শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৪ অপরাহ্ন
কালের খবর ডেস্ক :
সম্প্রতি দৈনিক ডেসটিনি সম্পাদক, বৈশাখী টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ডেসটিনি গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রফিকুল আমীনের বিরুদ্ধে প্রথম আলোর প্রথম পাতায় প্রকাশিত ‘রোগের ছুতোয় আবারো হাসপাতালে ডেসটিনির রফিকুল’ এমন এক বিতর্কিত শিরোনাম দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দৈনিক ডেসটিনি ইউনিট। শনিবার বিকেলে দৈনিক ডেসটিনি অফিসের সভাকক্ষে দৈনিক ডেসটিনি ইউনিট এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। দৈনিক ডেসটিনি কার্যালয়ে ইউনিটের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিট প্রধান খন্দকার আনিছুর রহমান প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় বক্তারা বলেন, যে মানুষ বিনা বিচারে বছরের পর বছর জেলের ঘানি টানছেন তার বিরুদ্ধে প্রথম আলোর এমন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ উপস্থাপন করে সংবাদ প্রকাশ করাটা কতটুকু দায়িত্বশীল আচরণের মধ্যে পড়ে তা ভাবনার বিষয়।
বক্তারা আরো বলেন, প্রথম আলোর মতো একটি দায়িত্বশীল গণমাধ্যমের বোঝা উচিত ডেসটিনি শুধু রফিকুল আমিনের সম্পত্তি নয়; এর সাথে ৪৫ লাখ সদস্য তথা তাদের পরিবার আর্থিকভাবে জড়িত। আর এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীর অংশীদারিত্বের প্রতিষ্ঠান ডেসটিনিকে নিয়ে ভালোভাবে জেনে-বুঝে সংবাদ প্রকাশ করা উচিত।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ডেসটিনির উপ-সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, দুদকের ধারণাগত অভিযোগের ভিত্তিতে যে মানুষ বিনা বিচারে দিনের পর দিন জেল খাটছেন, কই প্রথম আলো তো সে বিষয়ে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করছে না। তবে কার ব্যক্তিগত অভিপ্রায় পালনে প্রথম আলো ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনকে নিয়ে এমন ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করে চলেছে।
সোহেল হায়দার চৌধুরী আরো বলেন, প্রথম আলোর প্রতিবেদনে ইয়াবা ব্যবসায়ী যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সাথে একজন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও ডিভিশনপ্রাপ্ত হাজতি জনাব রফিকুল আমীনকে তুলনা করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ধিক্কার জানাই তাদের এমন হীন মানসিকতাকে।
তিনি বলেন, মোহাম্মদ রফিকুল আমীন শুধু একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীই নন, তিনি জনপ্রিয় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বৈশাখীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও দৈনিক ডেসটিনির সম্পাদকও।
দৈনিক ডেসটিনির উপ-সম্পাদক খাজা খন্দকার বলেন, একজন অসুস্থ্য মানুষকে নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক রিপোর্ট প্রকাশ করার আগে প্রথম আলোকে আরো দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ছিল। তিনি আরো বলেন, সুচিকিৎসা পাওয়া সব মানুষের নাগরিক অধিকার।
ডেসটিনি ইউনিটের প্রধান খন্দকার আনিছুর রহমান বলেন, ডেসটিনির সম্পাদক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি নন, তিনি একজন ডিভিশনপ্রাপ্ত হাজতি মাত্র। যার বিচার প্রক্রিয়া চলমান। এজন্য তিনি দীর্ঘ ৬ বছর ধরে হাজত বাস করছেন। আর রফিকুল আমীন যেহেতু একজন ডিভিশনপ্রাপ্ত হাজতি সেহেতু প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে অন্যান্য কয়েদিদের সাথে তার তুলনা করা হলুদ সাংবাদিকতার শামিল বলে দাবি করেন এ সাংবাদিক নেতা। প্রথম আলো এমন মিথ্যা ও বিতর্কিত সংবাদ প্রকাশ করে তাদের পাঠকসমাজের সাথেও প্রতারণা করছে বলে মনে করেন তিনি। প্রথম আলোকে এমন দায়িত্বহীন পেশাদারিত্ব থেকে বেরিয়ে আসারও পরামর্শ দেন আনিছুর রহমান।
ডেসটিনি ইউনিটের উপ-ইউনিট প্রধান মোহাম্মদ জাকারিয়া রফিকুল আমীনের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম মঈনুল ইসলামের রেফারেন্স দিয়ে বলেন, উচ্চ আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া আছে কারা কর্তৃপক্ষকে ডেসটিনির সম্পাদক রফিকুল আমীনের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। সেই লক্ষ্যে কারা কর্তৃপক্ষ কারা বিধি অনুযায়ী তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা নিয়েছে। কারণ তাঁকে দৈনিক চারবার ইনসুলিন নিতে হয়। ডেসটিনি গ্রুপের বিরুদ্ধে কারোর কোনো অভিযোগ নেই। শুধু দুদকের একটি ধারণাগত অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের দিনের পর দিন এমন কারাবাস। আর ডেসটিনি নিয়ম মেনে ব্যবসা পরিচালনা করেছে বলে সরকারকে ৪১০ কোটি টাকা রাজস্ব প্রদান করতে পেরেছে বলেও জানান মোহাম্মদ জাকারিয়া।
প্রতিবাদ সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য সহযোগী সম্পাদক অনিল সেন, ভারপ্রাপ্ত চিফ রিপোর্টার কাঞ্চন কুমার দে প্রমুখ। এ সভায় দৈনিক ডেসটিনির সাংবাদিক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যোগ দেন।
দৈনিক কালের খবর -/ক/ক
সূএ : দৈনিক ডেসটেনি