শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ১১:৪৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
রায়পুরায় মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র বন্ধ থাকায়, চরমভাবে ক্ষিপ্ত চিকিৎসা বঞ্চিত এলাকাবাসী। কালের খবর খাগড়াছড়িতে বিদ্যালয়ের নবনির্মিত প্রধান ফটক উদ্বোধন করলেন পার্বত্য উপদেষ্টা। কালের খবর রায়পুরায় বৃদ্ধ দারিদ্র্য কৃষকের শেষ সম্বল গবাদিপশু ও বসতঘর পুড়ে ছাঁই। কালের খবর পদ্মা-মেঘনায় ভরা মৌসুমেও নেই ইলিশ। কালের খবর ‘জীবনের শেষ লেখা হিসেবে এটা ছাপতে পারেন’। কালের খবর তারেক রহমান এর ৩১ দফা : একটি টেকসই বাংলাদেশের স্বপ্ন। কালের খবর রাজধানীর ডেমরায় বিএনপি নেতাদের হুমকি-ধমকি, থানায় জিডি। কালের খবর রাজধানীর ডেমরায় এলাকাবাসীর ওপর পুলিশ লাইনের সদস্যদের হামলার অভিযোগ। কালের খবর মা‌টিরাঙ্গায় সেনা অ‌ভিযা‌নে আট লাখ টাকার অ‌বৈধ ভারতীয় পণ্য জব্দ। কালের খবর সেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে পানছড়িতে র‍্যালী ও বৃক্ষরোপণ। কালের খবর
কমলগঞ্জে ল্যাম্পিং স্কিন ডিজিজে আক্রান্ত শতাধিক গবাদিপশু। কালের খবর

কমলগঞ্জে ল্যাম্পিং স্কিন ডিজিজে আক্রান্ত শতাধিক গবাদিপশু। কালের খবর

 

আব্দুল হামিদ কমলগঞ্জ মৌলভীবাজার প্রতিনিধি, কালের খবর ॥ কমলগঞ্জে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে গবাদিপশুর ল্যাম্পিং স্কিন ডিজিজ (পক্স বা বসন্ত) রোগ। গত দুই সপ্তাহ যাবত পুরো উপজেলায় এ ভাইরাসে শতাধিক গরু আক্রান্ত হয়েছে।

এছাড়া ছাগলও আক্রান্ত হচ্ছে। রোগের ভ্যাকসিন ও সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে খামারি ও পশুর মালিকেরা পড়েছেন বিপাকে।

ভাইরাসে আক্রান্ত গরুর মালিকেরা জানান, গত দুই সপ্তাহ ধরে গরুর ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। এ ভাইরাসে গবাদি পশু অনেক দুর্বল হয়ে যায়।
এছাড়া মুখ দিয়ে লালা বের হয়, বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে ক্ষত সৃষ্টি হয় ও সারা শরিলে গুটি বের হয়। আক্রান্তের হার বেশি হওয়ায় খামারি ও পশুর মালিকেরা আতংকে মধ্যে আছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানায়, গত ২০ দিনে এই উপজেলায় ১২০ টির মতো গরু ল্যাম্পিং স্কিন ডিজিজে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে চিকিৎসায় ৭০টি গরু সুস্থ হয়েছে।

২০১৯ সাল থেকে বাংলাদেশে এ ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় প্রতি বছর এ সময়ে এই ভাইরাসটি বৃদ্ধি পায়। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আক্রান্ত পশুদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলার পৌর এলাকা, পতনঊষার, রহিমপুর, শমশেরনগর, মুন্সিবাজার ইউনিয়নের বেশিরভাগ খামারি ও কৃষকের গরু আক্রান্ত হয়েছে ল্যাম্পিং স্কিন ডিজিজ রোগে।

এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কয়েকটি গরু মারাও গেছে। একটি গরু আক্রান্ত হওয়ার তিন থেকে ৪ সপ্তাহ লাগে স্স্থু হতে। সঠিক চিকিৎসার অভাবে ভাইরাসটি ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে।

পতনঊষার ইউনিয়নের গরুর মালিক আকলুছ মিয়া, হুসাইন আহমদ বলেন, হঠাৎ করে আমাদের গরু দুর্বল হয়ে পড়ে।

একই সাথে সারা শরিরে গুটি বের হয়। খাওয়া দাওয়া কমিয়ে দেয়। একটা সময় মনে হয়েছে গরু গোলা মারা যাবে। এখন ঔষধ ব্যবহার করছি।

কমলগঞ্জ উপজেলার উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রানা লাল রায় বলেন, বর্ষা মৌসুম আসলে মশা, মাছি ও পোকা থেকে গবাদিপশুর ল্যাম্পিং স্কিন ডিজিজ এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে । আমরাও চিকিৎসা দিচ্ছি গ্রামে গঞ্জে গিয়ে।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com