লক্ষ্মীপুর-ভোলা-বরিশাল রোডের বেহাল অবস্থায় ভয়াবহ ঝুঁকি নিয়ে চলছে ১৬ জেলার মানুষ। এ রুটে প্রতিদিন চলে হাজার হাজার বালু-পাথরবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস। মাত্রাতিরিক্ত ওজনের কারণে সড়কটির কার্পেটিং উঠে গিয়ে খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। লক্ষ্মীপুর থেকে মজুচৌধুরীর হাট পর্যন্ত ১০.৫ কিলোমিটার সড়কটি সর্বশেষ ২০১৩ সালে মেরামত করা হয়। এরপর সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে শুধু সাময়িক সংস্কার করা হলেও অত্যধিক ভারী যান চলাচলের কারণে তা টিকছে না। নোয়াখালী-কুমিল্লা ফোর লেনের কাজ চলার কারণে প্রতিদিন মজুচৌধুরীর হাট থেকে এ সড়ক দিয়ে চলছে শত শত বালু ও পাথরবাহী ভারী যানবাহন। যে কারণে সড়কের কোনো সংস্কারই টিকছে না।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ভোলা, বরিশাল, সাতক্ষীরা, বরগুনা, যশোর, পিরোজপুর, খুলনা, বাগেরহাটসহ ১৬ জেলার মানুষ এ সড়ক দিয়ে লক্ষ্মীপুর-মজুচৌধুরীর হাট হয়ে লঞ্চ ও ফেরিতে যাতায়াত করে। এ রুটের মজুচৌধুরীর হাট এলাকায় রয়েছে বিশাল ১০টি বালু ও পাথর মহাল। এ ছাড়া রয়েছে লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট। এই লঞ্চঘাট ও ফেরিঘাট দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে আসছে রড ও সিমেন্ট। মজুচৌধুরীর হাট থেকে প্রতিদিন ১০-১৬ চাকার ভারী ট্রাক ও লরি দিয়ে নোয়াখালী-কুমিল্লা ফোর লেনের কাজে বালু ও পাথর নেয়া হয়। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও চাঁদপুর এলাকায় বালু, পাথর, রড ও সিমেন্টবাহী যানবাহন চলাচলের কারণে এ সড়কের অবস্থা এখন বেহাল। সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্ত থাকার কারণে প্রতিদিনই গাড়ি উল্টে ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে সড়কটি সাময়িক মেরামত করলেও টিকছে না অতিরিক্ত ও ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে। এ সড়কে চলাচলকারীদের বর্ষায় কাঁদাপানি ও গ্রীষ্মে ধুলাবালির মধ্যে চরম ভোগান্তিতে চলাচল করতে হচ্ছে। বর্তমানে সড়কটি আর সড়কের অবস্থায় নেই, এটি একটি মাড়াই দেয়া ফসলের ক্ষেতে পরিণত হয়েছে। আসছে ঈদে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী বাসের যাত্রীদের ভোগ করতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। যে কারণে ব্যস্ততম এই আঞ্চলিক মহাসড়কটি নির্মাণের কাজ দ্রুত শুরু করার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
এ দিকে নদীতে অতিরিক্ত স্রোতের কারণে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকায় এই সড়কে ভারী ও হালকা যানবাহনের সংখ্যাও বেড়ে গেছে।
সরেজমিন লক্ষ্মীপুর-মজুচৌধুরীর হাট সড়কটিতে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের কাঁদাপানি ভর্তি গর্তে যাত্রীবাহী বাস, বালুবাহী ট্রাক-লরি, লেগুনা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা আটকে যাচ্ছে। এ সময় ট্রাকের সামনের দিক সড়কের কার্পেটিংয়ের সাথে লেগে থাকতে দেখা যায়। পরে শ্রমিকরা চাকার নিচ থেকে কাঁদা সরিয়ে ট্রাক নিয়ে স্থান ত্যাগ করলেও যাত্রীবাহী বাস, লেগুনা ও সিএনজি অটোরিকশাকে যাত্রী নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
স্থানীয় হারুন, হাবিব ও কামাল উদ্দিন জানান, জেলার সবচেয়ে ব্যস্ততম এই সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দে ভরা। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত পণ্য ও যাত্রীবাহী বাস-ট্রাক চলাচল করে। এখন সড়কটির এমন অবস্থা যে রিকশা চলতেও কষ্ট হয়। বড় বড় ট্রাক, লরি, বাস ও পিকআপ চলতে আরো বেশি সমস্যা হয়। সন্ধ্যার পরই সড়কটি পুরো অন্ধকার হয়ে পড়ে। তখন যানবাহন পুরো মৃত্যুঝুঁকিতে চলাচল করে।
ট্রাকচালক তছলিম উদ্দিন জানান, তিন বছর ধরে সড়কটির অবস্থা বেহাল। বড় বড় গর্তে পানি জমে সড়কটি মারণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রায়ই এসব গর্তে আটকে গাড়ি বিকল হয়ে সড়কের দুই পাশে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দুর্ভোগ পোহাতে হয় চালক ও যাত্রী সাধারণকে।
লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর এ সড়কটির লক্ষ্মীপুর থেকে মজুচৌধুরীর হাট পর্যন্ত ১০.৫ কিলোমিটার (চার লেন) ৩৬ ফুট প্রশস্ত করার জন্য প্রায় ১০০ কোটি টাকার টেন্ডার হয়েছিল। কিন্তু মন্ত্রণালয়ে তুলনামূলক বিবরণী (সিএস) পাস না হওয়ায় কার্যাদেশ পাচ্ছেন না ঠিকাদার। কার্যাদেশ না পাওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করতে পারছে না। বরিশাল, লায়েরহাট, ভেদরিয়া, ভোলা, ইলিশা, মজুচৌধুরীর হাট-লক্ষ্মীপুর জাতীয় মহাসড়ক (৮০৯) অনুমোদন হলেও ওই অংশে কাজ চললেও লক্ষ্মীপুর অংশে কাজ হচ্ছে না।
লক্ষ্মীপুর সড়ক বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক জানান, গত বছর ১৯ ডিসেম্বর সড়কটির টেন্ডার হয়েছে, যে কারণে সড়কটির সংস্কার কাজ করা যাচ্ছে না। টেন্ডার হওয়ার কারণে রিপেয়ারিংয়ের কোনো টেন্ডার না হওয়ায় সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গেছে। মন্ত্রণালয় থেকে সিএস পাস হওয়া মাত্রই সড়কের কাজ শুরু করা যাবে।
এ দিকে নদীতে অতিরিক্ত স্রোতের কারণে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকায় এই সড়কে ভারী ও হালকা যানবাহনের সংখ্যাও বেড়ে গেছে।
সরেজমিন লক্ষ্মীপুর-মজুচৌধুরীর হাট সড়কটিতে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের কাঁদাপানি ভর্তি গর্তে যাত্রীবাহী বাস, বালুবাহী ট্রাক-লরি, লেগুনা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা আটকে যাচ্ছে। এ সময় ট্রাকের সামনের দিক সড়কের কার্পেটিংয়ের সাথে লেগে থাকতে দেখা যায়। পরে শ্রমিকরা চাকার নিচ থেকে কাঁদা সরিয়ে ট্রাক নিয়ে স্থান ত্যাগ করলেও যাত্রীবাহী বাস, লেগুনা ও সিএনজি অটোরিকশাকে যাত্রী নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
স্থানীয় হারুন, হাবিব ও কামাল উদ্দিন জানান, জেলার সবচেয়ে ব্যস্ততম এই সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দে ভরা। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত পণ্য ও যাত্রীবাহী বাস-ট্রাক চলাচল করে। এখন সড়কটির এমন অবস্থা যে রিকশা চলতেও কষ্ট হয়। বড় বড় ট্রাক, লরি, বাস ও পিকআপ চলতে আরো বেশি সমস্যা হয়। সন্ধ্যার পরই সড়কটি পুরো অন্ধকার হয়ে পড়ে। তখন যানবাহন পুরো মৃত্যুঝুঁকিতে চলাচল করে।
ট্রাকচালক তছলিম উদ্দিন জানান, তিন বছর ধরে সড়কটির অবস্থা বেহাল। বড় বড় গর্তে পানি জমে সড়কটি মারণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রায়ই এসব গর্তে আটকে গাড়ি বিকল হয়ে সড়কের দুই পাশে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দুর্ভোগ পোহাতে হয় চালক ও যাত্রী সাধারণকে।
লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর এ সড়কটির লক্ষ্মীপুর থেকে মজুচৌধুরীর হাট পর্যন্ত ১০.৫ কিলোমিটার (চার লেন) ৩৬ ফুট প্রশস্ত করার জন্য প্রায় ১০০ কোটি টাকার টেন্ডার হয়েছিল। কিন্তু মন্ত্রণালয়ে তুলনামূলক বিবরণী (সিএস) পাস না হওয়ায় কার্যাদেশ পাচ্ছেন না ঠিকাদার। কার্যাদেশ না পাওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করতে পারছে না। বরিশাল, লায়েরহাট, ভেদরিয়া, ভোলা, ইলিশা, মজুচৌধুরীর হাট-লক্ষ্মীপুর জাতীয় মহাসড়ক (৮০৯) অনুমোদন হলেও ওই অংশে কাজ চললেও লক্ষ্মীপুর অংশে কাজ হচ্ছে না।
লক্ষ্মীপুর সড়ক বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক জানান, গত বছর ১৯ ডিসেম্বর সড়কটির টেন্ডার হয়েছে, যে কারণে সড়কটির সংস্কার কাজ করা যাচ্ছে না। টেন্ডার হওয়ার কারণে রিপেয়ারিংয়ের কোনো টেন্ডার না হওয়ায় সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গেছে। মন্ত্রণালয় থেকে সিএস পাস হওয়া মাত্রই সড়কের কাজ শুরু করা যাবে।