মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
আমাকে ও আমার মেয়েদের কুপ্রস্তাব দেয় রাজ্জাক। কালের খবর কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গড়তে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে। কালের খবর ঈশ্বরগঞ্জে কালভার নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ। কালের খবর চ্যালেঞ্জের মুখে দেশের অর্থনীতি। কালের খবর জুলাই-আগষ্টে শহীদদের ছাড়া আর কারো প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। কালের খবর পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল কাসাভা। কালের খবর চবি এক্স স্টুডেন্টস ক্লাব ঢাকা এর সভাপতি ব্যারিস্টার ফারুকী এবং সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক স্বপন নির্বাচিত। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল সম্পন্ন। কালের খবর সীতাকুণ্ড হবে বাংলাদেশের অন্যতম মডেল উপজেলা : আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী। কালের খবর মাটিরাঙ্গার গুমতিতে মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর
চা বিক্রিতে শেফালির বাজিমাত

চা বিক্রিতে শেফালির বাজিমাত

শেফালি বেগমের সচ্ছলতার পেছনে অনেক ত্যাগ ও সংগ্রামের গল্প আছে। যশোর শহরের ধর্মতলা এলাকার ‘কাকির চায়ের দোকান’র মালিক শেফালি বেগম এ প্রসঙ্গে বলেন, জমিজমা না থাকায় যশোর শহরের ধর্মতলা রেললাইনের পাশে সরকারি জমির ওপরে একটি খুপরি ঘরেই দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করছি। ১৫ বছর আগে আমার স্বামী চা বিক্রেতা খাইরুল ইসলাম জটিল রোগে শয্যাশায়ী হন। সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির এমন অসুস্থতায় ভেঙে পড়ি। এরই মধ্যে স্বামীর চিকিৎসার খরচ জোগাতে আত্মীয়স্বজন ও বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ধারদেনায় জড়িয়ে পড়ি। সংসারে উপার্জনক্ষম ব্যক্তি না থাকায় অনাহারে অর্ধাহারে কাটতে থাকে দিন। বাধ্য হয়ে ধর্মতলা ফুটপাতে চা বিক্রি শুরু করি। ছেলেকেও সহযোগিতার জন্য কাজে লাগাই।

দোকানটি প্রধান সড়কের পাশে হওয়ায় অল্প দিনেই পরিচিতি পায় সবার কাছে। কোনো মতে তিনবেলা খেয়ে পুঁজি জমিয়ে চায়ের সঙ্গে বিস্কুট, কেকসহ বিভিন্ন নাস্তার আইটেম যোগ করেন তিনি। প্রথমে রং চা বিক্রি করলেও ক্রেতাদের চাহিদায় স্পেশাল দুধের চা বিক্রি শুরু করেন শেফালি। অল্পদিনে স্পেশাল দুধ চায়ের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। সব বয়সি মানুষের কাছে ‘কাকির চায়ের দোকান’র স্পেশাল চায়ের কদর বেশি। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চা-প্রেমীদের পদচারণায় মুখরিত শেফালি বেগমের চায়ের দোকান।

শেফালি বেগম বলেন, প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকে আমার দোকান। আমি নিজেই চা তৈরি করি। দুপুরের পর থেকে দোকানে ভিড় বাড়তে থাকে। বিকালের পর ভিড় জমে যায়। সব বয়সি মানুষের কাছে আমার চা প্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৬০ কেজি গরুর দুধে প্রায় সাড়ে ৩০০ কাপ স্পেশাল চা বিক্রি করি। যার দাম ৫-৬ হাজার টাকা। সঙ্গে লাল চাও বিক্রি করি। সব মিলিয়ে খরচ বাদে মাসে ২৫-৩০ হাজার টাকা আয় হয়। এতে চলে অসুস্থ স্বামীর চিকিৎসা ও সংসার খরচ। চা বিক্রির টাকায় দুই ছেলেমেয়েকে বড় করেছি। মেয়েটাকে বিয়ে দিয়েছি। শ্বশুরবাড়িতে সুখে আছে মেয়েটি। চায়ের ব্যবসায় আগের চেয়ে এখন লাভ বেশি। তাই এ ব্যবসায় চালিয়ে যাব যতদিন পারি।

শেফালি বেগমের অসুস্থ স্বামী খাইরুল ইসলাম জানান, আমার সংসারের হাল ধরতে গিয়ে শেফালি আগুনে পুড়ে কয়লা হয়েছে। তার কষ্ট, শ্রম, ঘামে আমার সংসার টিকে আছে। আমরা খেয়ে পরে বেঁচে আছি।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com