মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন
মোঃ ইসমাইল হুসাইন কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, কালের খবর : কুষ্টিয়া জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ আলী খান ও তার স্ত্রী মেহেরুন্নেছা বিউটির প্রাণনাশের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সাংবাদিক এ,জে,সুজন ও তার পরিবার। ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রতিবাদ করায় সাংবাদিক সুজনকে এই হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা দাবি করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় পৃথক অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরী করেছে সাংবাদিক সুজন। জিডি নং ১২১৫ ১৮/০৩/২০২৩ ইং। সে জাতীয় দৈনিক আমার সময় ও স্থানীয় দৈনিক আজকের আলো পত্রিকার রির্পোটার।
অভিযোগে জানা গেছে, শহরের মিলপাড়া আদর্শ কলেজ মোড়ে পৌরসভা ও মোহিনী মিলের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে সেখানে শ্রমিক লীগের ব্যক্তিগত অফিস বানিয়েছে জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ আলী খান। অফিসের সাথেই রয়েছে সাংবাদিক সুজনের বসত ঘর। শ্রমিক লীগের অফিসের চালের উপর পড়া বৃষ্টির পানি গড়িয়ে পরে সুজনের বসত ঘরের ভেতরে। বৃষ্টি মৌসুমে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় ভুক্তভোগী পরিবারটিকে। ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণ পেতে পরিবারটি বার বার আমজাদ খান ও তার স্ত্রীর কাছে সমাধানের জন্য ধর্না দিলেও তারা বিষয়টি সমাধান না করে বারবার ফিরিয়ে দেয়।
শনিবার (১৮ মার্চ) আমজাদ খানের দখলকৃত অফিসের চালের পুরনো টিন পরিবর্তনের জন্য মিস্ত্রি আসলে ভুক্তভোগী পরিবারের গৃহিনী মিস্ত্রিদের বলে আপনারা টিন পাল্টানোর সময় আমাদের ঘরের অপর সাইডে চাল নিচু করবেন যাতে পানি সামনের দিকে পরে। এই কথা শোনার পর আমজাদ আলী খানের স্ত্রী মেহেরুন্নেছা বিউটি ওই গৃহিনীকে মোবাইলে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং আমজাদ আলী খান তুই তুকারী করে বলে কাল টিন পাল্টাবো, পানি তোর ঘরেই পরবে পারলে ঠ্যাকাস। এসময় গৃহিনীর ছেলে সাংবাদিক এ,জে,সুজন আমাজদ খান ও তার স্ত্রীকে গালাগালি করতে নিষেধ করলে তারা সুজনকে হুমকী দিয়ে বলে তুই কে, তুই নাকি সাংবাদিক, তুই কিসের সাংবাদিক, তোর কি অবস্থা করবো তুই জানিস না, তোকে নদীতে ভাসিয়ে দেব। এই ঘটনার পর নিরাপত্তা ও তাদের অত্যাচার থেকে পরিত্রাণ পেতে আমজাদ আলী খান ও তার স্ত্রী মেহেরুন্নেছা বিউটির বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় পৃথক অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরি করেছেন সাংবাদিক সুজন।
ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে কথা হলে তারা জানান, বেশ কয়েক বছর আগে পৌরসভার জায়গা ও মোহিনী মিলের সীমানার প্রাচীর ভেঙ্গে ওই অফিস অবৈধ ভাবে গড়ে তোলে। যা এখন শ্রমিক লীগের অফিস বলে প্রচার করে আমজাদ আলী খান।
এই ব্যাপারে জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ওই অফিসের সাথে শ্রমিক লীগের কোন সম্পর্ক নেই। ওটা আমজাদ খানের দখল করা নিজের অফিস। শ্রমিক লীগের একটাই অফিস, সেটা হলো পার্টি অফিসে। ওখানেই আমরা বসি।
এ বিষয়ে জানতে জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ আলী খানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়আ যায়নি।