সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই-আগষ্টে শহীদদের ছাড়া আর কারো প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। কালের খবর পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল কাসাভা। কালের খবর চবি এক্স স্টুডেন্টস ক্লাব ঢাকা এর সভাপতি ব্যারিস্টার ফারুকী এবং সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক স্বপন নির্বাচিত। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল সম্পন্ন। কালের খবর সীতাকুণ্ড হবে বাংলাদেশের অন্যতম মডেল উপজেলা : আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী। কালের খবর মাটিরাঙ্গার গুমতিতে মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মুরাদনগরে সামাজিক সংগঠনের শীতের কম্বল বিতরণ। কালের খবর বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে ‘স্বাধীনতা সোপানে’ শ্রদ্ধা নিবেদন। কালের খবর জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন। কালের খবর
পৌষের শীতে তাড়াশ উপজেলায় খেজুরের গুড় তৈরির ধুম পরেছে। কালের খবর

পৌষের শীতে তাড়াশ উপজেলায় খেজুরের গুড় তৈরির ধুম পরেছে। কালের খবর

মোঃ মুন্না হুসাইন তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি, কালের খবর : ভরা পৌষের শীতে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তৈরি হচ্ছে সুস্বাদু খেজুরের গুড়। স্বাদে গন্ধে এই গুড় অতুলনীয়। ইতিমধ্যেই গাছিরা স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে খেজুর গাছ লিজ নিয়ে গুড় তৈরি শুরু করছেন। এই গুড়ের মান ভালো হওয়ায় এর চাহিদা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। বাজারে গুড়ের দাম ভলো পাওয়ায় লাভের মুখ দেখছেন গুড় চাষিরা। এই গুড়ের মান বজায় রাখতে নজরদারি করছে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

জানা যায়, শীত মৌসুম এলেই চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ব্যস্ত হয়ে পড়েন গাছিরা। গাছ থেকে খেজুরের রস এনে তা মাটির তৈরি বিশেষ চুলায় জাল দিয়ে তৈরি করা হয় খাঁটি মানের খেজুরের গুড়। উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামেই চোখে পড়বে এমন দৃশ্য। উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের কাস্তা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সকালে গাছিরা গাছ থেকে খেজুর রস সংগ্রহ করে এসে বড় পাত্রে রস জাল দিচ্ছেন।

কথা হয় খেজুর গুড় চাষি নজরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, ভোর বেলায় গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরি করে থাকেন। এবছর প্রতি কেজি গুড় ১৮০ টাকা দরে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে। যত শীত বাড়বে ততই রসের মান ভাল হয়। এতে গুড়ের মানও ভাল হয় বলে জানান তিনি। স্থানীয় কৃষি অফিসের তথ্যমতে, উপজেলায় আট ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার খেজুর গাছ রয়েছে। এ গাছগুলো থেকেই রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরি করা হয়।

তাড়াশ উপজেলার ভাদাস গ্রামে আসা গুড় চাষি আব্দুল মজিদ জানান, প্রতি কেজি গুড় ১৬০-১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গুড় সঠিক বাজারজাতকরণের কারণে এবছর ভাল দাম পাচ্ছেন তারা। উপজেলার বিন্নাবাড়ি গ্রামে গুড় চাষি হোসেন আলী জানান, দিন দিন এই অঞ্চলে গুড়ের উৎপাদন বাড়ছে। আর এর মান ধরে রাখতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকেও দেয়া হচ্ছে নানা পরামর্শ।

স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তি শাহ আলম বলেন, চলনবিল অধ্যুাষিত তাড়াশ উপজেলায় দেশের বিভিন্ন এলাকা গাছিরা এসে গাছ মালিকদের সাথে চুক্তি করেন। পরে তারা গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরি করেন। এই গুড় অত্যান্ত সুস্বাদু ও মান অনেক ভাল। এই সময় এলাকার মানুষ গুড় দিয়ে শীতের পিঠা তৈরি করে আত্মীয়-স্বজন নিয়ে আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠেন।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কৃষি বিভাগের হিসাব মতে এই উপজেলায় ১০ হাজার ৫০টি খেজুর গাছ রয়েছে। এ থেকে এবছর গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন ধরা হয়েছে ১৩৫ দশমিক ৬৭ মে. টন। আর এ অঞ্চলের গুড়ের মান ও স্বাদে ভরপুর হওয়ায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রয়েছে চাহিদা। স্থানীয় কৃষি বিভাগ থেকে চাষিরা যাতে ভেজালমুক্ত গুড় তৈরি করেন সেদিকে নজরদারী করা হয় বলেও জানান তিনি।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com