মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
দিনাজপুরে বাঁশ ফুলের চাল তৈরি করে বিস্ময় সৃষ্টি করেছেন সাঞ্জু রায়। কালের খবর প্রবীণ সাংবাদিক জিয়াউল হক জিয়া আর নেই। কালের খবর ছবি তোলার অপরাধে সাংবাদিক গ্রেফতার, অত:পর মুক্তি। কালের খবর মুরাদনগরে তীব্র গরমে একই বিদ্যালয়ের ৭ শিক্ষার্থী অসুস্থ। কালের খবর ফায়ার ও পরিবেশ ছাড়পত্র জানতে চাওয়াতে ম্যানেজার সাকিল, সাংবাদিকের সাথে অশুভ আচরণ। কালের খবর সাতক্ষীরার আলীপুরে বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আব্দুর রউফ বিজয়ী। কালের খবর মুরাদনগরে বাস-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে ১জন নিহত। কালের খবর স্বাধীন সাংবাদিকতা রক্ষায় সাংবাদিকদের নিরাপত্তা জরুরি। কালের খবর সাতক্ষীরায় চার পিচ স্বর্ণের বার সহ আটক এক। কালের খবর সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই। কালের খবর
বিআরটিএ চট্টগ্রাম অফিসে অটোরিক্সা নিবন্ধনে ৩১ কোটি টাকা ঘুষ-বাণিজ্যের অভিযোগ। কালের খবর

বিআরটিএ চট্টগ্রাম অফিসে অটোরিক্সা নিবন্ধনে ৩১ কোটি টাকা ঘুষ-বাণিজ্যের অভিযোগ। কালের খবর

চট্টগ্রাম থেকে ফিরে এম আই ফারুক আহমেদ, কালের খবর :

বিআরটিএ চট্টগ্রাম অফিসে ৩য় দফায় শুরু হওয়া ৩,৬০০ অটোরিক্সা নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় প্রায় ৩১ কোটি টাকা ঘুষ-বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। একই প্রক্রিয়ায় ইতিমধ্যে একই এডি-ডিডির নেতৃত্বে ইত্যিমধ্যে ১ম ও ২য় দফায় প্রায় ৯,০০০ অটোরিক্সা রিপ্লেসমেন্ট সমাপ্ত করে প্রায় ৭০ কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নিয়েছে তারা।

বর্তমানে শুরু হওয়া ৩য় দফায় অটোরিক্সার রিপ্লেসমেন্টের কার্যক্রমে একই পদ্ধতিতে ৩১ কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বিআরটিএর চট্টগ্রামের উপপরিচালক মোঃ শহিদুল্লাহ , সহকারি পরিচালক তৌহিদুল হোসেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের ১১ জন ডিলার ও গুটিকয়েক ৫/৬জন চিহ্নিত দালালদের নিয়ে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট কাজ করছে।

উল্লেখ্য সরকার পরিবেশ দূষণ রোধে টু-ষ্টোক অটোরিক্সা উচ্ছেদ করে ২০০৩ সাল থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম উভয় মহানগরীতে পরিবেশ সহায়ক ১৩,০০০ করে ২৬,০০০ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা নিবন্ধন দেয়। এই অটোরিক্সার ইকোনোমিক লাইফের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় ৯ বছর। পরবর্তী সময়ে মালিকদের দাবীর মুখে এই অটোরিক্সার মেয়াদ ২ দফা বৃদ্ধি করে ১১ বছর নির্ধারণ করা হয়। তৈরী সন বা মডেল অনুযায়ী আরো ১ বছর ইকোনোমিক লাইফ বৃদ্ধির পর বুয়েট পরামর্শ মোতাবেক ৬টি টেস্ট করে তৎসময়ে এসব অটোরিক্সার ৭০ শতাংশ অকেজো দাবী করে প্রতিবেদন দেয়। এবং এসব অটোরিক্সা আরো ৩ বছর ইকোনোমিক লাইফ বৃদ্ধির সুপারিশ করে। ফলে প্রতিটি অটোরিক্সা ১৫ বছর লাইফ সমাপ্তে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার পুরোনো অটোরিক্সা বিপরীতে প্রতিটি মালিককে রিপ্লেসমেন্ট পদ্ধতিতে পুরনো অটোরিক্সা ভেঙ্গে নতুন অটোরিক্সা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

সেই মোতাবেক ২০১৭-২০১৮ সালে ১ম ও ২য় দফায় চট্টগ্রামে প্রায় ৯,০০০ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা বর্তমান বিআরটিএর উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ ও সহকারী পরিচালক তৌহিদুল হোসেনের নেতৃত্বে সমাপ্ত হয়। ১ম দফায় কয়েকটি অটোরিক্সার নিবন্ধন বিনামূল্যে দিয়ে তাক লাগালেও পরবর্তীতে প্রায় ৫,০০০ অটোরিক্সা নিবন্ধনে ৫৫,০০০ টাকা করে ঘুষ আদায় করা হয়। পরবর্তী সময়ে এই অটোরিক্সা ঘুষ কমিয়ে ৪৫,০০০ টাকায় নির্ধারণ করে ২,০০০ অটোরিক্সার নিবন্ধন সম্পন্ন করা হয়।

পরবর্তীতে বাকি ২,০০০ অটোরিক্সার নিবন্ধনকালে ঘুষের অঙ্ক কমিয়ে ৩৫,০০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এই সময়ে গড়ে প্রতিটি অটোরিক্সা ভাঙ্গাতে মালিকদের গড়ে ৬০,০০০ টাকা হারে ঘুষ দিতে হয়। এতে প্রায় অটোরিক্সা ভাঙ্গার কার্যক্রমে ৫১ কোটি টাকা ঘুষ বাণিজ্য হয়। এবং অটোরিক্সা নিবন্ধন দিতে প্রায় ৪৩ কোটি টাকা ঘুষ-বাণিজ্য হয়। এতে দুই দফায় প্রায় ৯৪ কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্য হয়।

চট্টগ্রাম বিআরটিএর উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বিআরটিএ চট্টগ্রাম মেট্টো সার্কেলের সহকারী পরিচালক হিসেবে বিগত ২০১১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারী যোগদান করে ২০১৩ সালের ৭ মার্চ পর্যন্ত একই পদে কর্মরত ছিল। তিনি ২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর বিআরটিএ চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালকের চলতি দায়িত্ব নিয়ে আবারো চট্টগ্রাম অফিসে যোগদান করে। সেই থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত চট্টগ্রাম অফিসে কর্মরত আছেন। ইতিমধ্যে বেশ কয়েক দফা তার বদলি আদেশ হলেও নানা ভাবে উপরের মহল ম্যানেজ করে এই অটোরিক্সার রিপ্লেসমেন্ট কার্যক্রম সমাপ্ত করার জন্য চট্টগ্রামে থেকে যায়।

এদিকের চট্টগ্রাম বিআরটিএ মেট্টো সার্কেলের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল হোসেন ২০১৪ সালের ৭ নভেম্বর বিআরটিএ চট্টগ্রাম অফিসে যোগদানের পর থেকে একাধিক দফায় থাকে বদলি করা হলেও বর্তমান সময় পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিআরটিএতে ঘুরেফিরে থেকে যায়। বিআরটিএ সার্ভিস নীতিমালা অনুযায়ী ১ম শ্রেণীর সার্কেলসমূহ যেমন , ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট সার্কেলে কোন কর্মকর্তা ৩ বছরের বেশি কর্মরত থাকলে থাকে মফস্বলের যেকোন সার্কেলে বদলির বাধ্য-বাধকতা রয়েছে। অথচ গত ১৩ আগস্ট ২০১৮ সালে থাকে সদর কার্যালয়ে বদলি করা হলেও মাত্র ২ মাস ১৬ দিনের মাথায় উপরের মহল ম্যানেজ করে এই অটোরিক্সার রিপ্লেসমেন্ট কার্যক্রম সমাপ্ত করার জন্য চট্টগ্রামে চলে আসে। এরপরেও তাকে একাধিক দফা বদলি করা হলেও এসব বদলি কাটিয়ে নানাভাবে গত অর্ধ-যুগ ধরে চট্টগ্রাম বিআরটিএ অফিসে রামরাজত্ব চালিয়ে আসছেন তিনি।

অন্যদিকে বিআরটিএ চট্টগ্রাম অফিসের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ চট্টগ্রাম অফিসের সহকারী পরিচালক হিসেবে ২ বছর ১ মাস কর্মরত থাকলেও বর্তমানে উপ-পরিচালক হিসেবে প্রায় ৮ বছর কর্মরত রয়েছে। থাকেও একাধিক দফায় বদলি করা হলে এই রিপ্লেসমেন্ট কার্যক্রম সমাপ্ত করার জন্য তিনি নানাভাবে ফন্দিফিকির করে ঘুরে ফিরে চট্টগ্রাম অফিসে থেকে যায়।।

এই দুই কর্মকর্তা দীর্ঘদিন চট্টগ্রাম বিআরটিএ অফিসে কর্মরত থাকায় চট্টগ্রাম অফিসের লোকজন, চট্টগ্রামের পরিবহন ব্যবসায়ী এবং চট্টগ্রামের প্রশাসনের সাথে নানাভাবে সখ্যতা গড়ে তুলে এবং চট্টগ্রামের পরিবহন মালিকদের গতিপ্রকৃতি বুঝে তারা চট্টগ্রামের উত্তরা মোটরস লিমিটেডের ১১জন ডিলার ও ০৪/০৫ জনের একটি দালাল নিয়ে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলে। তাদের নেতৃত্বে প্রতি ফাইলে মোটা অংকের টাকা নিয়ে হাজার হাজার ম্যাজ্যিমা অটোটেম্পু নগরীতে নিবন্ধন দেয়া হয়। এছাড়াও বিমান বন্দর সড়ক এবং আন্দরকিল্লা সড়কে শত শত টুকটুকি নিবন্ধন দেয়া হয়।

এবার ৩য় দফা অটোরিক্সা রিপ্লেসমেন্ট কার্যক্রম মার্চে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও করোনা সংকটসহ নানা কারনে এই কার্যক্রম শুরু করা যায়নি।

বিআরটিএর বর্তমান চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার যোগদান করার পর তিনি বিআরটিএকে দূর্ণীতিমুক্ত করার ঘোষণা দেওয়ায় তারা এই কার্যক্রম শুরু করতে সাহস পাইনি।

অন্যদিকে মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী দুর্ণীতির বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার থাকায় বিভিন্ন সময়ে তারা এই রিপ্লেসমেন্ট কার্যক্রম বিলম্বিত করার চেষ্টা করে।

বর্তমান কার্যক্রমের ১ম দফায় ১ম দিনে ১৬ নভেম্বর ২০২০ ইংরেজী শুরু হয়। এই দিনে চট্টমেট্ট্রো থ-১১-৮৭৪৮ থেকে চট্টমেট্ট্রো থ-১২-০৩০০ পর্যন্ত গাড়ি স্ক্র্যাপ করার জন্য নোটিশ দেওয়া হলেও মাত্র ৬০/৬২ টি গাড়ি ভেঙ্গে বাকি গাড়িগুলো ফেরত দেওয়া হয়। ২য় দিন ১৭ নভেম্বর চট্টমেট্ট্রো থ-১২-০৩৩৮ থেকে চট্টমেট্ট্রো থ-১২-০৪৬৮ পর্যন্ত অটোরিক্সা স্ক্র্যাপ করার কথা থাকলেও মাত্র ৭০/৭২ টি অটোরিক্সা স্ক্র্যাপ করে বাকি গাড়িগুলো ফেরত দেওয়া হয়। ৩য় দিন ১৮ নভেম্বর চট্টমেট্ট্রো থ-১২-০৪৬৯ থেকে চট্টমেট্ট্রো থ-১২-৬০৬৬ পর্যন্ত গাড়ি স্ক্র্যাপ করার থাকলেও মাত্র ৫৪টি গাড়ি স্ক্র্যাপ করে বাকি অটোরিক্সাগুলো ফেরত পাঠানো হয়। ৪র্থ দিন ১৯ নভেম্বর চট্টমেট্ট্রো থ-১২-০৬০৭ থেকে চট্টমেট্ট্রো থ-১২-০৭৩৬ পর্যন্ত গাড়ি স্ক্র্যাপ করার থাকলেও মাত্র ৭৪টি গাড়ি স্ক্র্যাপ করে বাকি

অটোরিক্সাগুলো ফেরত পাঠানো হয়। গাড়িগুলো স্ক্র্যাপ না করে ফেরত পাঠানোর মধ্যদিয়ে প্রতিটি রিপ্লেসমেন্টকারী অটোরিক্সার মালিককে স্ক্র্যাপ কার্যক্রমে আগে-ভাগে দালাল অথবা তাদের নির্ধারিত শো-রুমগুলো থেকে গাড়ি ভাঙ্গার চুক্তি করে টাকা আদায়ের কৌশলের আশ্রয় নেয়।
প্রথম দফায় অনুসরণ করে দ্বিতীয় দফায়ও একই পদ্ধতিতে অটোরিকশা স্ক্যাপ করা হলেও গত ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া কার্যক্রমে ১ ও ২ জানুয়ারি বিআরটিএ প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে মাত্র ১১জন উত্তরা মোটরস এর ডিলার ও ৫/৭ জন চিহ্নিত দালালদের বিআরটিএর ভেতরে ডুকতে দেয়া হয়। এই পদ্ধতিতে অটোরিকশা স্ক্যাপ কার্যক্রমে আড়তে বিক্রিত পণ্যের ন্যায় প্রতিটি অটোরিকশা নিলামে তুলে স্ক্যাপ করা হয়। প্রথমে অটোরিকশাটি কারো সাথে চুক্তি করে গেলেও না ভেঙ্গে ফেরত দেওয়ার পর ভেতরে বিআরটিএ এডির নিয়োজিত দালালেরা নিলামে তুলে দাম বাড়িয়ে অটোরিকশাটি ভেঙ্গে দেয়। এহেন পদ্ধতিতে কোন কোন স্ক্যাপ করতে দেড় থেকে ২ লক্ষ টাকাও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠে।

এদিকে বুয়েট কর্তৃক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে গত ৪ বছর আগে এসব অটোরিকশা ৭০ শতাংশ অকেজো দাবি করা হয়। এতে দেখা যায় ৩৬০০ অটোরিকশার ৭০ শতাংশ হিসেবের প্রায় ২৫২০ অটোরিকশা ইঞ্জিন ও চেচিসসহ ৭০শতাংশ অকেজো রয়েছে। মাত্র ১০৮০টি অটোরিকশা মান মোটামোটি ভালো হলেও গত ৪ বছরে এসব অটোরিকশার প্রায় অর্ধেক অকেজো হয়ে পড়েছে। ফলে অকেজো অটোরিকশার সংখ্যা দাড়াঁয় ৩০৬০টি। বর্তমানে চট্টগ্রাম বিআরটিএতে চেচিস অস্পষ্ট, চেচিস ঘষামাঝা, চেচিসের ২/১ ডিজিট ভাঙ্গা হলে সেটি ৮০,০০০ থেকে ১,২০,০০০ হাজার টাকা। চেচিস পাঞ্চস হলে ১,৫০,০০০ টাকা ঘুষ আদায় করা হচ্ছে।

অন্যদিকে ইঞ্জিন নম্বর অস্পষ্ট, ইঞ্জিন নম্বর ঘষামাঝা, ইঞ্জিন নম্বর ২/১ ডিজিট ভাঙ্গা হলে ৩৫,০০০ হাজার থেকে ৫৫,০০০ হাজার টাকা এবং ইঞ্জিন নম্বর পাঞ্চস হলে ৬০,০০০ হাজার টাকা ঘুষ আদায় করা হচ্ছে। ইঞ্জিন, চেচিস, বডি সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২৫,০০০ থেকে ৩০,০০০ হাজার টাকা ঘুষ আদায় করা হচ্ছে। এক হিসেবে দেখা গেছে ৩৬০০ টি অটোরিকশা স্ক্যাপ কার্যক্রমে প্রতিটি অটোরিকশায় গড়ে ৬০,০০০ হাজার টাকা ঘুষ আদায় হলে প্রায় ২১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা ঘুষ আদায় হবে। অন্যদিকে নিবন্ধনে প্রতিটি অটোরিকশায় ২৮,০০০ হাজার টাকা হারে ঘুষ আদায় করা হলে ৩৬০০ অটোরিকশা নিবন্ধন প্রদানে ১০ কোটি টাকা ঘুষ বাণিজ্য হবে। এ দিকে প্যাসেঞ্জার ভয়েসের এক অনুসন্ধ্যান বলছে, চট্টমেট্রো-থ-১২-০৪৬৫, চট্টমেট্রো-থ-১২-০৭৪৮, চট্টমেট্রো-থ-১২-১১৩৯, চট্টমেট্রো-থ-১২-১০৩৩ নং গাড়ির মালিক চট্টগ্রামের পাহারতলী বার কোয়াটার এলাকার জনৈক মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে মো. নুরুল ইসলাম ২৯ ও ৩০ নভেম্বর বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পত্রে তিনি বলেন, চারটি সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে তিনি গত ১৭, ২৬ ও ২৭ নভেম্বর বিআরটিএ চট্টগ্রাম কার্যালয়ে স্ক্যাপ করনের জন্য গিয়েছেন। কিন্তু তার গাড়ি গুলো স্ক্যাপ না করে মোটা অংকের ঘুষ বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে বিআরটিএ চট্টমেট্রো সার্কেলের সহকারী পরিচালক তৌহিদুল হোসেন, অফিস সহকারী জামাল উদ্দিন ও অফিস সহায়ক মো. ইসলাম গাড়ি গুলো ফেরত দিয়েছে।

অভিযোগের সূত্র ধরে নুরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করে প্যাসেঞ্জার ভয়েজ। তিনি বলেন, আমি ১৭ নভেম্বর চট্টমেট্রো-থ-১২-০৪৬৫ নং গাড়ি নিয়ে বিআরটিএতে গেলে সহকারী পরিচালক তৌহিদুল হোসেন আমাকে বলে আমার মালিকানার তারিখ ঠিক নেই, এইটা ঠিক করে নিয়ে আসেন পরে আমি ঠিক করে নিয়ে আসলেও তিনি গাড়িটা স্ক্যাপ না করে ফেরত দিয়েছে। এরপর বাকী ২টি গাড়ি নিয়ে বিআরটিএতে গেলে তৌহিদুল হোসেন আমার গাড়ি ফেরত দেয়। এদিকে অভিযোগে তিনি লিখেছেন তার কাছ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা করে ঘুষ চেয়েছে বিআরটিএ কর্মকর্তারা। তবে তিনি প্যাসেঞ্জার ভয়েসের কাছে বলেছেন চট্টমেট্রো-থ-১২-০২৮৪ নং গাড়ির মালিক সাবেক সেনা সদস্য পিয়াস বড়–য়ার পরামর্শে আমি বড়–য়া বাবু নামের এক বিআরটিএর স্টাফকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম । তবুও আমার গাড়িটি স্ক্যাপ করেনি। পরে তিনি আমার দেওয়া ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছে।

বিষয়টির সত্যতা জানতে চট্টমেট্রো-থ-১২-০২৮৪ নং গাড়ির মালিক সাবেক সেনা সদস্য পিয়াস বড়–য়ার সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, আমার গাড়ি স্ক্যাপ করতে বিআরটিএর কেউ আমার কাছে টাকা পয়সা চায়নি। আমিও কাউকে টাকা দিনাই। আমার বিষয়ে কেউ এমন অভিযোগ করলে আমি

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com