মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন
প্রধানমন্ত্রী শনিবার পাবলিক সার্ভিস দিবস উদযাপন এবং ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশসাশন পদক-২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।অনুষ্ঠানে ২৭ জন কর্মকর্তা, তিনটি মন্ত্রণালয় ও একটি ইউনিটের কাছে পদক তুলে দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দিয়ে একটি দেশকে শিক্ষা দেওয়ার ফর্মূলায় আজকে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর মতো অনেক উন্নত দেশও বিপাকে পড়ে গেছে। আমাদের দেশে যেমন মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে, কিন্তু অনেক উন্নত দেশে অনেক অনেক বেশি মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে। জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেছে।’
ইংল্যান্ড, আমেরিকা ও ইউরোপের অনেক উন্নত দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেল সাশ্রয়ে অনেক উন্নত দেশ বাধ্যবাধকতা আরোপ করার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তার সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপ এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কর্মদক্ষতায় বাংলাদেশ এখনো অনেক দেশ থেকে ভালো অবস্থায় থাকলেও আমাদের আপদকালীন চিন্তায় আরও সাশ্রয়ী ও মিতব্যয়ী হতে হবে এবং যে কোনো প্রকার অপচয়কে রোধ করতে হবে।’
সরকারপ্রধান এই সময়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের গতি আরও ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করাতেও তার সরকারের সাফল্য তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী অতীতে দক্ষিণ জনপদের অবহেলিত জনগণের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘একটি মানুষও আর অবেহেলিত থাকবে না এবং কেউ না খেয়ে কষ্ট পাবে না।’
তার সরকারের ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে বিনামূল্যে ঘর তৈরির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমরা সবার ঠিকানা গড়ে দেব। শুধু ঘর নয়, তাদের জীবন-জীবিকার সুযোগও করে দিচ্ছে সরকার।’
তার সরকারের ইতোমধ্যে পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলার সবগুলো উপজেলাসহ ৫২টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন উপজেলা হিসেবেও ঘোষণা প্রদানের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগামীতে পুরো বাংলাদেশকেই আমরা এমনিভাবে ইনশাআল্লাহ ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত করতে পারব, প্রত্যেক মানুষের একটা স্থায়ী ঠিকানা থাকবে। তাহলে দেশের চলমান উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত রাখাটাও সহজ হবে।’
দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তার সরকার সুনির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জ গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে এবং একটার পর একটা চ্যালেঞ্জ সফলভাবে বাস্তবায়ন করাটা দৃপ্তিদায়ক বলেও তিনি উল্লেখ করেন এবং এই চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়নে সবাইকে আন্তরিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদও জানান প্রধানমন্ত্রী।
জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি সফলভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৪১ এর উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।