সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৬ পূর্বাহ্ন
তাড়াইল, কিশোরগঞ্জ থেকে ওয়াসিম সোহাগ। কালের খবর : কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে আশংকাজনক হারে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আতংকে সারা দেশের মত তাড়াইলবাসী।
জানা যায়, তাড়াইল উপজেলায় গত ১২ জুলাই নিউজ অনুযায়ী সেবা ডিজিটাল ডায়গনস্টিক সেন্টারে পরিক্ষা করার ফলে জাওয়ার ইউনিয়নেরর সৌকত মাহমুদ নামে এক ব্যাক্তির NS1 পজেটিভ রিপোর্ট ধরা পড়ে। বতর্মানে ঐ ক্লিনিকে NS1 রিপোর্ট সংখ্যা দাড়িয়েছে ৫৫ জনে। তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ বিষয়ে যোগাযোগ করতে গেলে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মতর্তা তানভির হাসানকে অফিসে না পেলে, তার সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি জানান, দাপ্তরিক কাজে ঢাকায় আছেন। পরবর্তিতে ঐ হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মাহফুজার সাথে যোগাযোগ হয়। তিনি বলেন,১৪ই আগষ্ট থেকে আমাদের হাসপাতালে NS1 রিপোর্ট চালু করা হয়। এ পর্যন্ত পরিক্ষা হয়েছে অনেক কিন্ত ডেঙ্গু NS1 পজেটিভ পাওয়া গেছে ৪ জন। ভর্তি হয়েছে ৩০ জন, বর্তমানে ভর্তি আছে ৫ জন। অন্যদিকে, দি স্কয়ার ডায়গনস্টিক সেন্টারে NS1 ৪ জন, মেডিনোভা ডায়গনস্টিক সেন্টারে ৩ জন, রানা প্যাথলজিতে ২ জন। এছাড়াও বিভিন্ন ক্লিনিক ও ঢাকা থেকে রোগী আসায় তাড়াইল উপজেলায় আজ অবধি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা শতাধিকের উপরে ছাড়িয়ে গেছে বলে বিভিন্ন মহল ধারনা প্রকাশ করেছে। এরকম হারে বাড়তে থাকলে তা মহামারি আকার ধারন করতে পারে বলে এলাকার সাধারন মানুষ আশংকা প্রকাশ করছে।এদিকে উপজেলার ৩ নং ধলা ইউনিয়নের দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মুবিন ডেঙ্গু জ্বরে আকান্ত হলে তার সাথে কথা বলে জানা যায়, তাড়াইলে এডিস মশার উৎপত্তি আছে। তিনি স্বীকার করেন তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাউন্ডারি দেয়াল সংলগ্ন সি, এন,জি স্টেশনের পাশে কচুগাছ পরিস্কার করতে গিয়ে পায়ের গোঁড়ালীতে এডিস মশার কামড় খেয়েছেন। তাই তিনি NS1 পজেটিভ অর্থাৎ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন।
তাড়াইল উপজেলার সাধারন জনগনের সাথে আলাপ করে জানা যায়, এডিম মশা, ও ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে জনসচেতনতার ব্যাপক অভাব রয়েছে। প্রসাসন সহ জনগনের মাঝে সচেতনতা বৃ্দ্ধি করা না হলে তা ভয়াবহ রুপ ধারন করতে পারে বলে অনেকে ধারনা প্রকাশ করেছে।