সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৭ পূর্বাহ্ন
কালের খবর ডেস্ক :
পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)’র উদ্যোগে রবিবার (৫ নভেম্বর) বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সমাবেশে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ২৮ তারিখে পুলিশের ছোঁড়া ছররা গুলি ও টিয়ার সেলের আঘাতে অর্ধ শতাধিক সাংবাদিক রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। অথচ একটি কুচক্রী মহল পুলিশি নির্যাতনের ঘটনাকে আড়াল করার জন্য গোয়েবলসীয় কায়দায় মিথ্যাচার করছে। তাঁরা এ মিথ্যা তথ্য প্রচারের সাথে জড়িত চিহ্নিত এ মহলটির বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সোচ্চার হবার আহবান জানান।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল কদম ফোয়ারা, তোপখানা রোড, পুরানা পল্টন হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এসে শেষ হয়।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খানের উপস্থাপনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বিএফইউজে’র মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন , ডিইউজে’র সাবেক সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, বিএফইউজে’র সাবেক সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলাম কাগজী, ডিইউজে’র সহ-সভাপতি রাশেদুল হক, ডিআরইউর সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, ডিইউজের কোষাধ্যক্ষ খন্দকার আলমগীর, সিনিয়র সাংবাদিক আবুল কালাম মানিক, ডিইউজে’র সাবেক সহ-সভাপতি শাহীন হাসনাত, নির্বাহী পরিষদ সদস্য রাজু আহমেদ ও তালুকদার রুমি প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য জাকির হোসেন, ডিইউজের নির্বাহী সদস্য নিজাম উদ্দিন দরবেশ, এম মোশাররফ হোসাইন, ও গাজী আনোয়ার।
অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, আবু হানিফ, এইচ এম আলামিন, সর্দার মতিন, তালুকদার বেলাল, ইসমাইল আহসান, নুরুল আবছার, শেখ তাজুল ইসলাম, রাসেল পাটোয়ারি, বেলায়েত হোসেন, কামরুজ্জামান, মামুন, নবীউল ইসলাম নয়ন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল আমিন গাজী বলেন, ২৮ তারিখে যে ঘটনা হয়েছে সেটার জন্য সরকার দায়ী। ওবায়দুল কাদের বলেছে ২৮ তারিখে হেফাজতের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে। সরকার পরিকল্পিতভাবে সমাবেশ পন্ড করেছে, এর খেসারত দিতে হবে। একনায়ক তান্ত্রিকভাবে সরকার দেশ চালাচ্ছে, তাই মানুষের অধিকার আদায় ও সাংবাদিক হত্যার বিচার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।
নুরুল আমিন রোকন বলেন, সরকার ২৮ তারিখ লাখো জনতার মহাসমাবেশকে পন্ড করে ঢাকাকে রণক্ষেত্রে পরিণত করেছে। অসংখ্য সাংবাদিককে নির্যাতন করেছে। আজ আমাদের মৌলিক অধিকার ধ্বংস করেছে, এ পরিস্থিতিতে আমাদের বাঁচতে হলে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, এ সরকারের লোকেরা সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যা করছে শুধু তাই নয়, আজকে দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে, পুলিশ মানুষের জান মাল রক্ষা না করে ঘুম, খুন হত্যার রাজনীতিতে নেমেছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে মানুষ কষ্টে জীবন যাপন করছে। কিছু সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নিজেদেরকে স্বার্থের জন্য বিলিয়ে দিয়ে জাতিকে ধ্বংস করবেন না। এখন সময় এসেছে আরো দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারাে পতন ঘটাতে হবে।
শহিদুল ইসলাম বলেন, ২৮ অক্টোবর পরিকল্পিতভাবে সমাবেশকে পন্ড করে সাংবাদিককে হত্যা করেছে। সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করলে এ সরকারের নির্যাতনের শিকার হতে হয়। তাই সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের বিচার না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।
খুরশিদ আলম বলেন, পুলিশ ও সরকার দলীয় ক্যাডাররা মিলে সাংবাদিকদের উপর বর্বর আঘাত করছে। এর বিচার সরকার করবে না তাই সোচ্চার প্রতিবাদের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগ করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।