলা হয়। সেখানকার ১৯৬টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, চোরাই জ্বালানি তেল ও জাহাজের পুরোনো আসবাব বিক্রির দোকান, ড্রামের কারখানা, পুরোনো লোহা বিক্রেতা, পরিবহন চালক—কেউই বাদ যান না চাঁদাবাজি থেকে। অবশ্য চাঁদার হার ভিন্ন। কাউকে দিতে হয় দুই হাজার টাকা, কারও কারও কাছ থেকে নেওয়া হয় এক লাখ টাকা। চাঁদাবাজির শিকার শিল্পপ্রতিষ্ঠানের তালিকা ধরে ১১টি কারখানার মালিক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিবেদক। এর মধ্যে ৯টি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মকর্তারা চাঁদা দিতে বাধ্য হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
ওসি তোফায়েলকে সীতাকুণ্ড থানা থেকে সরিয়ে একই জেলার বাঁশখালী থানায় বদলি করা হয়েছে বলে পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। যদিও অভিযোগ রয়েছে, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন ওসি তোফায়েল আহমেদ।
অফিস : ৪৪-ক, অতিশ দীপঙ্কর রোড, মুগদা, ঢাকা । সম্পাদকীয় কার্যালয় : আরএস ভবন, ১২০/এ মতিঝিল, ঢাকা
মোবাইল : ০১৭৫৩-৫২৬৩৩৩ ই-মেইল : dainikkalerkhobor5@gmail.com
কারিগরি সহযোগিতায় ফ্লাস টেকনোলজি