সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৯ পূর্বাহ্ন
জেলা প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি : মোঃ নিজাম উদ্দিন /মুজিবুর রহমান ভূঁইয়া, কালের খবর
গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম ১৫ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারীর বিভিন্ন অর্জনের কথা তুলে ধরে বলেছেন, আমরা যার যার জায়গা থেকে শান্তি, সম্প্রীতি ও ঐক্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছি। এ প্রচেষ্ঠাকে এগিয়ে নিতে গনমাধ্যমকর্মীদের সচেষ্ঠ থেকে কাজ করতে হবে। সেনাবাহিনীর উদ্যোগ গুলো সাধারন মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।
রোববার (২৭ অক্টোবর) দুপুরের দিকে মাটিরাঙ্গা জোন সদরে ১৫ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারীর ৪৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দুপুরের দিকে আমন্ত্রিত অতিথিরা একে একে উপস্থিত হয়ে জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল মো.কামরুল হাসান পিএসসি’র হাতে ফুলের তোড়া ও উপহার দিয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানান। দিবসটি উপলক্ষ্যে পুরো জোন সদরে ছিলো সাজ সাজ রব। পরে আমন্ত্রিত অতিথিদের সাথে নিয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কাটেন প্রধান অতিথি গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম।
বর্নিল এ অনুষ্ঠানে বিজিবির গুইমারা সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল এসএম আবুল এহসান, বিজিবির খাগাড়ছড়ি সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মো: আব্দুল মোত্তাকিম, যামিনীপাড়া জোন অধিনায়ক লে, কর্ণেল আলমগীর কবীর, লক্ষীছড়ি জোনের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো: তাজুল ইসলাম, পলাশপুর জোন অধিনায়ক লে: কর্ণেল মোহাম্মদ মুনতাসির মামুন, রামগড় জোন কমান্ডার লে: কর্নেল সৈয়দ ইমাম হোসেন, সিন্ধুকছড়ি জোন অধিনায়ক লে: কর্ণেল সৈয়দ পারভেজ মোস্তফা, মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আলম, সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. আল আমিন হালদার, মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. তৌফিকুল ইসলাম, গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. এনামুল হক, মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক আহম্মদ, মাটিরাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান ও পৌর বিএনপির সভাপতি মো. শাহজালাল কাজল প্রমুখ ছাড়াও সামিরক-বেসামরিক কর্মকর্তা ও গনমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ২৪ অক্টোবর রংপুর সেনানিবাসে তৎকালীন ৭ম জেআরবি ব্যাটালিয়নকে নতুন আঙিকে ১৫ রেজিমেন্ট আর্টিলারী হিসেবে গঠন করা হয়। লে. কর্ণেল সরদার মো. আলী হাসান ১৫ রেজিমেন্ট আর্টিলারীর প্রথম অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিগত ৪৯ বছরে এ ইউনিট ৬টি ফরমেষনে অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে সম্পন্ন করে। ইতিপুর্বে এ ইউনিট পার্বত্য চট্টগ্রামে তিনবার সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করে।
গ্লোরিয়স ফিফটিন ‘অপারেশন দাবানল’ ‘অপারেশন উত্তোরণ’ ‘অপারেশন ক্লিহার্ট’ ‘অপারেশন আলোর সন্ধানে’ ‘অপারেশন রেবেল হান্ট’ ‘অপারেশন নবযাত্রা’ ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন’ ও ‘অপারেশন কোভিড শীল্ড’ এর আওতায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তাসহ অর্পিত দায়িত্ব সফলতার সাথে পালন করে।