শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কাজ করতে গিয়ে বাড়িতে ফিরলো শ্রমিকের লাশ!। কালের খবর কুষ্টিয়ায় পানি সংকটে খাদ্য উৎপাদনে বিপর্যয়ের শঙ্কা। কালের খবর ডেমরায় ৬৭ নং ওয়ার্ডের মেহনতি মানুষের মাঝে খাবার পানি, স্যালাইন বিতরণ করেন জননেতা তৌফিকুর রহমান শাওন। কালের খবর যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে মামলা। কালের খবর সাতক্ষীরায় মহান মে দিবস উপলক্ষে র‍্যালী। কালের খবর সাতক্ষীরার আলীপুরে বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আব্দুর রউফ বিজয়ী। কালের খবর উপজেলা নির্বাচনে রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দুলুর প্রার্থীতা ঘোষণা। কালের খবর কক্সবাজারে স্পা’র আড়ালে অনৈতিক কর্মকাণ্ড। কালের খবর ডেমরায় পরিবহনে চাঁদা আদায়, গ্রেফতার ৩ চাঁদাবাজ। কালের খবর রেলের ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান যাত্রী কল্যাণ সমিতি। কালের খবর
নির্যাতন সইতে না পেরে শ্বশুরবাড়ি থেকে পালালো ২ সন্তানের জননী। কালের খবর

নির্যাতন সইতে না পেরে শ্বশুরবাড়ি থেকে পালালো ২ সন্তানের জননী। কালের খবর

কালের খবর প্রতিবেদক : : কোলে একটি শিশুকে নিয়ে হাসপাতালের বারান্দায় বসে আছে মধ্য বয়সী এক নারী। আর তাঁকে ঘিরে জটলা পাকিয়ে আছে উৎসুক জনতা। ভীড় ঠেলে সামনে এগিয়ে যেতেই চোখ পড়লো হাতের দগদগে ঘা গুলোর দিকে। কথায় বলে জানা গেল, শ্বশুরবাড়ির নির্যাতন সইতে না পেরে শনিবার সকালে দুই সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে এসেছে এ নারী।

ডাক নাম খুকি। সে আড়াইহাজারের দুপ্তারা হাটখোলা পাড়া এলাকার আউয়ালের মেয়ে। পাঁচ বছর আগে রুপগঞ্জ এলাকার মৃত এরশাদের ছেলে সিরাজুল ইসলাম খোকার সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তার।

বিয়ের সময় প্রায় তিনলাখ টাকার জিনিসপত্র দেয়া হয়। তা সত্ত্বেও বিভিন্ন সময় শ্বশুড়বাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে তার ওপর শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আসছে। গত কয়েকদিন যাবৎ ১ লাখ টাকার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলো খুকিকে। কিন্তু বাবার আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় এ দাবি পূরন তার পক্ষে সম্ভব হয়নি।

তাই শ্বশুড় বাড়ির লোকজন বৃহস্পতিবার রাতে মারধরের পর দুই মেয়েসহ একটি ঘরে তাদের আটকে রাখেন। শনিবার কায়দা করে সন্তানদের নিয়ে কোন মতে আটক অবস্থা থেকে পালিয়ে আসে। পরে খুকিকে আহত অবস্থায় তাকে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী ঐ নারী বলেন, এর আগেও শ্বাশুড়ি পারুল, দেবর শামীম, ননদ জনি ও মেয়ের জামাতা দোহা মিলে তাকে বেশ কয়েকবার হত্যার চেষ্টা চালায়। আমি বেশ কয়েকবার আইনের দারস্থও হতে চেয়েছি। কিন্তু পুলিশ আমার কোন অভিযোগ আমলে নেয় নি।

আমি তাদের নির্যাতন আর সহ্য করতে পারছি না। আমি এখন দুই সন্তান নিয়ে কোথায় যাব। আমার মরণ ছাড়া অন্য কোন পথ দেখছি না। কিন্তু আমি বাঁচতে চাই। আর দশটি মেয়ের মতোই আমি স্বামী সন্তান নিয়ে সংসার করতে চাই। আমাকে বাঁচতে দিন।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com