শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৫:১০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
তাড়াশে ইরি বোরো ধান কাটা শুরু। কালের খবর কাজ করতে গিয়ে বাড়িতে ফিরলো শ্রমিকের লাশ!। কালের খবর কুষ্টিয়ায় পানি সংকটে খাদ্য উৎপাদনে বিপর্যয়ের শঙ্কা। কালের খবর ডেমরায় ৬৭ নং ওয়ার্ডের মেহনতি মানুষের মাঝে খাবার পানি, স্যালাইন বিতরণ করেন জননেতা তৌফিকুর রহমান শাওন। কালের খবর যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে মামলা। কালের খবর সাতক্ষীরায় মহান মে দিবস উপলক্ষে র‍্যালী। কালের খবর সাতক্ষীরার আলীপুরে বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আব্দুর রউফ বিজয়ী। কালের খবর উপজেলা নির্বাচনে রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দুলুর প্রার্থীতা ঘোষণা। কালের খবর কক্সবাজারে স্পা’র আড়ালে অনৈতিক কর্মকাণ্ড। কালের খবর ডেমরায় পরিবহনে চাঁদা আদায়, গ্রেফতার ৩ চাঁদাবাজ। কালের খবর
সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে এবারের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে। কালের খবর

সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে এবারের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে। কালের খবর

করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি চলছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। গত ১৫ মাসে মোট তিন দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতি লাভ করায় প্রথম দুবারই সেই উদ্যোগ বাস্তব রূপ লাভ করেনি।

সর্বশেষ শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ১৩ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। কিন্তু এ দফায়ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যাবে কিনা, তা এখন পর্যন্ত অনিশ্চিত। কারণ করোনা সংক্রমণের হার এখন প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে।

সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে এবারের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে। সরকার চাচ্ছে ন্যূনতম সিলেবাসের ওপর শ্রেণিকাজ শেষেই পরীক্ষা নিতে। এ লক্ষ্যে পরীক্ষা নেওয়ার সার্বিক প্রস্তুতি শেষ করে রাখছে সরকার। এসএসসির প্রস্তুতি শেষ হয়েছে, এইচএসসির ক্ষেত্রে প্রশ্ন তৈরির কাজ চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কবে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে, তা কেউ বলতে পারছে না।

এমন যদি হয়, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছা থাকলেও পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে না বলেই প্রতীয়মান হয়। পরীক্ষা নিয়ে উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। টেনশনে আছেন শিক্ষক ও শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারাও। ওদিকে উভয় সংকটে পড়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সমালোচনার আশঙ্কায় গত এইচএসসির মতো এবারের পরীক্ষার্থীদের ‘অটোপাশ’ দেওয়া যাচ্ছে না, আবার করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে ঝুঁকি রয়েছে পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেছেন, শিক্ষার্থীদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ন্যূনতম ৬০ দিন এবং এইচএসসিতে ৮৪ দিন ক্লাসের পর পরীক্ষা নেওয়া হবে।

প্রশ্ন হচ্ছে, এই ক্লাসই বা কখন শেষ হবে? কাস্টমাইজড (পুনর্বিন্যাসকৃত) সিলেবাসের ওপর শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়ার কথা রয়েছে। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর। আগে শহর এলাকায় সংক্রমণ বেশি ছিল, এখন তা ছড়িয়ে পড়েছে মফস্বলে, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোয়। সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে না নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে না দেওয়ার বিষয়ে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির পরামর্শ রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। কিন্তু এসএসসি ও এইচএসসির ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়, কারণ এ দুই স্তরে রয়েছে লাখ লাখ পরীক্ষার্থী। এমতাবস্থায়, এসএসসি ও এইচএসসির পরীক্ষা কীভাবে এবং কখন নেওয়া যায়, সে ব্যাপারে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

বিষয়টিতে দেশের শিক্ষাবিদ ও শিক্ষা গবেষকসহ সমাজের সচেতন মহলের পরামর্শকে আমলে নিতে হবে। শিক্ষার্থীদের করোনা সংক্রমণের কবল থেকে মুক্ত থাকতে হবে যেমন, তেমনি তাদের শিক্ষাজীবনের স্বাভাবিক গতিও ফিরিয়ে আনতে হবে। এ দুয়ের সমন্বয় কীভাবে করা যায়, সেটাই এখন ভেবে দেখতে হবে সংশ্লিষ্টদের।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com