শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে হাসিব আহমেদের নেতৃত্বে এক বিশাল র‍্যালি ও আনন্দ মিছিল। কালের খবর আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ‘মাস্টারমাইন্ড’ ওসি শহিদুল কক্সবাজারে আটক। কালের খবর ডেমরা-সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড মহাসড়কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ। কালের খবর ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর আগুনে পুড়ে ভূষ্মিভুত। কালের খবর রাজনীতিতে রাষ্ট্রপতি জিয়ার সততা ও দেশপ্রেম এক অনন্য দৃষ্টান্ত। কালের খবর শ্রীবরদী উপজেলা শ্রমিক দল উদ্যোগে সাবেক এমপি ডাঃসেরাজুল হকের ৩০ তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত । কালের খবর রায়পুরায় গৃহবধূকে যৌতুকের টাকার দাবিতে মারধর ও শ্বাসরুদ্ধে হত্যা। কালের খবর মাটিরাঙায় বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে জখম। কালের খবর ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১০০ শয্যায় উন্নতি হলেও সেবা মিলছে ৫০ শয্যার। কালের খবর জামি’আ রশিদিয়া মাদ্রাসার উদ্যোগে সুবর্ণ গ্রামে শিক্ষা সফরে শিক্ষার্থীরা। কালের খবর
বাজারে পাটের দাম পড়তির দিকে, লোকসানে চাষিরা। কালের খবর

বাজারে পাটের দাম পড়তির দিকে, লোকসানে চাষিরা। কালের খবর

 

মোঃ মুন্না হুসাইন তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি, কালের খবর : হাটে পাটের কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে দুশ্চিন্তায় চাষিরা। আজ বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জ তাড়াশ উপজেলার নওগাঁর হাটে।

হাটে পাটের কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে দুশ্চিন্তায় চাষিরা।
পাট চাষে গত বছরের তুলনায় এবার খরচ বেড়েছে কৃষকের। মজুরির ব্যয়ও বেড়েছে। সঙ্গে সার, কীটনাশক, বীজসহ চাষাবাদের খরচও বাড়তি। সব মিলিয়ে প্রতি মণ পাটের উৎপাদন খরচ বেড়েছে গড়ে ৫০০ টাকা। কিন্তু বাজারে পাটের দাম পড়তির দিকে। সিরাজগঞ্জ তাড়াশ উপজেলায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাটের দাম প্রতি মণে গড়ে ৬০০ টাকা কমেছে। এতে লোকসানে পড়েছেন চাষিরা।

কৃষকেরা বলছেন, গত বছর প্রতি মণ পাট ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাসখানেক আগে বাজারে ওঠা নতুন পাট ২ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে পাটের দাম কমছে। গত সোমবার থেকে পাটের দাম কমতে কমতে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকার মধ্যে নেমে এসেছে। এ অবস্থায় তাঁদের উৎপাদন খরচ তুলতে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, তাঁদের কাছে এখনো গত বছরের পাট রয়েছে। এ জন্য তাঁরা আগ্রহ দেখাচ্ছেন কম। এ ছাড়া বাজারে পাটের সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমেছে।

কৃষক ও উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার তাড়াশ উপজেলায় ৪৭৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। পাট চাষের সময় নানা বিড়ম্বনার শিকার হন চাষিরা। প্রথমত, আবাদের সময় খরা থাকায় পাটগাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অন্যদিকে পাট কাটার সময় পানির অভাবে অনেক কৃষককে পাট জাগ দিতে তিন থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে যেতে হয়েছে। এ জন্য প্রতি বিঘায় তাঁদের অতিরিক্ত চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা খরচ বেড়েছে। এর বাইরে শ্রমিকের মজুরি বাড়া, বীজ, কীটনাশক, সারের দাম বেড়েছে। সব মিলিয়ে গতবারের তুলনায় এবার প্রতি বিঘায় অন্তত পাঁচ হাজার টাকা বেশি খরচ হয়েছে কৃষকদের।

কৃষকেরা জানান, প্রতি বিঘা জমিতে পাট চাষ করতে গিয়ে তাঁদের প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি মণ পাটের উৎপাদন খরচ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২০০ টাকার বেশি। মৌসুমের শুরুতে প্রতি মণ পাট ২ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়। এ সময় কৃষকেরা মোটামুটি লাভে ছিলেন। কিন্তু এখন নিম্নমানের পাটের দাম ১ হাজার ৮০০, মধ্যম মানের পাট ২ হাজার ও ভালো পাট ২ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে নিম্ন ও মধ্যম মানের পাট বেশি হওয়ায় প্রতি মণ পাটে গড়ে ৩০০ টাকা লোকসান হচ্ছে চাষিদের।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com