সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪১ পূর্বাহ্ন
নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে মোঃ আক্তারুজ্জামান, কালের খবর : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে থোল্লাকান্দি গ্রামের দুই চোরের বাড়ি থেকে একটি চোরাই গরু,একটি বাছুর দুইটি ছাগলসহ ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় স্থানীয় গ্রামবাসী চোর আটক করতে গেলে সুযোগ বুঝে চোর পালিয়ে যায়। গত ২৩মে শনিবার রাতে উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের নতুন থোল্লাকান্দি গ্রামের বাদল মিয়ার ছেলে রমজান মিয়ার বাড়ি থেকে একটি গাভী ও একটি বাছুর গরু ওই গ্রামের হাবিল মিয়ার ছেলে বাবু মিয়ার বাড়ি থেকে দুইটি ছাগল, একটি ছাগলের চামরা ও ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করে সলিমগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, বাদল মিয়ার ছেলে রমজান মিয়া ও হাবিল মিয়ার ছেলে বাবু মিয়া বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বাহেরচর গ্রামের মাতু মিয়ার একটি গাভী ও একটি বাছুর গরু এবং তিনটি ছাগলসহ চুরি করে তার বাড়ি এনে রাখে পরে রাত্রে একটি ছাগল বাবু তার সাঙ্গপাঙ্গরা মিলে খেয়ে ফেলে। গরুর মালিক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে শনিবার রাতে তার মেয়ের জামাই শাহাআলম মিয়া ও স্থানীয় গ্রামবাসী সহযোগিতায় গরু আটকসহ চোরাই গরু-ছাগলগুলো জব্ধ করেন। কিন্তু চোর রমজান ও বাবু মিয়া কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় গ্রামবাসী গরু-ছাগলগুলো রাখতে পারলেও গরু চোর রমজান ও বাবু মিয়া পালিয়ে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দুই গরু চোরের বাড়ি স্থানীয় জনগণ ঘরের বিভিন্ন অংশ ভেঙে ফেলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। চোরের প্রতি ঘৃণা থেকে স্থানীয় জনগণ এ কাজ করেছে বলে দাবি পুলিশের। খবর পেয়ে সলিমগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ গরু-ছাগলগুলো উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। স্থানীয় গ্রামবাসীর একাধিক ব্যক্তি নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, প্রথম রমজানে একটি চোরাই গরু জবাই করে রমজান ও বাবু মিয়া স্থানীয়দের মাঝে বিক্রি করেন, গ্রামবাসী আরও বলেন এলাকায় রমজান ও বাবু বাহিনীর ও তার সহযোগী দের ছত্র-ছায়ায় স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ছাত্রদের সহ খেটে খাওয়া মেহনতী যুব সমাজের মাঝে মাদকের ভয়াল থাবা বসিয়েছে রমজান ও বাবু মিয়া। গ্রামের যুব সমাজ আজ মাদকের ভয়াল থাবায় ধংসের দিকে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে রমজান ও বাবু মিয়া তার সন্ত্রাস বাহিনী দিয়ে অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে রাখে।
এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়ে দৃশ্যমান প্রতিকার না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে গ্রামবাসী। মাঝে মধ্যে আইন শৃংখলা বাহিনী কর্তৃক অভিযান পরিচালিত হলেও অজ্ঞাত কারনে অবৈধ সন্ত্রাস বাহিনী ও গরু চোর মাদক ব্যবসায়ীরা ধরা-ছোয়ার বাহিরে থেকে যায়। স্থানীয় জন-প্রতিনিধিরা মাদক নির্মূলে কার্যকর ভুমিকা রাখেন না বলেও জানায় এলাকাবাসী। বর্তমান সরকার মাদক নির্মূলে যখন সোচ্চার ঠিক তখনই বিপরীত চিত্র নবীনগর উপজেলার নতুন থোল্লাকান্দি গ্রামে।
একাধিক গ্রামবাসী আরো বলেন ,পুলিশ প্রশাসন মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে দু’-একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করলেও তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা মাদক ব্যবসা অব্যাহত রাখে। ফলে মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী দু’-এক মাস জেল খেটে বেরিয়ে এসে পুনরায় মাদক ব্যবসায় চুরি ছিনতাই জড়িয়ে পড়ে।
এসব মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয় অভিভাবকরা। সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে এসব মাদক ব্যবসায়ীকে প্রয়োজনে ক্রসফায়ারে মেরে ফেলারও দাবি জানান স্থানীয়রা।
নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ রনোজিৎ রায় বলেন,গরু চোরকে ধরার চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ধার করা গরু-ছাগলগুলো প্রকৃত মালিকদের হস্তান্তর করা হবে।