সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
আমাকে ও আমার মেয়েদের কুপ্রস্তাব দেয় রাজ্জাক। কালের খবর কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গড়তে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে। কালের খবর ঈশ্বরগঞ্জে কালভার নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ। কালের খবর চ্যালেঞ্জের মুখে দেশের অর্থনীতি। কালের খবর জুলাই-আগষ্টে শহীদদের ছাড়া আর কারো প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। কালের খবর পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল কাসাভা। কালের খবর চবি এক্স স্টুডেন্টস ক্লাব ঢাকা এর সভাপতি ব্যারিস্টার ফারুকী এবং সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক স্বপন নির্বাচিত। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল সম্পন্ন। কালের খবর সীতাকুণ্ড হবে বাংলাদেশের অন্যতম মডেল উপজেলা : আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী। কালের খবর মাটিরাঙ্গার গুমতিতে মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর
তাড়াশ উপজেলায় এবারও পিস হিসেবে কিনে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ‘তরমুজ’। কালের খবর

তাড়াশ উপজেলায় এবারও পিস হিসেবে কিনে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ‘তরমুজ’। কালের খবর

মোঃ মুন্না হুসাইন তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি, কালের খবর : তাড়াশ উপজেলার মান্নান নগর বাজার, মহিষলুটি বাজার, ও ঐতিহ্যবাহী নওগাঁর হাট সহ বিভিন্ন হাট বজারে ঘুরে দেখা গেছে গত বছরের মতো এবছরও কেজি দরে তরমুজ বিক্রি চলছে দেদারছে। শুধু বিভিন্ন বাজারেই নয়; পাড়া ও মহল্লায় ভ্যান গাড়িতে ফেরি করেও কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে মৌসুমী রসালো ফল তরমুজ।

মান্নান নগর বাজারের একটি দোকানে তরমুজ ক্রয় করতে আসা ক্রেতা মামুন আহম্মাদ বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি তরমুজ উৎপাদিত হয়। অথচ সেই অঞ্চলে যদি এতো দাম হয়, তাহলে দেশের অন্যস্থানে তরমুজ সোনার হরিণে রূপ নিবে। এজন্য জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের এখন থেকেই মাঠপর্যায়ে অভিযানে নামার জন্য তিনি (অভি) অনুরোধ করেন তিনি।

শুক্রবারে সকালে বাজারের তরমুজ বিক্রি করতে আসা একাধিক কৃষকরা বলেন, চলতি মৌসুমে চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি তরমুজ উৎপাদিত হলেও খুচরা বিক্রেতারা সিন্ডিকেট করে বাজারে বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে। এরপর অস্থির করে তোলা হচ্ছে মৌসুমি এই ফলের বাজার। ফলে কম আয়ের ক্রেতারা তরমুজ ভোগ করতে পারেন না।

কৃষকরা আরও বলেন, ছয় থেকে সাত কেজি ওজনের একটি তরমুজ পাইকারী দামে সর্বোচ্চ ১২০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। অথচ খুচরা বিক্রেতারা সেটি যখন ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন তখন তরমুজটির দাম হয় পাঁচশ’ টাকার কাছাকাছি। যে দোকান থেকেই ক্রেতা তরমুজ কিনছে সেই সিন্ডিকেট ব্যবসায়িদের কবলেই পরছে।

মান্নান নগর বাজারে তরমুজ ক্রয় করতে আসা ক্রেতা মোঃ রাকিব বলেন, কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করা ক্রেতা ঠকানোর একটি কৌশল। ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করে সহজে বেশি টাকা আয় করতেই বিক্রেতারা এমন ফাঁদ পেতেছেন।

ওই তরমুজ বিক্রেতা আরও বলেন, কেজিতে তরমুজ বিক্রি করলে ক্রেতাদের সাথে কথা কম বলে বেশি লাভ করা যায়। একটি তরমুজ ১৩০ টাকায় ক্রয় করা হলেও কেজি দরে বিক্রি করলে কমপক্ষে ২৫০ টাকায় বিক্রি করা যায়। পিস হিসেবে বিক্রি করতে গেলে ১৩০ টাকার তরমুজ ক্রেতারা ১০০ টাকাও দাম বলেন না।

তাড়াশ উপজেলার কৃশি কর্মকর্তা বলেন, বাজারে তরমুজ উঠতে শুরু করেছে। কৃষকরা তরমুজ শতক হিসেবে বিক্রি করেছেন। কোনো খুচরা বিক্রেতা যেন ক্রেতাদের সাথে প্রতারনা করে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করতে না পারেন সেজন্য খুব শীঘ্রই অভিযান শুরু করা হবে। তবে প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন বাজারে বিক্রেতাদের কেজি দরে তরমুজ বিক্রি না করার জন্য সতর্ক করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com