শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১২:০৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কোরবানির পশু প্রস্তুত করতে ব্যস্ত সাতক্ষীরার খামারিরা। কালের খবর চট্টগ্রামের ইপিজেডে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন, ঘটনায় জড়িত মূল হোতাসহ ২জন গ্রেপ্তার। কালের খবর রাজধানী ঢাকা শহরে কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না : সড়ক পরিবহনমন্ত্রী। কালের খবর সাতক্ষীরায় দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে ইয়াছিন আলীকে কুপিয়ে জখম। কালের খবর সাতক্ষীরার খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধের বালুভর্তি জিও বস্তায় ফাটল। কালের খবর শাহজাহান আবদালীর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি। কালের খবর নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আবাসন প্রকল্প নিচ্ছে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। কালের খবর মাটিরাঙ্গার অপরাধ আখড়া রাজধানীর অভিজাত এলাকায় ( QD’S ) সিসা লাউঞ্জের নামে চলছে ব্ল্যাকমেইলসহ মাদক বাণিজ্য। কালের খবর গ্যাস সরকারি, বিল যাচ্ছে দালালের পকেটে
হারিয়ে যাচ্ছে কাঠের ঘানির তেল। কালের খবর

হারিয়ে যাচ্ছে কাঠের ঘানির তেল। কালের খবর

আবু মোঃ শোয়েব  ঘাটাইল (টাঙ্গাইল ), কালের খবর :ভেজালের মাঝে আজও ঘাটাইল  উপজেলার ধাড়িয়াল গ্রাম এলাকায়  কাঠের ঘানিভাঙা খাঁটি সরিষার তেল পাওয়া যায়। তাও আবার চোখের সামনে দেশী সরিষা ভাঙিয়ে তৈরি করা হচ্ছে খাঁটি সরিষার তেল।

ঘাটাইল  উপজেলার ধাড়িয়াল এলাকার একটি মাত্র পরিবার কাঠের ঘানিভাঙা খাঁটি সরিষা তেল উৎপাদন করছেন। ভোর পাঁচটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত ঘানির সরিষার তেল ভাঙ্গানো হয় । ঘানি টানতে ব্যবহার করা হচ্ছে  গরু ক্যাঁচক্যাঁচ শব্দে চোখ বাধা অবস্থায় গরু ধীরে ধীরে ঘুরছে, সারা দিন টানছে ঘানি বেরুচ্ছে টিপ টিপ তেল। মাঝে মাঝে বাড়ির মহিলারা সংসারের অন্যান্য কাজের ফাঁকে ফাঁকে ঘানিতে সরিষা দিয়ে যাচ্ছেন। এতে করে সারা দিন ঘানি ঘুরিয়ে উৎপাদন করছেন খাঁটি সরিষার তেল।অপরদিকে বাড়ির পুরুষ লোকজন সারা দিন গ্রামে অথবা বাজারে ঘুরে ঘুরে সরিষা সংগ্রহ করেন। এছাড়া পুরুষ লোকজন গ্রামে গ্রামে ঘুরে সরিষা তেল বিক্রি করে থাকেন। ঘানিভাঙা তেলের ব্যাপক চাহিদার পরও আধুনিক মেশিননির্ভর শিল্প ও প্রযুক্তির প্রসারের কারণে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী ঘানিশিল্প।

এ বিষয়ে ঘানিভাঙার কারিগর জহুরা খাতুন  বলেন, প্রথমে তারা নিজেরা ঘানি ঘুরিয়ে তেল উৎপাদন করতেন। পরে গরু দিয়ে এখন ঘুরান । এখন তারা গরু দিয়ে ঘানি ঘুরাচ্ছেন। এটা তার স্বামীর বাপ-দাদার পেশা, অনেক কষ্টে তারা টিকিয়ে রেখেছেন।
(৫০) বছর যাবত এ পেশার সাথে জরিত মো: আবুল বলেন প্রতিটি ঘানিকে‘গাছ’ বলা হয়। গাছে একটি বিশেষ আকৃতির ছিদ্রের ভেতর দিয়ে তেল পড়ে এবং তা একটি ড্রামে সংরক্ষণ করা হয়।
প্রতিটি গাছে একবারে সর্বোচ্চ (২০)কেজি সরিষা ভাঙা সম্ভব হয়। এই পরিমাণ সরিষা থেকে তেল উৎপাদন করা যায় ৫ থেকে ৭ কেজির মতো। (২০) কেজি সরিষা ভাঙতে সময় লাগে প্রায় ৭থেকে ৮ ঘণ্টা। এভাবে দিনে একটি ঘানি থেকে (২০)থেকে (৩০) কেজি সরিষা ভাঙা সম্ভব হয়।
তিনি আরও বলেন, গরু খাবার খাওয়ানোর খরচ সহ নিজের খরচ চালাতে সারা দিন ঘানি ঘুরিয়ে যে তেল উৎপাদন হয়, তা বাজারে বিক্রি করে যে টাকা পাওয়া যায়, তা দিয়ে ছেলেমেয়ের পড়াশোনা খরচ সহ সংসার চালাতে তাদের কষ্ট হয়। তাই তার সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
ঘানিভাঙা থেকে খাঁটি তেল নিতে ঘাটাইল রতনপুর থেকে আসা এনায়েত করিম  বলেন, এখনকার সময় বাজারে খাঁটি সরিষা তেল পাওয়া যায় না। আমার এক বন্ধু জানিয়েছেন, ঘাটাইল ধাড়িয়াল  এলাকায় ঘানি ঘুরিয়ে তেল উৎপাদন করছে একটি পরিবার। তাই খবর পেয়ে খাঁটি সরিষা তেল সংগ্রহ করলাম।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com