রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৫ অপরাহ্ন
আক্তার হোসেন ভূইয়া, মুরাদনগর প্রতিনিধি, কালের খবর : কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার আকুবপুর ইউনিয়নের মেটংঘর গ্রামে প্রবাসিদের উদ্যোগে একটি দৃষ্টিনন্দন ফ্যামিলি পার্ক তৈরী করা হয়েছে। গ্রামের সাধারণ মানুষের বিনোদনের কথা চিন্তা করে এই পার্কটি করা হয়। পার্কের নাম দেয়া হয়েছে নিউ নবাব ফ্যামিলি পার্ক। বিগত এক বছর আগে প্রবাসী পাঁচ বন্ধু মিলে উদ্যেগ নেয় নিজ গ্রামে দর্শনীয় একটি পার্ক করার। তাই তারা গ্রাম থেকে আরো দুজন বন্ধু নিয়ে মোট সাত জন মিলে ৩ একর জমির উপরে নিউ নবাব ফ্যামিলি পার্কের কাজ শুরু করে। মাত্র এক বছরে অক্লান্ত পরিশ্রম, মেধা এবং কষ্টার্জিত টাকা ব্যয় করে গড়ে তুলেছে দর্শনীয় “নিউ নবাব ফ্যামিলি পার্ক”।
প্রতিদিনের তাজা খবর জান্তে “দৈনিক কালের খবর” পত্রিকা নিয়মিত পরুন এবং বিজ্ঞাপন দিন।
আজ এই পার্ক দর্শনাথীদের পদচারনায় মুখরিত। খাবার-দাবারের কথা চিন্তা করে পার্কের ভিতরে করা হয়েছে নিউ নবাব নামে একঠি রেষ্টুরেন্ট। মফ:স্বল এলাকায় এমন একটি বিনোদন পার্ক অন্য যে কোনো পার্কের চেয়ে একটু ভিন্ন।
পুকুরে চার পাশে পাকা রাস্তা, রাস্তার দু’পাশে সারিসারি বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের গাছ দেখলে মনে হয় শিল্পির তুলিতে আঁকা কোনো ছবি। আসলে ছবি নয় একেবারেই বাস্তব যা দেখে যে কোনো ভ্রমন প্রিয়াসুদের নজর কারে খুব সহজে।
নিউ নবাব ফ্যামিলি পার্কের প্রধান ফটকের পাশে রাখা হয়েছে নাগর দোলা যা থেকে শিশুরা সবচেয়ে বেশি বিনোদন পায়। দেখা গেছে শিশুদের আনন্দ দিতে নাগর দোলায় মায়েরাও তাদের সন্তানদের নিয়ে উঠে পরছে। নাগর দোলায় দোলে মা ও শিশুর মন, যা দেখে হাসে দর্শনার্থীরা।
পুকুর পার গেষে ড্রামের উপরে বাঁশ, কাঠ ও রঙ্গিন টিনের সমন্ময়ে তৈরী করা হয়েছে ছোট ছোট ভাসমান ঘর এবং সে গুলোতে রাখা হয়েছে বসার ব্যবস্থা। পুকুরের মাঝখানে স্থাপন করা হয়েছে কৃত্রিম ঝর্না। ভাসমান ঘর গুলিতে বসে চা বা কফির চুমুকে ঝর্নার দৃশ্য দেখে দর্শণার্থীর মন কাড়ে, যা দেখেই বুঝা যায়।
পান্ডুঘর গ্রামের দর্শণার্থী কামরুল ইসলাম বলেন, আমি চট্রগ্রামে ব্যবসা করি, পরিবার নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে বাড়িতে আসি। ছোট ভাই এর কাছে শুনতে পেলাম মেটংঘরে নিউ নবাব নামে একাট ফ্যামিলি পার্ক হয়েছে। আজ স্ত্রী কন্যা ও ছোট ভাই বোনদের নিয়ে গুরতে আসলাম। পরিবেশটি খুব মনোরম এখানে বেরাতে এসে খুব ভালো লাগলো।
নিউ নবাব ফ্যামিলি পার্কের পরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, আমি প্রবাসে থাকি গ্রামের মানুষকে আনন্দ দিতে এক বছর আগে আমরা সাত বন্ধু মিলে একটি বিনোদন পার্ক করার উদ্যোগ নেই এবং নিউ নবাব ফ্যামিলি পার্কের কাজ শুরু করি। আজ তার রুপ দেখতে পাচ্ছেন। এক বছরে আমরা পার্কের ৬০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছি অল্প কিছুদিনের মধ্যে বাকী কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। দর্শনার্থীদের কেমন আগমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমানে তিন হাজারের অধিক দর্শনার্থী আসছে, আশা করছি সকল কাজ সম্পন্ন হলে ভবিষ্যতে দর্শনার্থী আরো বৃদ্ধি পাবে।