সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪০ পূর্বাহ্ন
চট্টগ্রাম ব্যুরো, কালের খবর : চমেকে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। বুধবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) প্রিন্সিপ্যাল চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন ( ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী বলেন, গত ১২ জুলাই শিক্ষা উপমন্ত্রীর সঙ্গে আসা বহিরাগত ও কলেজের কিছু উচ্ছৃঙ্খল শিক্ষার্থীই চিকিৎসক-শিক্ষার্থীদের উপর এ হামলা চালিয়েছে। পরে তারাই ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা করে। আমি এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বিএমএর এই নেতা বলেন, তারা বাসায় গিয়ে আমাকেও হত্যার হুমকি দিয়েছে। তাই কলেজে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে অবিলম্বে এ ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে হামলায় জড়িতদের শাস্তি দিতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিএমএ সভাপতি অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক খান, চমেকসু ভিপি ডা. এম এ আউয়াল রাফি, চমেক ছাত্রলীগের সভাপতি ডা. হাবিবুর রহমান, পোস্ট গ্রাজুয়েশন এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. সাইফ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ডা. সাইফুল ইসলাম বাদল, নবাগত ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. স্নেহাশিস চক্রবর্তী ও ডা. ফারিয়া দেওয়ান তিশা।
ইন্টার্ন চিকিৎসক নেতারা বলেন, গত ১২ জুলাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের নবাগত চিকিৎসকরা চমেক হাসপাতালে যোগদান করেন। এজন্য ইন্টার্ন চিকিৎসকদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান নির্ধারিত ছিল। কিন্তু ওইদিন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহোদয় চমেক হাসপাতালে আসায় পূর্ব নির্ধারিত শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হঠাৎ পিছিয়ে দেয়া হয়।
শিক্ষা উপমন্ত্রী চমেক হাসপাতালে প্রবেশ করলে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও চমেকসু নেতারা অভ্যর্থনা জানান। কিন্তু শিক্ষা উপমন্ত্রী চলে যাওয়ার পর শতাধিক বহিরাগত ও গুটিকয়েক উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র নবীন চিকিৎসক ও চমেকসু নেতাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তিনজন নবীন চিকিৎসকসহ মোট সাতজন গুরুতর আহত হয়। পরবর্তীতে হামলাকারীরা এই ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে সাজানো মিথ্যা মামলা করে এবং বহিরাগতরা পুনরায় হামলার হুমকি দিয়ে চলেছে।
ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও কলেজ কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি। এর ফলে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা প্রদান ব্যাহত ও ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এসময় হামলাকারীদের শাস্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। যদি তা না হয় চট্টগ্রামসহ সারা বাংলাদেশের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কঠোর আন্দোলনে যাবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনটির নেতারা। এ সময় মানববন্ধনে চমেক ছাত্রলীগ, চমেক ছাত্রসংসদ, পোস্ট গ্রেজুয়েট স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতি ও চট্টগ্রাম বিএমএ নেতারা উপস্থিত থেকে একাত্মতা জানান।