সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের খবর :
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়লেও সাধারণ ছুটি আর বাড়ছে না। তবে গণপরিবহন চলবে না। ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিসে কাজ করতে হবে। ১৫ জুন পর্যন্ত আপাতত স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকবে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজে যোগ দিতে হবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বুধবার (২৭ মে) বিকেলে এ তথ্য জানান।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে প্রজ্ঞাপন জারি হবে।
তিনি বলেন, সরকারি, আধা সরকারি ও বেসরকারি অফিস স্বাস্থবিধি মেনে সীমিত পরিসরে চলবে। এক্ষেত্রে বয়স্ক নারী পুরুষ, গর্ভবর্তী নারী ও হাসি কাশি অসুস্থ লোকজনের অফিস করা যাবে না। সীমিত পরিসরে ব্যাংক খোলা থাকবে। সব মন্ত্রণালয় ও অধিনস্থ দপ্তর সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে। কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মস্থলে থাকবেন। সভা সমাবেশ, গণজমায়েত বন্ধ থাকবে।
ফরহাদ হোসেন বলেন, যাত্রীবাহি বাস, ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য স্বাস্থবিধি মেনে গাড়ি নিয়ে যেতে পারবে। ব্যক্তিগত হালকা যান চলবে। বিমান কর্তৃপক্ষ নিজ ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থবিধি মেনে বিমান পরিবহন করতে পারবে। ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সাধারণ চলাচলে সীমিত তথা নিষেধাজ্ঞা থাকবে। এসময় এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় অতীব প্রয়োজন ছাড়া যাওয়া যাবে না। প্রতিটি জেলার প্রবেশমুখে পুলিশি চেকপোস্ট থাকবে। আগের নিয়ম রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত জরুরি ছাড়া ঘর থেকে বাইরে বের হওয়া যাবে না। বিকেল ৪টা পর্যন্ত স্বাস্থবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে হাটবাজার দোকান-পাট খোলা রাখা যাবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে ৩০ মে পর্যন্ত সরকারি ছুটি চলছে। এর মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখা বেড়ে চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২৬ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত দফায় দফায় ছুটি বাড়ানো হয়েছে। ৩০ মে শেষ হচ্ছে সরকারি ছুটি।
করোনা সংক্রমণ রোধে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর ৪ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল, পরে তা বাড়িয়ে ১৪ এপ্রিল করা হয়। চতুর্থ দফা ১৪ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় পঞ্চম দফা ছুটি বাড়ানো হয় ৫ মে পর্যন্ত। সেটি বাড়িয়ে ১৬ মে, তারপর ১৭ মে থেকে ঈদুল ফিতরের পর ৩০ মে পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়।