সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের খবর :
বিএনপি-জামায়াতের টানা ৭২ ঘন্টা ডাকা অবরোধে রাজধানীর পাড়া-মহল্লায় সর্তক পাহারা বসাবে যুবলীগ। এদিন প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নিজ সংগঠনের কর্মীদের নিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত লাঠি নিয়ে পাহারা দেবে। জামায়াত-বিএনপির নেতা-কর্মীদের দেখা মাত্রই প্রতিরোধ ও প্রতিহত করবে। সোমবার বিকালে এসব তথ্য জানিয়েছেন যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক এমদাদুল হক এমদাদ।
দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি নগরীর স্বাভাবিক জীবন-যাপন অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে পাহারাদারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা। তিনি বলেন, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আগামী ৭২ ঘন্টা সর্তকভাবে পাড়া-মহল্লায় পাহারা দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ৩১ অক্টোবর থেকে সকাল-সন্ধ্যা ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিনের ৮টি সংসদীয় আসনে অবস্থান নেবে ওয়ার্ড যুবলীগ নেতারা। তারমধ্যে রয়েছে-ঢাকা-২ সংসদীয় আসনে কামরাঙ্গীর চর, ঢাকা-৪ ধূলাইপাড় মোড়, ঢাকা-৫ দনিয়া কলেজের বিপরীতে বাসস্ট্যান্ড,ঢাকা-৬ বিক্টোরিয়া পার্ক, ঢাকা-৭ চকবাজার মোড়, ঢাকা-৮ গুলিস্তান ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ,ঢাকা-৯ বাসাবো বৌদ্ধমন্দির, ঢাকা-১০ সংসদীয় এলাকার নিউ মার্কেট ও ধানমণ্ডি ৩২ নাম্বারের নগর ও কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নেতারা সর্তক অবস্থানে পাহারা দেবেন। এ বিষয়ে ৬৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী নুরুল আমিন নীরু বলেন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনা অনুযায়ী মঙ্গলবার ভোর থেকে টানা ৭২ ঘন্টা আমরা মাঠে থাকবো। বিএনপি-জামায়াতের কাউকে রাস্থায় নামতে দেখলেই ধাওয়া দেওয়া হবে বলে ঘোষনা দেন তিনি। ৬৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান উদ্দিন মিয়া জানান, বিএনপি-জামাতের অবরোধের প্রতিবাদে সকাল থেকেই মাঠে থাকবো। তিনি জানান, ৬৩নং ওয়ার্ড এলাকায় মিছিল-সমাবেশ কিংবা কোনো ধরনের অবস্থান নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের কর্মীদের সেখানেই প্রতিহত করা হবে। বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের প্রতিবাদে এবং নগরবাসির জানমাল রক্ষায় ৪৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শেখ মনিরুজ্জামান রবিনের নির্দেশনায় গেণ্ডারীয়া এলাকায় ৮টি গুরুত্বপূর্ণ স্পটে ৪ শতাধিক নেতাকর্মী হকিস্ট্রিক হাতে দায়িত্ব পালন করবে। প্রতিটি স্পটে ৫০জন নেতাকর্মী সর্তক অবস্থানে থেকে আগামী ৭২ ঘন্টা পাহারায় থাকবেন। শেখ মনিরুজ্জামান রবিন বলেন, মঙ্গলবার ভোর থেকে গেণ্ডারীয়া এলাকায় অপরিচিত কিংবা সন্দেহ কাউকে দেখলেই যুবলীগ নেতাকর্মীরা তার পরিচয় জানতে চাইবে। তবে বিএনপি-জামায়াতে কর্মী হলে তাদের ফেরত পাঠানো হবে। যেতে না চাইলে পুলিশের হাতে ন্যাস্ত করা হবে। আশা করছি অন্তত্ব গেন্ডারীয়া এলাকায় সরকারবিরোধীরা কোনো ধরনের নাশকতা-নৈরাজ্য করবে না। ৬৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো: রাসেল ভূঁইয়া বলেন, যুবলীগ একটি সুশৃঙ্খল ও শক্তিশালী সংগঠন। আমরা কখনো কারো সঙ্গে গায়ে পড়ে জগড়া-বিবাদে জড়িত হই না। তবে কেউ বিশৃঙ্খলা-জ্বালাও পোড়াও করলে, সেখানে প্রতিরোধ করা হবে। আশা করবো আগামী ৭২ঘন্টা ৬৬ নং ওয়ার্ডে কেউ অবরোধের কর্মসূচি পালন করবে না। যদি কাউকে এদিন মাঠে পাওয়া যায়,পরিনাম ভালো হবে না। তবে যুবলীগের নেতাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে উঠেছে। দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন দেখে বিএনপিসহ দেশবিরোধী শক্তিরা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। যুবলীগের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে এসব অপশক্তির বিরুদ্ধে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে থাকবে যুবলীগ। এরআগে গত ৩০ অক্টোবর দেশের সব মহানগরে ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ এবং আগামী ১ নভেম্বর দেশের সব জেলায় ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ এবং ২ নভেম্বর দেশের সব উপজেলা-থানা-পৌরসভায় ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশসহ মাসব্যাপী কর্মসূচি দিয়ে মাঠে অবস্থান করছে যুবলীগ। চলমান এই কর্মসূচির মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতসহ সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সহিংস ও নৈরাজ্যমূলক কর্মসূচি কঠোরভাবে প্রতিরোধ করবে।