সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই-আগষ্টে শহীদদের ছাড়া আর কারো প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। কালের খবর পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল কাসাভা। কালের খবর চবি এক্স স্টুডেন্টস ক্লাব ঢাকা এর সভাপতি ব্যারিস্টার ফারুকী এবং সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক স্বপন নির্বাচিত। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল সম্পন্ন। কালের খবর সীতাকুণ্ড হবে বাংলাদেশের অন্যতম মডেল উপজেলা : আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী। কালের খবর মাটিরাঙ্গার গুমতিতে মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মুরাদনগরে সামাজিক সংগঠনের শীতের কম্বল বিতরণ। কালের খবর বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে ‘স্বাধীনতা সোপানে’ শ্রদ্ধা নিবেদন। কালের খবর জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন। কালের খবর
কেশবপুরে রস ও গুড়ের পাতিল তৈরীতে ব্যস্ত কুমার পাড়া। কালের খবর

কেশবপুরে রস ও গুড়ের পাতিল তৈরীতে ব্যস্ত কুমার পাড়া। কালের খবর

যশোর প্রতিনিধি, কালের খবর :

খেজুরের রস ও গুড়ের মৌসুমকে সামনে রেখে যশোরের কেশবপুর উপজেলার মৃৎ শিল্পীরা এখন খেজুরের রস, গুড় সংরক্ষণের জন্য ভাড় ও কলসী তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে।

শীত আসলেই পাল সম্প্রদায়ভুক্ত পরিবারের দম ফেলার ফুসরত থাকেনা। ভাড় তৈরির প্রধান উপকরণ এঁটেল মাটি। যা দূরের মাঠ থেকে সংগ্রহ করে বাড়িতে এনে তা পানি দিয়ে ভিজিয়ে কোদাল দিয়ে কয়েকবার ঝুরঝুরে কেটে পা দিয়ে ছেনে মোলায়েম করা হয়। মোলায়েমকৃত মাটি বোলে দিয়ে বালির সংমিশ্রণে মাটি চাপড় বানানোর পর ছাঁচে দিয়ে হাতের কারুকার্য দিয়ে ভাড়ের কানাসহ ভাড়ের উপরিভাগ তৈরি করা হয়। এই ছাঁচে ভাড়ের নীচের অংশ তৈরির পর পৃথক দুটি অংশকে জোড়া লাগিয়ে দুদিন রোদে শুকানো হয়। রোদে শুকানো ভাড়ে রং লাগিয়ে পাজায় (আগুনে) ৫ ঘন্টা ব্যাপী পোড়ানোর পর তৈরি হয় পরিপুর্ন রস সংগ্রহের উপযোগী ভাড়।

কেশবপুরের কুমারদের অনেকেরই আজ আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে খেজুরের রস ও গুড় সংগ্রহের জন্য পাতিল তৈরী করে। মৃৎ শিল্প ব্যবসা মৌসুমী হওয়ার কারণে সারা বছর বসে কাটাতে হয়। উপজেলার বরনডালী, গোপালপুর, বুড়িহাটী, গৌরীঘোনা, ভেরচী, বুড়–লী, কলাগাছি গ্রামসহ কয়েকটি গ্রামের মৃৎ শিল্পীরা বংশ পরম্পরায় বাপ-দাদার এ আদি পেশাটি আকড়ে ধরে আছেন।রস ও গুড় উৎপাদনে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে কেশবপুরের গাছিরা। এ জন্য গাছিদের প্রয়োজনীয় উপকরণ ভাড়ের যোগান দিতে মৃৎ শিল্পীরা দিন-রাত এখন মহাব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে।

সরেজমিনে উপজেলার গৌরীঘোনা গ্রামের (পাল) কুমার পাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, রবীন পাল ও তার স্ত্রী পারুল রাণী একমনে হাতের কারু কার্যের নিখুঁত ছোয়ায় ভাড় তৈরী করে চলেছেন।ছাঁচে ভাড় তৈরির নান্দনিক দৃশ্যটি খুবই মনোমুগ্ধকর। ভাড় বানানোর দৃশ্য অবলোকনের জন্য যে কেউ থমকে যাবেন।

ভেরচী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, এ এলাকার পালপাড়ার অনেক বাড়ির নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবাই ভাড় তৈরিতে এতো ব্যস্ত যে কারো সাথে বাড়তি কথা বলার সময় তাদের নেই। তবুও ব্যবস্ততার ফাঁকে ফাঁকে কথা হয় ভাড় তৈরিতে পুলিন, বিষ্ণুপদ,রাস মনিসহ কয়েক জন মৃৎ শিল্পীর সাথে। তারা বলেন শীত এলেই ভাড় ও কলসী তৈরির কাজে শুধু পুরুষ নয় বাড়ির গৃহিনী থেকে শুরু করে ছেলে-মেয়েরাও পড়ালেখার ফাঁকে তাদের বাবা- মায়ের কাজে সাহায্য করছে।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com