শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন
এম আই ফারুক আহমেদ, কালের খবর :
ডেমরা-সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের শতাধিক অবৈধ স্থাপনা ও দোকান পাট উচ্ছেদ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জ জেলা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মো: মোনাব্বের হোসেন এর নেতৃত্বে মো: আহসান উল্লাহ মজুমদার এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন চিটাগাং রোডের সড়ক ও জনপথ বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার মো. নোমান, সারভেয়ার মো : সোহাগ সহ সিদ্ধিরগঞ্জ ও ডেমরা থানা বিএনপির নেতা মোঃ মোক্তার হোসেন, মো : নুর হোসেন নরু ভূঁইয়া, মোঃ সোলায়মান পলাশ, মোঃ জসিম, মোঃ হাজি জহিরুল ইসলাম, মোঃ আলমগীর হোসেন, মোঃ আক্তার হোসেন, মোঃ জাহিদ হোসেন, মোঃ নাজমুল, মোঃ আসাদুল, মোঃ সোহেলসহ আরো অনেক নেতৃবৃন্দ। ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ-ডেমরা থানার পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ। এসময় সড়কে অভিযানে নেতৃত্ব দানকারী নারায়ণগঞ্জ জেলা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মো: মোনাব্বের হোসেন বলেন, এই মহসড়কে আর যদি কোনো দোকান পাট অবৈধভাবে তোলা হয়, তবে তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দিয়ে আইনের আওতায় আনতে বাধ্য হবো।
এ অভিযানে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ডের দক্ষিণ ও উত্তর পাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা কাপড়, জুতা, সবজি ও ফলের দোকান, পরিবহন কাউন্টার, চা-দোকান, হোটেল সহ বিভিন্ন ধরনের শতাধিক দোকান পাট উচ্ছেদ করে মহাসড়ক ও ফুটপাত দখলমুক্ত করা হয়।
মহাসড়কে অবৈধভাবে গড়ে উঠা দোকান-পাট উচ্ছেদ হওয়ার পর দোকানীরা বলেন, নারায়ণগঞ্জের সাবেক এমপি শামীম ওসমানের পালিত সন্ত্রাসী আ.লীগের চাঁদাবাজ মতিউর রহমান সুমন আমাদের সব শেষ করে দিয়েছে। চাঁদাবাজ সুমন দোকান প্রতি ৮০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত এডভান্স নিয়েছে। আর প্রতিদিন কোনো দোকান থেকে ৮শত, কোনো দোকান থেকে ৫/৬শত টাকা করে স্থানীয় চাঁদাবাজ মো : হারুন ও তৌহিদকে দিয়ে উক্ত চাঁদা আদায় করিত শীর্ষ চাঁদাবাজ মতিউর রহমান সুমন। অসহায় দোকানীরা আরো বলেন, চাঁদাবাজ সুমন বলতেন সাইনবোর্ডের রাস্তার পাশের উক্ত জায়গা নাকি সে লিজ নিয়েছে। এমন মিথ্যা কথা বলে চিটারী-বাটপারি করে প্রতিটি দোকানী থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এখন দোকান ও টাকা হাড়িয়ে দোকানীরা নীরবে নিবৃত্তে চোখের পানি ফেলছে। উক্ত দোকানীরা এডভান্সের টাকা আদায় করার জন্য শীর্ষ চাঁদাবাজ সুমন, চাঁদাবাজ মো: হারুন ও তৌহিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করবে বলে জানান।