মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২২ পূর্বাহ্ন
আহমেদ সাজু (সখীপুর) টাঙ্গাইল, কালের খবর :
বাগানের চারদিকে তাকালে দেখা মেলে, হরেক রকম ফলের গাছ। এমন চিত্র, টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের কালমেঘা গ্রামের ব্যাংক কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বাপ্পীর ফলজ বাগানে। গত দুবছর আগে করোনার সময় নিজ উদ্যোগ গড়ে ওঠা বাগানে মাল্টা বারি-১ ও সিডলেস লেবু চাষ করে।বসতবাড়ির কাছে ৩ একর পৈত্রিক অনাবাদি জমিতে বাহারি ফলের চাষ করে।তানজিম এগ্রোফার্মের সত্ত্বাধিকারী ব্যাংক কর্মকর্তা বহুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লুৎফর রহমান জানান,কৃষক পরিবারে বেড়ে ওঠায় ছোট সময় থেকেই বাবার সাথে কৃষি কাজে মনোনিবেশ ছিল। যার কারণে নানান প্রজাতির ফলের চাষ করা শুরু করি। তাছাড়া আমার এ বাগানে রয়েছে লিচু, লটকন জাম্বুরা সহ বিভিন্ন প্রকার ফলজ গাছের চারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাগানে রয়েছে উন্নত জাতের রাজশাহী সুস্বাদু আমের চাষ।আরেক পাশে কাশ্মীরি কুল,আপেল বড়ই গাছ।বাগানের বিভিন্ন ধরনের ফলের প্লটে মৌসুমের সবজি চাষ করা হয়েছে। কথা হয় বাগান মালিকের চাচা বানিজুর রহমানের সাথে,তিনি প্রতিবেদকে বলেন,এ বাগানের ফল ও সবজি কীটনাশক মুক্ত হওয়ায় প্রতিদিন সকালে বাগানে ক্রেতা আসে।এ বিষয়ে ব্যাংক কর্মকর্তা লুৎফর রহমান জানান, আমি সকালে অফিসে যাওয়ার আগে বাগানে নিয়মিত পরিচর্যা করি।রাসায়নিক সারের ব্যবহারের চেয়ে জৈব সার বেশি প্রয়োগ করি।তিনি আরও বলেন, বাগানের প্রতিটি চারাগাছ আমার সন্তানের মতো যত্ন করি।এছাড়া বাগানের কাছে ৭০শতাংশ জমিতে পুকুর খনন করে মৎস্য চাষ করছি।আমার অবসর সময় কেটে যায় এসব নিয়েই। আমার পরিবারের অন্যান্য লোকজনও বাগানের প্রতি খুব যত্নশীল। তিনি আশা করেন, উদ্যোমী তরুণরা এ রকম বাগান করলে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকা সমৃদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।