সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন
কালের খবর ডেস্ক :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রভাবশালী দুই হেভি ওয়েট প্রার্থী তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল এম.পি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম আসামী সার্জেন মুজিবুর রহমান সাহেবের যোগ্য উত্তরসূরী ফয়জুর রহমান বাদলকে ডিঙ্গিয়ে জুট বা মহাজোটে চলে গেলে আশ্চর্য হওয়ার কিছুই থাকবে না, এমনটাই প্রচারণা রয়েছে তৃণমূল পর্যায়ে। ১৪ দলীয় শরিক জোটে মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন জাসদ (ইনু) থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন সাঈদ ও মহাজোটে রয়েছেন জাতীয় পার্টি (রওশন এরশাদ) মুখপাত্র এরশাদ চেরিটেবল ট্রাস্টের চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশিদ।
এ আসনে আওয়ামীলীগ ও জোট মহাজোট প্রার্থীরা মনোনয়ন লড়াইয়ে তুমুল প্রতিদ্বন্দীতায় মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। গণসংযোগ, শো-ডাউন, পথসভা, উঠান বৈঠক এর মধ্য দিয়ে মাঠে তাদের শক্ত অবস্থান জানান দিয়েছেন সকল প্রার্থী। তফসিল ঘোষনার পর শুরু হয়েছে মনোনয়ন প্রাপ্তি জোর লবিং। এ আসনে আওয়ামীলীগ দলীয় একাধিক প্রার্থী থাকায় মনোনয়ন কে পাবেন তা নিয়ে সংশয় রয়েছে, তাবে দলে বিভাজন থাকায় সুবিধাজনক অবস্থায় আছে ১৪ দলীয় জোটের জাসদ (ইনু) ও মহাজোটের জাতীয় পার্টি’র (রওশন এরশাদ)প্রার্থী।
উপজেলা আওয়ামীলীগ দুইভাবে বিভক্ত,একটি গ্রুপের নেতৃত্বে বর্তমান এমপি বুলবুল,অপরটি দলের সভাপতি বাদল। প্রধান দুই বিরোধী দল বিএনপি ও জাতীয় পার্টি (জিএম কাদের) নির্বাচনী মাঠে না থাকায় জনসাধারণের মাঝে নির্বাচন নিয়ে কোন উৎসাহ উদ্দীপনা নেই।
ক্ষমতাসীন দলে মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্য যারা রয়েছেন, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল,আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটি সদস্য ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম নবী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার জাকির আহম্মেদ, আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্র্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক মো. আলামিনুল হক আলামিন,মহিলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য অধ্যাপিকা নূরুন্নাহার বেগম,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কারা নির্যাতিত সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ আবু আব্বাস।
এমপি এবাদুল করিম বুলবুল অনুসারী নেতা/কর্মীরা বলছেন, তিনিই মনোনয়ন পাবেন এই দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে আসনটি ধরে রাখতে কাজ করছেন। তার বর্তমান শাসনামলে নবীনগরকে মাদক সন্ত্রাস মুক্ত করতে সামাজিক আন্দোলন তৈরী করা, এলাকায় রাস্তাঘাট,ব্রীজ কালভার্টসহ দুই হাজার দুইশত পঞ্চাশ কোটি টাকার ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। দলীয় জোট মহাজোট যাকেই নেত্রী মনোনয়ন দিবেন তার পক্ষেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবেন তারা।
সাবেক এমপি ও দলের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদল অনুসারী নেতা/কর্মীরা বলছেন,তাকেই মনোনয়ন দিবেন নেত্রী ,তার শাসনামলে তিনি নবীনগরকে উন্নয়ননের রুপকার হিসাবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। জনপ্রিয়তার দিক থেকে তিনি এগিয়ে রয়েছেন,দলের সভানেত্রী বলেছেন জনপ্রিয়তা দেখে মনোনয়ন দিবেন, সে ক্ষেত্রে ফয়জুর রহমান বাদলের কোন বিকল্প নেই।দলীয় জোট মহাজোট যাকেই নেত্রী মনোনয়ন দিবেন তার পক্ষেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবেন তারা।
১৪ দলীয় জোটের জাসদ(ইনু)প্রার্থী অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন সাঈদ এর অনুসারী নেতা/কমীরা বলছেন,নির্বাচনী মাঠে তারা কাজ করছেন,২০০৮সালে জোটবদ্ধ নির্বাচনে এ আসন থেকে জাসদ প্রার্থী এমপি হয়েছেন এবারও নেত্রী ১৪ দলীয় জোটেই মনোনয়ন দিবেন।
মহাজোটের জাতীয় পার্টি (রওশন এরশাদ) প্রার্থী কাজী মামুনুর রশিদ এর অনুসারী নেতা/কর্মীরা বলছেন,তারা নিশ্চিত মনোনয়ন পাবেন, নেত্রী জোটবদ্ধ নির্বাচনে মহাজোট থেকেই মনোনয়ন দিবেন।
নতুন প্রজন্মের যুুবনেতা আলামিন বলেন,”আমি আমার অবস্থান থেকে দল ও নবীনগরে জনসাধারণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি,মানুষের সুখ দুঃখের পাশে ছিলাম, আছি, থাকব,নেত্রী যে সিদ্বান্ত দিবেন সেটার সাথে সহমত পোষন করে কাজ করে যাব”।
নতুন প্রজন্মের কারা নির্যাতিত নেতা আবু আব্বাস ভূইয়া বলেন,” নেত্রী নির্দেশে মাঠে কাজ করে যাচ্ছি,নবীনগরবাসী নতুন নেতৃত্ব চাচ্ছে,আশা করছি নেত্রী এবার নতুনদের জনসেবার সুযোগ দিবেন”।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন,”আওয়ামীলীগ দলীয় ওই দুই হেভিয়য়েট প্রার্থী ও জোট, মহাজোটের মধ্যেই মনোনয়ন লড়াইয়ের যুদ্ব হবে। যদি জনপ্রিয়তার দিক থেকে বিবেচনা করে দলীয় মনোনয়ন দেয়, তাহলে ফয়জুর রহমান বাদলের বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে জোট বা মহাজোট যদি পেয়ে যায় আশ্চর্য হওয়ার কিছুই থাকবে না”।