সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
আমাকে ও আমার মেয়েদের কুপ্রস্তাব দেয় রাজ্জাক। কালের খবর কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গড়তে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে। কালের খবর ঈশ্বরগঞ্জে কালভার নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ। কালের খবর চ্যালেঞ্জের মুখে দেশের অর্থনীতি। কালের খবর জুলাই-আগষ্টে শহীদদের ছাড়া আর কারো প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। কালের খবর পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল কাসাভা। কালের খবর চবি এক্স স্টুডেন্টস ক্লাব ঢাকা এর সভাপতি ব্যারিস্টার ফারুকী এবং সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক স্বপন নির্বাচিত। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল সম্পন্ন। কালের খবর সীতাকুণ্ড হবে বাংলাদেশের অন্যতম মডেল উপজেলা : আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী। কালের খবর মাটিরাঙ্গার গুমতিতে মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর
যশোরের মাটিতেই প্রথম উড়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। কালের খবর

যশোরের মাটিতেই প্রথম উড়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। কালের খবর

আবেদ হোসাইন, যশোর প্রতিনিধি: কালের খবর :

‘দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা/কারো দানে নয়
দাম দিয়েছি লক্ষ কোটি প্রাণ/জানা আছে জগৎময়।’ জীবনের মূল্য দিয়ে কেনা বাংলাদেশের মানচিত্রে প্রথম হানাদার মুক্ত হয়েছিল যশোর।
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বরের এই দিনে যশোরের মাটিতে প্রথম উড়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজের বিজয়ী নিশান।বাঙালি জাতির সহস্র বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঘটনা ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তির সংগ্রাম। যার মাধ্যমে এসেছিল এ গাঙেয় ভূখণ্ডের সবচেয়ে মর্যাদার অর্জন স্বাধীনতা।

বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীন জেলা হিসেবে এই গৌরবোজ্জ্বল দিনটি যশোর তথা বাঙালি জাতির ইতিহাসে চির জাগ্রত হয়ে আছে।উত্তাল একাত্তরের যুদ্ধপ্রস্তুতিকালে ৩ মার্চ যশোর কালেক্টরেটের সামনে শহরের রাজপথে বের হয় জঙ্গি মিছিল। যশোরবাসী শপথ নেয় স্বাধীনতা যুদ্ধের। এই মিছিলে হানাদার বাহিনী গুলি চালালে শহীদ হন চারুবালা কর। স্বাধীনতা সংগ্রামে তিনিই যশোরের প্রথম শহীদ। এরপর থেকেই যশোরে সংগঠিত হতে থাকে প্রতিরোধ।

প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা ভারত সীমান্তবর্তী এই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রচন্ড- আক্রমণ শুরু করে। বৃহত্তর যশোর জেলা ছিল ৮ নম্বর সেক্টরের অন্তর্গত। এই সেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন মেজর এমএ মঞ্জুর।

হাকিমপুর সাবসেক্টরের অধিনায়ক ক্যাপ্টেন শফিউল্লাহ ও বেনাপোল সাবসেক্টরের অধিনায়ক ক্যাপ্টেন আব্দুল হালিম পরে ক্যাপ্টেন তৈফিক ই-এলাহীর অসীম সাহসীকতায় মুক্তিসেনারা ভারতীয় নবম ডিভিশনের অধিনায়ক মেজর জেনারেল দলবীর সিংয়ের নেতৃত্বে মিত্রবাহিনীর সহযোগীতায় ৫ ডিসেম্বর যশোর ক্যান্টনমেন্টসংলগ্ন মনোহরপুর মাঠে সম্মুখ যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এই যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে ভীত হয়ে পড়েন যশোর ক্যান্টনমেন্টের হানাদার বাহিনীর প্রধান ব্রিগেডিয়ার হায়াত খান। তিনি তার সেনা সদস্যদের গুঁটিয়ে নিয়ে যান ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে। ওইদিন বিকেলে যশোর ক্যান্টনমেন্টের ৩ দিকে শক্ত ঘাঁটি গড়ে তোলে মুক্তি ও মিত্রবাহিনী। ব্রিগেডিয়ার হায়াত খান ওই রাতেই অস্ত্র ও গোলাবারুদ ফেলে সেনাদের নিয়ে পালিয়ে যায় খুলনায়। হানাদার মুক্ত হয় যশোর জেলা।
৬ ডিসেম্বরের ভোর থেকে হানাদারমুক্ত যশোর জেলা শহরে বিভিন্ন রণাঙ্গন থেকে দলে দলে ফিরতে থাকে সশস্ত্র মুক্তিসেনা ও স্বাধীনতাকামী মানুষ। বিকেলেই শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহাসিক টাউনহল ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। এ সময় শহরের রেল স্টেশনে প্রথম উড়ানো হয় স্বাধীন বাংলার কষ্টার্জিত অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত পতাকা। পরে উত্তোলন করা হয় যশোর কালেক্টরেট ভবনে। মুহুর্মুহু স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে যশোর শহরের চারপাশ।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com