শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৯:২৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কাজ করতে গিয়ে বাড়িতে ফিরলো শ্রমিকের লাশ!। কালের খবর কুষ্টিয়ায় পানি সংকটে খাদ্য উৎপাদনে বিপর্যয়ের শঙ্কা। কালের খবর ডেমরায় ৬৭ নং ওয়ার্ডের মেহনতি মানুষের মাঝে খাবার পানি, স্যালাইন বিতরণ করেন জননেতা তৌফিকুর রহমান শাওন। কালের খবর যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে মামলা। কালের খবর সাতক্ষীরায় মহান মে দিবস উপলক্ষে র‍্যালী। কালের খবর সাতক্ষীরার আলীপুরে বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আব্দুর রউফ বিজয়ী। কালের খবর উপজেলা নির্বাচনে রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দুলুর প্রার্থীতা ঘোষণা। কালের খবর কক্সবাজারে স্পা’র আড়ালে অনৈতিক কর্মকাণ্ড। কালের খবর ডেমরায় পরিবহনে চাঁদা আদায়, গ্রেফতার ৩ চাঁদাবাজ। কালের খবর রেলের ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান যাত্রী কল্যাণ সমিতি। কালের খবর
যশোরের মাটিতেই প্রথম উড়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। কালের খবর

যশোরের মাটিতেই প্রথম উড়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। কালের খবর

আবেদ হোসাইন, যশোর প্রতিনিধি: কালের খবর :

‘দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা/কারো দানে নয়
দাম দিয়েছি লক্ষ কোটি প্রাণ/জানা আছে জগৎময়।’ জীবনের মূল্য দিয়ে কেনা বাংলাদেশের মানচিত্রে প্রথম হানাদার মুক্ত হয়েছিল যশোর।
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বরের এই দিনে যশোরের মাটিতে প্রথম উড়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজের বিজয়ী নিশান।বাঙালি জাতির সহস্র বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঘটনা ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তির সংগ্রাম। যার মাধ্যমে এসেছিল এ গাঙেয় ভূখণ্ডের সবচেয়ে মর্যাদার অর্জন স্বাধীনতা।

বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীন জেলা হিসেবে এই গৌরবোজ্জ্বল দিনটি যশোর তথা বাঙালি জাতির ইতিহাসে চির জাগ্রত হয়ে আছে।উত্তাল একাত্তরের যুদ্ধপ্রস্তুতিকালে ৩ মার্চ যশোর কালেক্টরেটের সামনে শহরের রাজপথে বের হয় জঙ্গি মিছিল। যশোরবাসী শপথ নেয় স্বাধীনতা যুদ্ধের। এই মিছিলে হানাদার বাহিনী গুলি চালালে শহীদ হন চারুবালা কর। স্বাধীনতা সংগ্রামে তিনিই যশোরের প্রথম শহীদ। এরপর থেকেই যশোরে সংগঠিত হতে থাকে প্রতিরোধ।

প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা ভারত সীমান্তবর্তী এই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রচন্ড- আক্রমণ শুরু করে। বৃহত্তর যশোর জেলা ছিল ৮ নম্বর সেক্টরের অন্তর্গত। এই সেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন মেজর এমএ মঞ্জুর।

হাকিমপুর সাবসেক্টরের অধিনায়ক ক্যাপ্টেন শফিউল্লাহ ও বেনাপোল সাবসেক্টরের অধিনায়ক ক্যাপ্টেন আব্দুল হালিম পরে ক্যাপ্টেন তৈফিক ই-এলাহীর অসীম সাহসীকতায় মুক্তিসেনারা ভারতীয় নবম ডিভিশনের অধিনায়ক মেজর জেনারেল দলবীর সিংয়ের নেতৃত্বে মিত্রবাহিনীর সহযোগীতায় ৫ ডিসেম্বর যশোর ক্যান্টনমেন্টসংলগ্ন মনোহরপুর মাঠে সম্মুখ যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এই যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে ভীত হয়ে পড়েন যশোর ক্যান্টনমেন্টের হানাদার বাহিনীর প্রধান ব্রিগেডিয়ার হায়াত খান। তিনি তার সেনা সদস্যদের গুঁটিয়ে নিয়ে যান ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে। ওইদিন বিকেলে যশোর ক্যান্টনমেন্টের ৩ দিকে শক্ত ঘাঁটি গড়ে তোলে মুক্তি ও মিত্রবাহিনী। ব্রিগেডিয়ার হায়াত খান ওই রাতেই অস্ত্র ও গোলাবারুদ ফেলে সেনাদের নিয়ে পালিয়ে যায় খুলনায়। হানাদার মুক্ত হয় যশোর জেলা।
৬ ডিসেম্বরের ভোর থেকে হানাদারমুক্ত যশোর জেলা শহরে বিভিন্ন রণাঙ্গন থেকে দলে দলে ফিরতে থাকে সশস্ত্র মুক্তিসেনা ও স্বাধীনতাকামী মানুষ। বিকেলেই শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহাসিক টাউনহল ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। এ সময় শহরের রেল স্টেশনে প্রথম উড়ানো হয় স্বাধীন বাংলার কষ্টার্জিত অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত পতাকা। পরে উত্তোলন করা হয় যশোর কালেক্টরেট ভবনে। মুহুর্মুহু স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে যশোর শহরের চারপাশ।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com