রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৪ অপরাহ্ন
মোঃ মুন্না হুসাইন তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি, কালের খবর : শষ্যভান্ডার খ্যাত চলনবিলের সিরাজগঞ্জের তাড়াশ এলাকায় ইরি ও বোরো ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। এখন কৃষকদের দম ফেলার ফুরসত নেই। তবে শ্রমিক সঙ্কট দেখা দেওয়ায় কৃষকেরা বেশি টাকায় ধান কাটতে বাধ্য হচ্ছেন। ইতোমধ্যে ধানে চিটা রোগ হওয়ায় কৃষকের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর তাড়াশ উপজেলায় চলতি মৌসুমে ইরি বোরো চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ২৩ হাজার হেক্টর।
তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের ভোগমান গ্রামের গ্রামের কৃষক জানমাহমুদ জানান, এ বছর ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে। মাঠে মাঠে সোনালীর আলোয় আলোকিত হয়েছে পাকা ধান। শ্রমিক সঙ্কট হওয়ায় ধান কাটতে সময় লাগছে।
একই ইউপির আড়ংগাইল গ্রামের কৃষক আব্দুল গফুর বলেন, ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। দাম বর্তমানে বেশ ভালো। প্রতিমণ ধান এখন ৬০০ থেকে সাড়ে ৭০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে প্রতিটা হাট বাজারে। যদি আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকে তাহলে এ উপজেলার কৃষকেরা হবে মহানন্দিত। এদিকে বাম্পার ফলন হলেও কৃষকের মুখে হাসি নেই। কারন খরচের চেয়ে ধানের মুল্য খুবই কম। যদি ধানের দাম বৃদ্ধি না হয়। তাহলে আগামীতে বোরো আবাদের কম হওয়ার আশংকা করছেন এ কৃষক।
নওগাঁ ইউনিয়নের মহেশরৌহালী গ্রামের কৃষক আশরাফ আলী বলেন, এ বছর মিনিকেট ধান লাগিয়েছিলাম। কয়েকদিন আগে মিনিকেট ধানে চিটা রোগ হওয়ায় এ উপজেলার কৃষকের ক্ষতি হয়েছে। এ দিকে ধান বিক্রি করতে গিয়ে ধানের ন্যায্যমূল্য পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম বলেন, তাড়াশ উপজেলাসহ চলনবিলে এবার বোরো ধান অনেক ভালো হয়েছে। কিন্ত ধানের দাম না পেয়ে কৃষক রয়েছে অসন্তষ্ট। তবে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।