শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল কাসাভা। কালের খবর চবি এক্স স্টুডেন্টস ক্লাব ঢাকা এর সভাপতি ব্যারিস্টার ফারুকী এবং সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক স্বপন নির্বাচিত। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল সম্পন্ন। কালের খবর সীতাকুণ্ড হবে বাংলাদেশের অন্যতম মডেল উপজেলা : আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী। কালের খবর মাটিরাঙ্গার গুমতিতে মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মুরাদনগরে সামাজিক সংগঠনের শীতের কম্বল বিতরণ। কালের খবর বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে ‘স্বাধীনতা সোপানে’ শ্রদ্ধা নিবেদন। কালের খবর জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন। কালের খবর জুলাইয়ের শহীদ পরিবারদেরকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নবীউল্লা নবীর আর্থিক সহায়তা ও খাদ্য বিতরণ। কালের খবর
পুলিশের সামনেই সাংবাদিকদের ওপর ছাত্রলীগ ও যুবলীগকর্মীদের হামলা, গুরুতর আহত ৫ । কালের খবর

পুলিশের সামনেই সাংবাদিকদের ওপর ছাত্রলীগ ও যুবলীগকর্মীদের হামলা, গুরুতর আহত ৫ । কালের খবর

কালের খবর প্রতিবেদক : নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় রাজধানীর সাইন্সল্যাব এলাকায় সাংবাদিকদের ওপর ছাত্রলীগ ও যুবলীগকর্মীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন আহত সংবাদকর্মী ও শিক্ষার্থীরা।
তাদের অভিযোগ, এ সময় সাংবাদিকদের বেধড়ক পেটানো হয়েছে, ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। হামলায় অন্তত ৫ সাংবাদিক ও ফটোগ্রাফার গুরুতর আহত হয়েছেন।
আহত সাংবাদিকরা অভিযোগ করেন, রবিবার বেলা ২ টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সংবাদ সংগ্রহের সময় তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। আহত সাংবাদিকরা হলেন, এপি’র এম এ আহাদ, দৈনিক বনিক বার্তার পলাশ শিকদার, নিউজ পোর্টাল বিডি মর্নিং আবু সুফিয়ান জুয়েল, দৈনিক জনকণ্ঠের জাওয়াদ ও দৈনিক প্রথম আলোর সিনিয়র ফটোগ্রাফার সাজিদ হোসেন ও প্রতিবেদক আহম্মেদ দীপ্ত।
এছাড়া, কয়েকজন ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফারের ওপরও হামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহতরা হলেন রাহাত করীম, এনামুল হাসান, মারজুক হাসান, হাসান জুবায়ের ও এন কায়ের হাসিন। তারা সবাই পাঠশালার শিক্ষার্থী।
আহতদের দাবি, পুলিশের সামনেই সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল বলেও তারা অভিযোগ করেন।
পাঠশালার প্রিন্সিপাল আবীর আব্দুল্লাহ বলেন, ‘তারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছবি তুলতে যায় রবিবার সাইন্সল্যাবে যান। সেখানে তারা হামলার শিকার হন।’
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, দুপুরে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ থেকে সাইন্সল্যাব হয়ে সিটি কলেজের সামনে দিয়ে জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড গিয়ে ধানমন্ডির ২/এ ঘুরে ফের সাইন্সল্যাবের দিকে আসার সময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগকর্মীরা তাদের ওপর হামলা করেন। এ সময় সাংবাদিকরা সেই হামলার ছবি তুলতে গেলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগকর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে লাঠি, রড, পাইপ দিয়ে হামলা করে। হামলাকারীদের কারও মাথায় হেলমেট ও মুখে রুমল বাঁধা ছিল।
নিউজ পোর্টাল বিডি মনিং-এর সাংবাদিক আবু সফিয়ান জুয়েল বলেন, ‘হামলাকারীরা সবাই ছাত্রলীগ ও যুবলীগ বলে আমারা জানতে পেরেছি। তাদের অনেকের মাথায় হেলমেট ছিল।’
হামলাকারীদের পরিচয়ের বিষয়ে দৈনিক বনিক বার্তার ফটোগ্রাফার পলাশ শিকদার বলেন, ‘আমি সিটি কলেজের সামনের পুলিশ বক্সের সামনে ছবি তুলছিলাম, তখন এপি’র ফটোগ্রাফার এম এ আহাদকে মারধর করা হচ্ছিল। আমি তাকে বাঁচাতে যাই। তখন হামলাকারীরা আমাকেও মারধর করে। লাঠি ও রড দিয়ে পিটিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘হামলাকারীরা সবাই ছাত্রলীগ। আমরা এই হামলাকারীদের বিচার চাই।’
দৈনিক প্রথম আলোর সিনিয়র ফটোগ্রাফার সাজিদ হোসেন বলেন, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ছাত্রলীগ আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।’
পুলিশের সামনেই সাংবাদিকদের মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এমন কোনও অভিযোগ পাইনি।’
Share

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com