সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন
বরগুনা থেকে রবিউল হাসান :
২৪ শে জুলাই সকাল ১১.৩০ এর সময় মিন্নির বাবা আবারও সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন তার মেয়ে মিন্নি নির্দোষ।
মিন্নির স্বামী রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মিন্নিই ছিলো ১ নম্বর সাক্ষী। কিন্তু প্রভাবশালী মহলের চাপে ১৩ ই জুলাই মিন্নি গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন নিহত রিফাত শরীফের পিতা দুলাল শরীফ। এরপর মানববন্ধন করে মিন্নি গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।
পরে ১৬ ই জুলাই মিন্নিকে আসামি শনাক্ত করার কথা বলে পুলিশ লাইনে নিয়ে আসে পুলিশ। এরপর সোয়া ১১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত ৯ টায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
এরপর রিমান্ডে নিয়ে তার উপর মানসিক শারীরিক নির্যাতন করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে বাধ্য করে।
মিন্নির বাবা আরও বলেন৷ মিন্নি অসুস্থ। কিছুদিন আগেও তাকে চিকিৎসা করাতে হয়েছে ঢাকা নিয়ে গিয়ে। পুলিশি নির্যাতনে আমার মেয়ে এখন ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে তার সুচিকিৎসার খুবই প্রয়োজন। পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত প্রভাবশালী মহলের কে আড়াল করতে আমার মেয়েকে ফাঁসাচ্ছে।
গত ২৬ শে জুন সকাল সাড়ে এগারোটার সময় বরগুনা সরকারি কলেজের সামনের গেটে শত শত লোকের উপস্থিতিতে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাত শরীফকে।এ সময় মিন্নি রিফাত শরীফকে বাচানোর চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়।
এরপর ২ জুলাই রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান আসামী নয়ন বন্ড বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়।একে একে ধরা পরে ২য় ও ৩য় রিফাত ফরাজী ও রিসান ফরাজী। এপর্যন্ত এজাহার ভুক্ত ও সন্দেহ ভাজন সব মিলিয়ে ১৪ জনকে গ্রফতার করে পুলিশ।
এখন মিন্নির বাবা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপির কাছে বিনীত অনুরোধ ও সুষ্ঠু বিচারের দাবি করছে ।