রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৪ অপরাহ্ন
কালের খবর নিউজ:
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, ২০১৮ হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়ার বছর, বিএনপির বছর। ২০১৮ সাল হচ্ছে জনগণের বছর, গণতন্ত্রের বছর। সেটা ইনশাল্লাহ আমরা প্রমাণ করব আন্দোলনের মধ্য দিয়ে, বিজয়ের মধ্য দিয়ে। আজ শুক্রবার ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে ঢাকায় এক আলোচনা সভায় বিএনপি তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট শক্তির সঙ্গে গণতান্ত্রিক শক্তির লড়াইটা এতো সহজ লড়াই নয়। অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়, সেই ত্যাগ আমরা করেছি। এবার আন্দোলনে সফল হওয়ার আশা প্রকাশ করে ফখরুল বলেন, আমাদের এখন জোট বাঁধতে হবে, আমাদের জেগে উঠতে হবে। মানুষকে জাগিয়ে তুলে হবে এবং মানুষকে জাগিয়ে তোলার মধ্য দিয়ে একমাত্র গণজাগরণ সৃষ্টি করতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। এসময় দেশের মানুষকে আন্দোলনে উদ্ধুদ্ধ করতে দলের নেতাকর্মীদের গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে পড়ার আহ্বান জানান ফখরুল।দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চতুর্থ বর্ষপূর্তিতে ৫ জানুয়ারিকে ‘কলঙ্কের দিন’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আমরা কাছে দুঃখ লাগছে যে, আওয়ামী লীগের জন্য এটি একটি সবচেয়ে কলঙ্কিত দিন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মতো একটা পার্টি যাদের দীর্ঘ একটা ঐতিহ্য আছে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের। তারা কোন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে তাদের আজকে পুলিশ-র্যাব-বন্দুক-পিস্তলের সহায়তা নিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে হচ্ছে নির্বাচন না দিয়ে। নির্বাচন দিলে পরাজয় অবশ্যসম্ভাবী হবে, ভরাডুবি হবে তাদের।বর্তমানে দেশে ‘ফ্যাসিস্ট শাসন’ চলছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রায় এক যুগ হতে চলেছে। আমরা একটা ফ্যাসিবাদের ফ্যাসিস্ট সরকারের অধীনে বাস করছি। আমাদের রাষ্ট্র, আমাদের প্রশাসন, আমাদের আইন-বিচার-সব কিছুই ফ্যাসিস্টরা পরিচালিত করছে। তিনি বলেন, আজকে একদলীয় শাসন চলছে ভিন্ন আঙ্গকে। শুধু পোশাকটা আলাদা। পোশাকে গণতন্ত্র লেবাসের ছাপ দেওয়া আছে, ভেতরে একদলীয় শাসন।বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার পদত্যাগের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এই সুপ্রিম কোর্টকে বলা হয়, সবচেয়ে পবিত্র জায়গা, সবচেয়ে নির্ভরশীল জায়গা। আমি অত্যাচারিত হচ্ছি, নিপীড়িত হচ্ছি, সেখানে গেলে আমি আশ্রয় পাব। সেই জায়গার কী হাল হয়েছে? তার প্রধানকে কীভাবে চলে যেতে হয়েছে? পৃথিবীতে এই ধরনের নজির কম আছে।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের ‘শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে’ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের উদ্যোগে ‘৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়। সভার শুরুতে ‘গণতন্ত্র হত্যার’ প্রতিবাদে কালো পতাকা প্রদর্শন করেন আইনজীবীরা।