মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তাকে একটি  মাইক্রোবাসে নিজ বাড়ি পশ্চিম চরবর্ণি গ্রাম থেকে পাবনায় পাঠানো হয়। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বাবা নুরুল ইসলাম, মা আমেরা বেগম এবং ফুপা।

রবিউলের বাবা নুরুল ইসলাম বলেন, আমার মতো হতদরিদ্র মানুষের পাশে এভাবে কেউ দাঁড়াবে ভাবিনি।

তিনি দৈনিক কালের খবরসহ গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমার রবিউলকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ না হলে হয়তো সারা জীবন ওই মাটির গর্তেই থাকতে হতো তাকে।

নুরুল ইসলাম স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকে ধন্যবাদ জানান।

জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দের উদ্যোগে উপজেলা সমাজ সেবার অর্থায়নে রবিউলের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।

এ ছাড়া বোয়ালমারী থানার ওসি নুরুল আলম ব্যক্তি উদ্যোগে নগদ অর্থ ও একটি মাইক্রোবাসে যাতায়াতে  সহায়তা করে।

এর আগে সোমবার (২ আগস্ট) বেলা ৩টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ইউএনও ঝোটন চন্দ বোয়ালমারী উপজেলা সমাজ কল্যাণ পরিষদের পক্ষ থেকে মানসিকভাবে অসুস্থ রবিউল ইসলামের বাবার হাতে চারটি টি-শার্ট ও চারটি ট্রাউজার্সও তুলে দেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ বলেন, বিনা মূল্যে রবিউলের সুচিকিৎসার জন্য পাবনা মানসিক হাসপাতালে ভর্তির যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই তাকে পাঠানো হয়েছে।

বোয়ালমারী থানার ওসি নূরুল ইসলাম জানান, রবিউলের খবরটি দৈনিক কালের খবর পত্রিকা থেকে জানার পরেই পুলিশ সুপারের নির্দেশে তার বাড়ি ছুটে যাই এবং আমরা তাকে আর্থিক সহায়তা করি। প্রয়োজনে আরো করা হবে।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে সরকার সারা দেশের দরিদ্র বিমোচনের জন্য নানা কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

আর সেখানে রবিউলের মতো মানুষ সুচিকিৎসা পারে না । এটা হতে পারে না।

তিনি বলেন, আমরা পাবনা মানসিক হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে তার সব ধরনের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করেছি। আশা করছি রবিউল ভালো হয়ে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে।