রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১৩ পূর্বাহ্ন
মিহিরুজ্জামান সাতক্ষীরা, কালের খবর :
সাতক্ষীরার কলারোয়ার দলুইপুর গ্রামের চেয়াম্যান পাড়ায় ভাইরাস রোগে ৩ দিনে ৮টি গরু ও ৩৬টি ছাগল মারা গেছে। এলাকার শতশত গরু ছাগল ভাইরাস রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
সূত্রমতে,কলারোয়া উপজেলার দলুইপুর গ্রামের আমজেদ সরদারের পুত্র শুভ সরদারের ১টি বিদেশী দুধের গাভী (আনুমানিক মূল্য আড়াই লক্ষ টাকা), উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা আনোয়ার ময়নার দুটি গরু (১লক্ষ ৮০হাজার টাকা) ভাইরাস রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। এই নিয়ে গত ৩দিনে দলুইপুর চেয়ারম্যানপাড়ায় ৮টি গরু ও ৩৬টি ছাগল মারা গেল। ভাইরাস রোগে একের পর এক গরু ছাগল মারা যাচ্ছে। ভুক্ত ভোগিরা জানিয়েছেন,গত দুই সপ্তাহ যাবৎ হাঁস-মুরগী,গরু-ছাগলের ভাইরাস রোগ দেখা দিয়েছে। খোরদো গ্রামের গ্রাম্য চিকিৎসক আসাদ,যুগিখালী গ্রামের আরশাদ, মিরডাঙ্গা গ্রামের ইমন, দেয়াড়া গ্রামের ইব্রাহিম সহ এলাকার ১০/১২জন গ্রাম্য পশু চিকিৎসক চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। এলাকার চিকিৎসকের চিকিৎসায় ভাইরাস রোগ ভালো হচ্ছে না। প্রতিটি বাড়ির হাঁস-মুরগী,গরু-ছাগল মারা যাচ্ছে। অবসরপ্রাপ্ত পশু চিকিৎসক মঈনুল ইসলাম বাবুল খোরদো বাজারে গরু ছাগলের চিকিৎসার ঔষধ ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। আক্রান্ত গরু-ছাগলের মালিকরা জানিয়েছেন গরু-ছাগল, হাঁস মুরগীর জ্বর সর্দ্দি কাশি, মুখের ভিতরে ঘা জ্বরা রোগে আক্রান্ত হয়ে দুর্বল হয়ে পড়ছে। পাতলা পায়খানা ও জ্বরে ভুগে ধুকধুক করছে। ভাইরাসে আক্রান্ত গরু ছাগল খাওয়া ছেড়ে দিয়ে ঢলে পড়ে মারা যাচ্ছে। সরকারি ডাক্তারের পরামর্শ ঔষধ মিলছে না। উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিস নিরব হয়ে আছে। জরুরী ক্যাম্পিং করে গরু ছাগলের চিকিৎসা পরামর্শ দেওয়ার জন্য দলুইপুর গ্রামবাসিরা দাবি জানিয়েছে। তারা জানায়,ঘটনাটি ১৫দিন অতিবাহিত হচ্ছে। দেয়াড়া ইউনিয়নে প্রতিদিন গরু-ছাগল মারা যাচ্ছে। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা তার অফিসে গরু ছাগল নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। আক্রান্ত গরুর মালিকরা জানিয়েছে, দলুইপুর থেকে কলারোয়া প্রাণী সম্পদ অফিসের দূরত্ব ১২কিলোমিটার। এই দূরের রাস্তা পাড়ি দিয়ে হাজার টাকা ব্যয়ে গরু ছাগল নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। পশু চিকিৎসার নামে গ্রাম্য ডাক্তাররা হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এসব ডাক্তারদের চিকিৎসায় গরু ছাগলের রোগ ভালো হচ্ছে না। ভাইরাস রোগটি চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রামের সহজ সরল কৃষক ও দিন মজুররা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। গ্রামের অধিকাংশ মানুষ এনজিও অফিসের কিস্তির টাকা নিয়ে এসব গরু-ছাগল খরিদ করেছেন। এসব গরু ছাগল লালন পালন করে সংসার খরচ যোগায়।