রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩২ অপরাহ্ন
আব্দুল হক (প্রতিনিধি), কালের খবর :
সুপারস্টার রুবেল একজন ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে মাস্টার্সধারী। উনি একজন সিনিয়ার নায়ক। ২৫/৩০ বছর ইন্ডাস্ট্রিতে রাজত্ব করেছেন,আর একশানের ঝড় তুলে সিনেমার পর্দা কাপিয়েছেন। সর্বাধিক মার্শাল আর্টভিত্তিক ছবি নির্মান করে দক্ষিন এশিয়ার সর্বাধিক মার্শাল আর্টনির্ভর ছবির একমাত্র নায়ক হয়েছেন। সোনালী দিনের সুপারহিট নায়ক। উনি একজন প্রযোজক,পরিচালক,ফাইট ডাইরেক্টর,চলচ্চিত্র প্রেমী ও চলচ্চিত্র গবেষক। আর চলচ্চিত্র গবেষকরা কখনো ভুল বলে না। চলচ্চিত্র গবেষকরা ভাল করেই জানে চলচ্চিত্র উন্নয়নের জন্য কি কি করনীয়।আর তারা চলচ্চিত্রে ধংশের কারন গুলোও ভাল করে জানে।একশান কিং নায়ক একজন সিনিয়ার নায়ক, উনার ৩০ বছরের ক্যারিয়ারে অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। যা বর্তমান সময়ের নায়কদের সেই অভিজ্ঞতা নাই।তাই সকলের অবগতির জন্য জানানো যাইতেছে যে একজন সিনিয়ার ও শিক্ষিত নায়ক কোন মন্তব্য করে তাহলে সেটা ১০০% রাইট।তাদের মন্তব্যের দ্বীমতপোষন করা মুর্খতার পরিচয়। তাই সব দিক থেকে বিবেচনা করে দেখা গেছে রুবেল সাহেব যা বলেছেন সেটাই রাইট। যারা বুদ্ধিমান ও সুশিক্ষিত তারা রুবেল সাহেবের মন্তব্যের বিরোধিতা করবেননা।কারন বাংলা চলচ্চিত্রের সর্বকালের সেরা একশান হিরো রুবেল।
স্টান্টম্যানঃ
ঢালিউডের মার্শাল আর্টের জীবন্ত কিংবদন্তী একশান কিং নায়ক রুবেলের অনেক গুলো যোগ্যতা রয়েছে,অনেক গুলো প্রতিভা রয়েছে,অনেক গুলো গুণাবলী রয়েছে। তার মধ্যে বিশেষ এক যোগ্যতা হল নিজের ঝুঁকিপূর্ণ একশান দৃশ্যের স্টান্ট উনি নিজেই করতেন। বাংলা চলচ্চিত্রে যত প্রকার নায়ক রয়েছে তাদের রিস্কি সট গুলো স্টান্ডম্যানরা করে থাকে।কিন্তু এক মাত্র কুংফুমাস্টার রুবেল নিজের রিস্কি সটগুলো নিজেই করে থাকেন।উনার ঝুঁকিপূর্ণ একশান দৃশ্যের সটে কোন স্টান্টম্যানের প্রয়োজন পড়েনা। উনি একাই একশ। আর উনি নিজের ফাইটিং এর নির্দেশনা নিজেই দেন।এই রকম যোগ্যতাসম্পন্ন নায়ক সব দেশে জন্ম নেয় না।আমরা খুব সৌভাগ্যবান যে এই রকম এক নায়ক আমাদের দেশে পেয়েছি। যে নিজের স্টান্ট নিজেই করেন। নিজের ছবির ফাইট নিজেই পরিচালনা করেন। বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য অনেক বড় পাওয়া।অন্যান্য দেশেও কিছু সাহসী নায়ক আছেন যারা স্টান্টম্যান ছাড়া নিজেদের একশান দৃশ্যের স্যুট নিজেরাই করেন। আমরা আমাদের পাশের দেশের অক্ষয় কুমারের কথা বলি। এখন বলি টাইগার শ্রফের কথা।আর জ্যাটলী,জ্যাকিচ্যানরা তো আছেই। নিজেদের সব স্টান্ট তারা নিজেরাই করেন।আর এগুলো করতে গিয়ে অনেকবার বিপদের মুখে পড়েছেন। এই সব নিয়ে অনেক নিউজ আছে,খুললেই পাবেন।আমাদের মার্শাল আর্ট এক্সপার্ট রুবেল ও কম ঝুকি নেন নি। সেই লড়াকু”থেকে শুরু করে পৃথিবীর নিয়তি পযন্ত ঝুকি নিয়েই একশান সিন গুলো করেছেন। লড়াকু ছবিতে অনেক গুলো ঝুঁকিপূর্ণ একশান সট দিয়েছেন।বিপ্লব”ছবির একটি দৃশ্যে রুবেল উড়ন্ত বিমানে ব্যালেন্স ঠিক রেখে ফাইটিং করেছেন।দিনমজুর”ছবিতে আগুন লেগেগেছে এমন একটি ঘর থেকে বেড় হতে হবে রুবেলকে,এই দৃশ্যে সেই ঘর টা থেকে বেড় হতে জাস্ট কিছু সেকেন্ড দেরী হয়াতে রুবেলের গোফের অংশ পুড়ে যায়। ভ্রুতেও সম্ভাবত খানিকটা আগুন লেগে যায়। বাঘের থাবা ছবিতে কোন রকম নিরাপত্তা ব্যাবস্থা ছাড়াই আগুনের ভিতর থেকে মটর সাইকেল চালিয়ে বেড় হয়েছেন। আমি শাহেনশাহ ছবিতে রুবেলকে উল্ট করে ঝুলিয়ে বেধে রাখা হয়।সেই দৃশ্যে মোমবাতি মুখ দিয়ে ধরে পায়ের দড়ি পুরিয়ে নিজেকে উদ্ধার করেন। এটা খুবই কস্টকর দৃশ্য,স্টান্টম্যান ছাড়া করা সম্ভব নয়। তা রুবেল নিজে করে দেখিয়েছেন।মীরজাফর”ছবিতেও এর ব্যাতিক্রম ঘটেনি।অগ্নিসন্তান”ছবিতে পাশাপাশি বিল্ডিং। এক বিল্ডিং থেকে আর এক বিল্ডিং এ অতিদ্রুত গতিতে লাফিয়ে চলেযান।অর্জন ছবিতে রুবেল এক পাহাড় থেকে আর এক পাহাড়ে পায়ের সাথে পা প্যাচিয়ে দড়ি বেয়ে অন্য পাহাড়ে যান। এই রকম একশান ঘরানার অসংখ্য ছবিতে ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যের স্টান্ট নিজেই করেছেন। তা বলে শেষ করা যাবেনা।বাংলা চলচ্চিত্রে।
নায়কের ক্ষেত্রে যা কল্পনার বিষয় তা রুবেল বাস্তব করে দেখিয়েছেন। তাই তো একশান কিং রুবেল আনপ্যারালাল হিরো। রুবেলের তুলনা কারো সাথে চলেনা।রুবেলের তুলনা রুবেল নিজেই।
[প্রিয় পাঠক, আপনিও দৈনিক কালের খবর পত্রিকার অংশ হয়ে উঠুন। লাইফস্টাইল বিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, এখন আমি কী করব, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুন – dainikkalerkhobor5@gmail.com- www.dainikkalerkhobor.com – মোবাইল – 01753526333 – এ ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।]